→→ নিচের গল্পটি বাবা ও ছেলে কে নিয়ে →→

[অনেকেই হয়তোবা পড়েছেন, তবুও শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে]

প্রতিদিনের মত আজও বাবা সারাদিন কাজ করে রাতে বাড়িতে ফিরলেন। বাবা ছিলেন অনেক ক্লান্ত... বাড়িতে ফিরেই দেখলেন তার ৫ বছরের ছেলে তার জন্য বাড়ির গেটের সামনেই অপেক্ষা করছে।
...
বাবাকে দেখেই ছেলে বলল, "বাবা, একটা প্রশ্ন করি?"

বাবাঃ জি বাবা...কর।

ছেলেঃ বাবা, এক ঘণ্টা কাজ করে তুমি কত টাকা পাও?

বাবাঃ এসব চিন্তা তোমার করার দরকার নেই।

ছেলেঃ Please tell me...

বাবাঃ ৫০০ টাকা।

ছেলেঃ আমাকে ২৫০ টাকা ধার দেবে?

বাবাঃ সারাদিন পর বাবার এসব শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল... এবং ছেলে কে ঝাড়ি দিয়ে বললেন... যাও এখান থেকে...ঘুমাও এখনি। মেজাজ খারাপ করো না।

কিছুক্ষণ পর বাবার মন শান্ত হল।। ছেলের রুম এ গেলেন... ছেলে কে আদর করলেন এবং ২৫০ টাকা দিলেন।।

ছেলে অনেক খুশি হল...বলার বাহিরে...আর বলল , " Thank You So Much daddy ! "

এরপর ছেলে বালিশের নিচ থেকে আরও কিছু টাকা বের করল। সব টাকা একসাথে গুনল এবং বলল... বাবা, আমার কাছে এখন ৫০০ টাকা আছে... আমি কি তোমার এক ঘণ্টা পেতে পারি? Please কাল তাড়াতাড়ি বাড়িতে এসো... রাতে একসাথে খাব !!

~~ আমি নিশ্চিত আপনি এখন আপনার বাবাকে নিয়ে ভাবছেন। আমাদের বাবারা আমাদের জন্য কতই না কষ্ট করেন, কিন্তু আমরা কখনই তাঁকে মূল্যায়ন করিনা। বাবা আর সন্তানের মাঝে সম্পর্ক পৃথিবীর অন্যতম সেরা সম্পর্ক। আব্বু, তোমাকে অনেক ভালোবাসি !!



আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে একদা একটি দ্বীপ ছিল যেখানে বাস করত সকল ধরণের অনুভূতি। প্রাচুর্য, সুখ, দুঃখ, দেমাগ, জ্ঞান এবং ভালোবাসাসহ সকল অনুভূতির বাস ছিল দ্বীপটিতে।

একদিন অনুভূতিদেরকে জানিয়ে দেয়া হলো- দ্বীপটি খুব শীঘ্রই ডুবে যাবে। এ সংবাদ পাওয়া মাত্রই সবাই জাহাজ তৈরি করা শুরু করল এবং একে একে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকল। কিন্তু ভালোবাসা দ্ব...ীপটি ছেড়ে যেতে চাইছিল না। ভালোবাসা ঠিক করল সে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। আর এ কারণে ভালোবাসা কোন নৌকা বা জাহাজও তৈরি করল না।
একদিন সত্যি সত্যি যখন সেই ক্ষণ এসে উপস্থিত হলো তখন ভালোবাসা ঠিক করল সে অন্য কারও জাহাজে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাইবে।

ভালোবাসা দেখল একটি বড় জাহাজ নিয়ে যাচ্ছে-প্রাচুর্য,।
ভালোবাসা প্রাচুর্যকে বলল, 'তুমি কি আমাকে একটু তোমার জাহাজে নেবে?'
জবাবে প্রাচুর্য বলল, 'আমার জাহাজে অনেক সোনা-রুপা রয়েছে। এখানে তোমকে নেয়ার মত কোন জায়গা নেই।'
কিছুক্ষণ পরে ভালোবাসার পাশ দিয়ে নৌকায় করে যাচ্ছিল দুঃখ। ভালোবাসা তাকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানাল।
দুঃখ উত্তর দিল, ' আমি খুবই দুঃখিত। আমার এখন একা থাকা প্রয়োজন, আমি তোমাকে নিতে পারব না।'

এরপর ভালোবাসা দেখল, খুব চমৎকার একটি জাহাজে করে অহমিকা/দেমাগ যাচ্ছে। ভালোবাসা দেমাগের কাছেও তাকে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাল।
দেমাগ বলল, 'তুমি সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছ। আমার এই সুন্দর জাহাজটিতে তোমাকে নিলে তুমি একে নোংরা করে ফেলবে।'

দেমাগের পরপরই ভালোবাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সুখ। ভালোবাসা কয়েকবার সুখ-কে ডাক দেয়ার চেষ্টা করল কিন্তু, সুখ সুখ এতই সুখে ছিল যে সে কারও কথাই শুনতে পাচ্ছিল না। সুখ কোন ভ্রূক্ষেপ না করেই চেল গেল।

এভাবে একে একে সবাই যখন চলে যাচ্ছে তখন হঠাৎ ভালোবসা একটি কন্ঠ শুনতে পেল। একজন প্রবীণ তাকে বলল, 'ভালোবাসা, তুমি আমার সাথে এসো। আমি তোমকে সাহায্য করছি।'

ভালোবাসা এতই খুশি হলো যে সে জানতেও চাইল না এই প্রবীণ আসলে কে।
একটি শুকনো ভূখণ্ডে ভালোবাসাকে নামিয়ে দিয়ে প্রবীণ চলে গেল। এমন সময় ভালোবাসার জানতে ইচ্ছে করল কে তাকে এই বিপদে সাহায্য করল।

ভালোবাসা তার পাশে থাকা আর এক প্রবীণ- জ্ঞানকে প্রশ্ন করল, 'জ্ঞান, যে মহাৎ হৃদয় প্রবীণ আমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে গেল তিনি কে?'
জ্ঞান বলল, ' সময়। সময় তোমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছে।'
'সময়! কিন্তু সময় কেন আমাকে সাহায্য করল, যখন সবাই আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছিল?' ভালোবাসা আবারও জ্ঞানের নিকট জানতে চাইল।

এবার জ্ঞান গভীর প্রজ্ঞার হাসি হেসে উত্তর দিল, 'কারণ একমাত্র সময়ই জানে ভালোবাসা কত মূল্যবান।'


একটি সম্পর্ক যখন গড়ে ওঠে তখন তা অনেক ভালবাসা আর প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হয়। তারপর তা সময়ের ধারায় চলতে থাকে। কিন্তু সব সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় খুব কমই। কোন না কোন কারণে সেখানে দেখা দেয় ফাটল এর পরিণতি গড়ায় ব্রেকআপে গিয়ে। আমাদের আগের একটি বিষয় ছিল ব্রেকআপের পর ছেলেদের নিয়ে। সেখানে আমরা বলেছিলাম মেয়েরা অনেক বেশি ভেঙে পড়লেও তা সামলে ওঠে তাড়াতাড়ি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক মেয়েই সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেননা মেয়েরা অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকেন। ফলে তারা সহজেই তাদের কষ্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করতে চাননা একেবারেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া। ফলে তাদেরকে অনেক পর্যায় পার করতে হয়। দেখে নেয়া যাক মেয়েদের ব্রেকআপের পরের পর্যায়গুলো কেমন হয়।

ব্রেকআপের ঠিক পরবর্তী পর্যায়:

এই সময়টা একটা মেয়ের জীবনের সব চাইতে খারাপ সময়। ব্রেকআপটা তার নিজের ইচ্ছায় হোক বা না হোক। সে অনেক ইমোশনাল থাকে। অনেকেই এ ক্ষেত্রে তীব্র ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিয়ে নেন ভুল সিদ্ধান্ত। সম্পর্ক ভেঙে চলে আসার পর হয়ত বাড়িতে জানিয়ে দেন তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত। তারপর ধীরে ধীরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে বেশ। আবার অনেকেই এমন সিদ্ধান্ত না নিলেও ভেঙে পড়েন একেবারেই। নিজের জীবনের মূল্যই নেই এমনটিও ভাবেন অনেকে। চেষ্টা করেন আত্মহননেরও। নিজেকে গুটিয়ে নেন নিজের মধ্যে। ঘরের চার দেয়ালকেই বেছে নেন আশ্রয়ের জন্য। রাগে-দুঃখে সারাক্ষণ চলে কান্নাকাটি, নাওয়া-খাওয়া ভুলে অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে পড়ে থাকতে ভালবাসেন। আর অন্য কোন মেয়ের কারণে রেলেশন ভেঙে গেলে সেই মেয়ের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন। মেয়েটি দেখতে কেমন বা তার আর সব আচরণ কেমন যার কারণে তিনি এতটা নিচে নেমে এলেন তাকে দেখার ও জানার ইচ্ছা অনুভব করেন। এক্ষেত্রে কাজে লাগান তাদের বন্ধু-বান্ধবদের। যাতে তারা সেই মেয়ে সম্পর্কে সব খবরাখবর এনে দিতে পারেন।

এ তো গেল লক্ষণগুলো। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে ভাবেন তার সাথে একটু যদি ফোনে কথা বলতে পারতেন। আবার অনেকে হয়ত বার বার ফোনে মিস কল দেন বা একটু খানি কন্ঠ শুনতে চান। পুরনো প্রেমিকের দেয়া উপহারগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে চান। ফেসবুকে একাউন্ট থাকলে প্রতিদিন একবার করে সেই প্রোফাইলে ঢু মারেন, ছবি দেখেন। প্রোফাইলে ঢু মারার প্রধান উদ্দেশ্য অন্য কোন মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক হলো কিনা তা খুঁজে দেখা বা রিলেশনশিপ স্টেটাস দেখা।

অনেকেই শান্তনা খুঁজে নেন সম্পর্ক ভাঙার পেছনের কারণ খুঁজে। খুজে খুজে বের করেন দোষ তো তার নিজের ছিলনা। পজেটিভ দিকগুলো না দেখে নেগেটিভ গুলো চিন্তা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার অভিনয় করেন অনেকেই।

এ সময়ের ডায়ালগ-

১. “যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে, ”এ সম্পর্ক এমনিতেই আমার বাসা থেকে মেনে নিতনা”।

২. সব ছেলেরাই এমন, তাদের ভালবাসা এ্ক সময় কমে যায়, ভালোই হয়েছে একে বিয়ে করিনি”।

৩. “ও আমার সাথে সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে? তাতে কি? আমিও দেখবো ও আমার চাইতে কোন ভালো মেয়ে পাই কিনা”।

৪. “আমি বিয়ে করে আমার জামাই নিয়ে ওর চোখের সামনে ঘুরবো”।

বন্ধুদের স্বান্তনা:

এসময় বন্ধুরা যারা রেলিশনের ব্যাপারে জানতো তারা আসে স্বান্তনা দিতে। স্বান্তনা দেয়ার বদলে অনেকেই আরো জ্বালিয়ে যান তুষের আগুন। তাদের ডায়ালগগুলো হয় এমন-

১. “এইটা একটা কথা হলো? ও তোর সাথে এমন করবে কেন”?

২. “তুই চিন্তা করিসনা, আমি ওর সাথে একবার কথা বলে দেখবো”।

৩. “আরে বাদ দে, সব ছেলেরাই এমন”।

৪. “ এইজন্যই তো ওরে কদিন থেকে ঐ মেয়েটার সাথে ঘুরতে দেখছিলাম”।

৫. “যা হয় ভালোর জন্যই হইছে”।

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা:

ব্রেকআপের ইমোশনাল পর্যায় পার করার পর মেয়েরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। 
তারা চায় সব সময় ব্যস্ত সময় কাটাতে যাতে পুরনো স্মৃতিগুলো সহজে ভুলে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হয় শপিং। অযথা শপিং করে টাকা-পয়সা খরচ করতে তারা পিছপা হয়না। তারপর বিউটি পার্লারে ছোটেন নিজের রুপ চর্চায় ব্যস্ত থাকতে। অনেকেই নানা রকম কোর্স করে নিজেকে ব্যস্ততায় রাখতে চান।

বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:

অনেকেই হয়তো সম্পর্ক চলাকালীন বন্ধুদের সময় দিতে পারতেন না। এই সুযোগে আবারো বন্ধুদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ঘুরাঘুরিতে মেতে ওঠেন।

অন্যরকম অনুভূতি:

ব্রেকআপের পর বন্ধু মহলে এমন অনেক বন্ধু থাকেন বিপরীত লিঙ্গের। যাদের তখন খুব বেশি আপন মনে হয়। মেয়েরা সব সময় চায় তাদের সঙ্গ। কেননা একটা পুরুষ আরেক পুরুষের স্বভাব বুঝতে পারবে ভেবে সে তাকে তার প্রেমিকের সব চাওয়া পাওয়া বা তার নিজস্ব চাওয়া পাওয়া খুলে বলে। সেই একজন বিশেষ বন্ধুর সান্নিধ্যে অনেকেই পুরনো প্রেমিককে অনেক সহজেই ভুলতে পারেন। তবে সেই বন্ধুটির প্রতি হঠাৎ করেই দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। তারপর সেই ভালো লাগা থেকে …..


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিউজ ফিড নিজের মতো করে সাজানোর কিছু নতুন উপায় এনেছে ফেসবুক। এ ক্ষেত্রে নিউজ ফিডে অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য দূর করে সহজেই নিউজ ফিড মনের মতো সাজানোর কয়েকটি উপায় জানিয়েছে দ্য হিন্দু।

প্রতিবার লগইন করার পর আপনি বন্ধুতালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ও বিভিন্ন পেজের মধ্যে কাকে নিউজ ফিডের ওপরে দেখতে চান, তা ঠিক করে নিতে পারবেন। নতুন টুলে ফেসবুকের বিরক্তিকর কোনো পোস্ট বারবার যেমন দেখতে হবে না তেমন অপ্রয়োজনীয় তথ্যও দূর করা যাবে।

এ জন্য প্রতিবার লগইন করার পর ”following” বা ‘’see first”-এ ক্লিক করতে হবে। এতে আপনি যাকে প্রথমে দেখতে চান ‘’see first”-এ ক্লিক করে রাখলে তাকেই আগে নিউজফিডে পাবেন।

ফেসবুকের সফটওয়্যার নিউজ ফিডে আপনাকে কোন বিষয়টি উপস্থাপন করবে তা জানবে বহু বিষয় বিবেচনা করে। এ ক্ষেত্রে কোন কোন বন্ধুর সঙ্গে আপনার ভালো আদান-প্রদান রয়েছে (যেমন আপনি তার ছবি বা পোস্টে লাইক বা কমেন্ট করেন কি না) ইত্যাদি বিবেচনা করে। আর এ ধারায় নতুন করে যোগ হলো কয়েকটি টুল।

বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় ফেসবুক নতুন টুলের কথা জানায়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তির নেশায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে থাকি এবং বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট/তথ্য আদান-প্রদান করি। আমাদের ফেসবুকে থাকে হাজার হাজার বন্ধু। আমরা যা স্টাট্যাস দেই তা আমাদের সকল বন্ধু দেখেন। কিন্তু আপনি নিজে কোনো স্টাট্যাসে পর্নো ভিডিও শেয়ার করছেন না, অথচ আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক পর্নো ভিডিও শেয়ার হচ্ছে। এতে নিশ্চয়ই আপনার মান সম্মানে আঘাত লাগছে।

এটা এক ধরনের ম্যালওয়ার যা প্রন-ট্রোজান নামে পরিচিত। কারও দেয়া লিংক খারাপ ফেসবুক অ্যাপস ক্লিকে আক্রান্ত হতে পারে আপনার আইডিটি। আক্রান্ত আইডি থেকে সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ২০ এর অধিক পর্নো বন্ধুদের টাইমলাইনে ট্যাগ হতে থাকে এবং সমস্ত পিসিতে ম্যালোওয়ার ছড়িয়ে পড়ে।

টাইমলাইনে পর্নো এলে যা করবেন:

১. তাড়াতাড়ি আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

২. যে সব পর্নো ভিডিও আপনার টাইমলাইনে ইতোমধ্যে শেয়ার হয়েছে সেইগুলি ডিলিট ও রির্পোট করুন।

৩. ভাল এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনার পিসিটি স্ক্যান করুন। কিছু কিছু ভাইরাস স্ক্যান করতে ব্যর্থ হয় এবং তা F-Secure scan, Trend Micro scan, ESET scan, Microsoft security software এর যে কোন একটি দিয়ে অনলাইনে সরাসরি স্ক্যান করুন। যদি আপনার ব্রাউজার গুগলক্রোম হয় তবে browser-specific scan স্ক্যান করুন।

৪. আপনার ব্রাউজারের ভার্সন আপডেট করুন।

৫. আপনার একাউন্টের সিকিউরিটি স্ট্রং করে ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline?>>>Enable করুন।

৬. Suspicious ব্রাউজারের আড-অন রিমুভ করুন।

৭. এর পরেও আবারও পর্ণে শেয়ার হলে ,৭-৮ ঘন্টার জন্য আপনার একাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভ করুন।

৮. আপনার একাউন্টে পর্নো শেয়ারের পরিণতির জন্য (দুঃখিত) একটি স্ট্যাটাস দিন। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও খারাপ পোস্ট চোখে পড়ে বা কোনও লিঙ্ক চোখে পড়ে তা যেন ক্লিক না করেন।

টাইমলাইনে যেন পর্নো না আসে তার জন্য করণীয়:

১. কারও দেয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।

২. ফেসবুকে ছড়ানো খারাপ ভিডিওতে ক্লিক বা শেয়ার করবেন না ।

৩. ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline? >>>Enable করুন।

৪. খারাপ ফেসবুক অ্যাপ বা গেইমস এ ক্লিক করবেন না। সন্দেহজনক অ্যাপ ডিলিট করুন।

আপনি কি লাল গ্রহ মঙ্গলে যেতে চান? ভয় নেই আপনাকে নভোচারী হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হতে হবে না। লাগবে না কাড়িকাড়ি টাকাও। শুধুমাত্র ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। ব্যস! মঙ্গল আপনার ডেস্কটপে। এবার যখন খুশি তখনই ঢুঁ মেরে আসুন মঙ্গল থেকে। লাল গ্রহ মঙ্গল নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য দুইটি সিমুলেটর তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই সিমুলেটর দুইটি দিয়ে ঘরে বসেই মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালানো যাবে।


নাসা জানিয়েছে, এই সিমুলেটর দুইটিতে আছে কিউরিসিটি রোবট। যেটাতে চড়ে আপনি মঙ্গলের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সিমুলেটর দুইটি আদতে ইন্টার‌অ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এগুলোতে গুগল আর্থ অ্যাপ্রোচ ব্যবহার করা হয়েছে। সিমুলেটরের জন্য বিগত ৫০ বছর ধরে নাসার সংগৃহীত ছবি জোড়াতালি দিয়ে থ্রিডি গ্লোব তৈরি করা হয়েছে।

সিমুলেটরের সাহায্যে মঙ্গল পৃষ্ঠের থ্রিডি এব ‍টুডি ভিউ পাওয়া যাবে। অনেকটা গেম খেলার মতই। যেটার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে। মন চাইলে কিউরিসিটি রোবটিকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলের যেথায় খুশি সেথায় হারিয়ে যেতে পারবেন। ভয় নেই হারিয়ে গেলেও পাবেন বেজ ক্যাম্পে ফিরে আসার দিক নির্দেশনা।

এই সিমুলেটর দুইটি ডাউনলোড করতে হলে নাসার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে যেতে হবে।

নাসার ওয়েব সাইটের ঠিকানা: http://www.nasa.gov/

নাসা

একটি সত্যি ভালোবাসার গল্প (যা সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়)


সপ্না আর নিলয় ছোট বেলা থেকেই একসাথে বড় হয়। সপ্নার বাবা ট্যাক্সি চালায়, আর নিলয়ের বাবা একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। দুই ফ্যামিলির মধ্যে সম্পর্কটা মন্দ নয়।

সপ্না নিলয়কে মনে মনে ভালোবাসতো। কিন্তু কখনো বলতে পারে নি। তারা একত্রে অনার্স পাশ করে। নিলয়ের সরকারী চাকরি হয়। বাসা থেকে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়ে দেয়। সপ্না বেচারি ঘরে বসে একা কাঁদে। কিছু করার থাকে না তার।

সপ্নার অবস্থা দেখে তার মা সপ্নাকে চেপে ধরে। জিজ্ঞেস করে সমস্যা কি। কান্নাবিজরিত গলায় সপ্না জানায় তার লুকানো প্রেমের কথা। তার একপেশে ভালোবাসার কথা।

সপ্নার পরিবারে দুঃখ নেমে আসে। সপ্নার বাবা জানতে পেরে মেয়েকে জলদি বিয়ে দেয়ার বেবস্থা করতে চান। কিন্তু সপ্নার এক কথা, তার মনের কোঠায় গভীরে সে নিলয়কেই বসিয়েছে। এখন কোনও অবস্থাতেই তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। সে এমনকি এই বলে হুমকি দেয় যে বাড়াবাড়ি করলে সে আত্মহত্যা করবে। সপ্নার পরিবারের সবাই ভয় পেয়ে যায়। সাথে সাথে কষ্টও পায়। কিন্তু কিছু করার থাকে না। একমাত্র মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া।

বছর পাঁচেক পরের ঘটনা। সপ্না এখন ঢাকাতে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষিকা। গ্রামে ইধানিং যায় না সে। বাবা মার সাথে ফোনে কথা হয়। এক পুজার ছুটিতে ৫ দিনের জন্য গ্রামে গেলো সে। সে কি তখনো জ্যান্ত এইবারের গ্রামে ফেরা তার জীবনটা আমূল পাল্টে দিবে?

সপ্না বাসায় ফিরে দেখে বাসার সবার মাঝেই একটা কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। সপ্না মাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? সপ্নার মা প্রথমে সপ্নাকে কিছুই বলে না। মেয়ের চাপাচাপিতে তিনি সব খুলে বলেন।

নিলয় গ্রামে এসেছে। তার একটা ফুটফুটে বাবু হয়েছে। বাবুটার বয়স মাত্র ২ বছর। বাবুটাকে জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা যায়। নিলয় গ্রামে এসে সপ্নার মা বাবার সাথে দেখা করতে আসে। ছেলেটার মনে এক অদ্ভুত ক্ষোভ দেখতে পান তারা। এক চাপা কষ্ট। 

সপ্না ঘটনা শুনে থ হয়ে যায়। জীবনটা কোনও সিনেমা নয় যে সে নিলয়ের বাচ্চাকে বড় করবে। তাকে নিজের মেয়ের মতো করে পালবে। কিন্তু সপ্নার খুব ইচ্ছে করে। আরও একবার সপ্না নিজের কাছে হেরে যায়। মুখ ফুটে বলতে পারে না তার গোপন ইচ্ছের কথা।

পুজার ছুটি শেষ। আজ বিকেলে সপ্না ঢাকায় ফিরে যাবে। ব্যাগ গুছুচ্ছে এসময় সপ্নার মা দৌড়ে এসে খবর দিলেন নিলয় এসেছে।

সপ্না চমকে যায়। সে চাচ্ছিল যেনও নিলয়ের সাথে তার দেখা না হয়। কি লাভ কষ্টের বুঝা বাড়িয়ে?

মায়ের কথায় অবশেষে নিলয়ের সাথে দেখা হয় তার। দুজনেই চুপচাপ। হটাত নিলয় বলে উঠে, “ঢাকায় থাকো শুনলাম? আমিও ঢাকায় থাকি। পরিবাগে। তুমি?”

“ধানমণ্ডিতে। আমরা ২জন ফ্রেন্ড একত্রে থাকি। ও আমার সাথে একই স্কুলে পড়ায়। আমাদের পাশের গ্রামেরই মেয়ে।”

আরও কিছু কথা বলে তারা একে অপরকে বিদায় জানায়। “ভালো থেকো” বলে ঘুরে নিজের রুমের দিকে হাঁটতে থাকে সপ্না। অজানা কষ্টে বুকটা ধুমরে মুচড়ে যাচ্ছে। নিজের মনের উপর অসম্ভব জোর খাটিয়ে ফিরে চলে সে রুমের পথে। 

ঘাড় ঘুরিয়ে শেষবারের মতো ফিরে তাকায় সে। দেখল নিলর দাঁড়িয়ে আছে তার কুলে একটা ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে। নিলয়ের চোখটা ভেজা। দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে অশ্রুকণাগুলো। কেন যেনও বাচ্চাটাকে দেখার পর নিজেকে আটকে রাখতে পারে না সপ্না।

নিলয় এবং সপ্নার বিয়ে হয় তাদের উভয় পরিবারের অনুমতি নিয়ে। ঢাকার পরিবাগেই এখন আছি আমরা। আমিই সেই মেয়ে। আর আমার বাবা মা আমার নাম কি রেখেছেন জানেন? “আলো”। বাবা-মার কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শুনি আমি তাদের ১৪তম বিবাহবার্ষিকীতে। এরপরেই লিখে ফেলি। আর আজ জানিয়ে দিলাম পৃথিবীকে।

সবাই দোয়া করবেন আমার পরিবারের জন্য। আমি ক্লাস টেনে পড়ি এখন। আমি আমার মাকে হারিয়েছি, কিন্তু পেয়েছি তার চেয়েও একজন শ্রেষ্ঠ মমতাময়ী নারীকে। তোমাদের দুজনকেই অনেক অনেক ভালোবাসি মা-বাবা।

MARI themes

Powered by Blogger.