ফেসবুক জানিয়েছে, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, তাদের নীতিবিরোধী পোস্ট দেওয়ার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অ্যামিড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি গ্রুপ অভিযোগ করে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ চলছে। আর এই গণহত্যায় দেশটির সেনাবাহিনী জড়িত। ওই রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে একটি ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ বলে মনোনীত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ওই গ্রুপের পরিচালকদের এ ধরনের বিষয়বস্তু বা মন্তব্য মুছে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ওই গ্রুপের বিষয়ে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রুপটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর সামরিক অভিযানের বিষয়ে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামের একটি সংগঠনকেও ফেসবুক ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বলে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা যে ধরনের বিষয়বস্তু পোস্ট করছে, সেগুলো ফেসবুকের মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ জন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা, অপরাধ ও গণহত্যা সংগঠনের মতো কাজের সঙ্গে জড়িত, ফেসবুক তাদের ঘৃণা করে। তবে অন্য যেসব গ্রুপ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, তাদের অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ফেসবুক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে পুলিশের ওপর হামলায় ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পর গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সরকার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। ফেসবুক জানায়, সরকারের অনুরোধে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। গ্রুপটির হিংসাত্মক কার্যকলাপের ভিত্তিতেই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অং সান সু চির মুখপাত্র জ হাতয়। আরসার বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট ফেসবুকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন।
তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, রোহিঙ্গা শরণার্থী, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা আসার কারণে এর বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তারা।

মন এক দুনিয়ার কথা স্বপ্নেও অনুমান করা দুষ্কর —যার বৈশিষ্ট্য আমরা কল্পনাও করে দেখি না। মুখ উঠিয়ে আপনার ঘরের চারপাশের দিকে একবার নজর বুলিয়ে নিন, কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনার কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল, আপনার বিছানা? এবার নিজের আঁকার ২০ গুন ছোট মনে করুন —এখন কি দেখতে পাবেন? হয়তো এবার মেঝের এক কোনে পড়ে রয়েছেন এবং আপনার টেবিলকে দেখতে একটি দৈত্যাকার বিল্ডিং মনে হবে। কিন্তু এভাবেই আপনাকে যদি ১০০০ মিলিয়ন গুন ছোট করে দেওয়া হয় তবে কি দেখতে পাবেন? আপনার নজরে কি কোন চেয়ার বা টেবিল আসবে? বরং আপনি সেসব জিনিষ দেখতে পাবেন যা দ্বারা আপনার চেয়ার, টেবিল সহ এই বিশ্বের প্রত্যেকটি জিনিষ গঠিত; অণু, পরমাণু, প্রোটিন, কোষ ইত্যাদি। আর আপনার আঁকার যদি ন্যানো স্কেলে নিয়ে আনা হয় তবে এবার কোন অণু বা পরমাণু নয় বরং পরমাণুর চারপাশে ঘুরতে পারবেন কিংবা এর ইলেকট্রন প্রোটনের কক্ষপথ দেখতে পাবেন। এখন ধরুন আপনি এক অসাধারণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন একটি বস্তুর অ্যাটমকে (পরমাণু) বা অ্যাটমের গঠনকে অন্য কোন বস্তুর অ্যাটমের গঠনের সাথে পরিবর্তন করিয়ে দিলেন, তাহলে কি ঘটবে? —তাহলে অসাধারণ সব উপকরণের উদ্ভব ঘটবে যা এই দুনিয়াই আগে কখনোই ছিলোনা। আজকের দিনে নতুন রোগের ঔষধ থেকে শুরু করে আপনার কম্পিউটারের সুপার ফাস্ট প্রসেসর এবং অসাধারণ সব উপকরণ তৈরির পেছনে অত্যন্ত ক্ষুদ্র এক প্রযুক্তি কাজে আসছে যা “ন্যানো টেকনোলজি” (Nanotechnology) নামে পরিচিত এবং এটি বর্তমান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সবচাইতে আশ্চর্যকর নিদর্শন। তো চলুন আজ ন্যানো প্রযুক্তির সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক…

কতো বড় এই “ন্যানো”?

আপনার স্মার্টফোন বা যেকোনো ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি ফটো ক্যাপচার করুন এবং সেটাকে ফটোশপ দিয়ে ওপেন করুন। এবার ফটোটিকে জুম করতে থাকুন, দেখবেন জুম করতে করতে ফটোটি একসময় ঘোলা হয়ে যাবে এবং পরিশেষে শুধু চারকোনা ইটের দেওয়ালের মতো দেখতে পাওয়া যাবে। এই প্রত্যেকটি চারকোনা ব্লক গুলোকে এক একটি পিক্সেল বলা হয়, যা কোন ফটোর বর্ণনা ধারণ করে এবং একত্রে সকল পিক্সেল গুলো মিলে একটি সম্পূর্ণ ফটো তৈরি হয়। ঠিক একই ভাবে আপনার চারপাশের সমস্ত কিছু সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে অতি ক্ষুদ্র উপাদান “পরমাণু” দ্বারা। চেয়ার টেবিল থেকে আরম্ভ করে আপনার শরীর পর্যন্ত পরমাণু নামক অতি ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত। প্রত্যেকটি পদার্থের পরমাণুতে তার গুনের এক একটি অংশ বর্ণিত থাকে, যেমনটা কোন ফটোর প্রত্যেকটি পিক্সেলে বিভিন্ন কালার থাকে এবং একত্রে একটি ফটো তৈরি হয়। ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্তু এর উপরই নির্ভর; তাহলো পদার্থর গঠন এবং এর অণু, পরমাণুর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য—এ ব্যাপার নিয়ে আরো পরে আলোচনায় আসবো, এখন ন্যানো এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

দেখুন আমরা এমন এক পৃথিবীর সাথে পরিচিত যেখানে আমরা মিটার, কিলোমিটার ইত্যাদি পরিমাপের সাথে অভ্যস্ত। এমন কোন জিনিসের আঁকার সম্পর্কে কল্পনা করা সত্যি কষ্টের যেটা এতোটাই ছোট যে চোখে দেখা সম্ভব নয়।  তবে ন্যানো অনেক ছোট হলেও এটি কিন্তু একটি সিঙ্গেল অ্যাটমের তুলনায় বড়। একটি অ্যাটমের ব্যাসরেখা প্রায় ০.১ ন্যানো মিটার এবং একটি অ্যাটমের নিউক্লিয়াস (অ্যাটমের ঠিক মাঝখানের একটি ঘন এলাকা যেখানে প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে) আরো ছোট আকারের হয়ে থাকে, যেটা প্রায় ০.০০০০১ ন্যানো মিটার। বিজ্ঞান বিভাগের পটু আর গনিতের তুখারেরা এতক্ষণে ন্যানো মিটার এবং এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন, তবে সকলের বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি। মনে করুন আপনার হাতে একটি অ্যাপেল রয়েছে এবং ধরে নিন এটা ১ ন্যানো মিটার, তাহলে এটি কতো ছোট? ১ মিটারের সাথে ১ ন্যানো মিটারের তুলনা করতে গেলে, আপনার হাতের অ্যাপেলটি যদি এক ন্যানো মিটার হয় তবে এই সমস্ত পৃথিবী হবে এক মিটার, বুঝতে পাড়লেন?
আপনি হয়তো আপনার জীববিজ্ঞান বইয়ের অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীটবিশেষ এর ছবি দেখে আশ্চর্য হয়ে থাকেন, হয়তো ভাবেন এতো ছোট জিনিসের ছবি কীভাবে উঠানো সম্ভব হয়। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ (অতি ক্ষুদ্র বস্তু দেখার যন্ত্র) ব্যবহার করে এই ধরনের ফটোগ্রাফি করা হয়ে থাকে। এই অসাধারণ বিজ্ঞানের যন্ত্রটি এক মিটারের মিলিয়ন গুন ছোট বস্তু দেখতে পারে অর্থাৎ ১ মাইক্রোস্কোপিক মিটার সমান ১ মিটারের ১ মিলিয়ন (১০ লক্ষ) গুন ছোট ভার্সন। কিন্তু ন্যানো মানে হলো ১ মিটারের ১ বিলিয়ন (১,০০০ মিলিয়ন) গুন ছোট। তো ন্যানো মিটার কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে কল্পনা করতে পারছেন? আমার তো কল্পনার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। চলুন ন্যানো স্কেলকে আরো গভীর এবং বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য নিচের চার্টটি দেখে নেওয়া যাক।

ন্যানো স্কেল—

  • অ্যাটম; ~০.১ ন্যানোমিটার।
  • অনুতে পরমাণু; ~০.১৫ ন্যানোমিটার অংশ জুড়ে থাকে।
  • ডিএনএ ডাবল-হেলিক্স (ডিএনএ এর অণু); ২ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • আদর্শ প্রোটিন; ~১০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • কম্পিউটার ট্র্যানজিস্টর (যা দ্বারা কম্পিউটার প্রসেসর বা মেমোরি তৈরি হয়); ~১০০-২০০ ন্যানোমিটার প্রশস্ত।
  • আদর্শ ব্যাকটেরিয়া; ~২০০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • মানুষের চুল; ৫০,০০০-১০০,০০০ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • একটি কাগজ; ~১০০,০০০ ন্যানোমিটার পাতলা।
  • একটি মেয়ে ১.২ মিটার (৪ ফুট) লম্বা; ~১,২০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • একটি ছেলে ২ মিটার (৬.৫ ফুট) লম্বা; ২,০০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং; ৩৮১ মিটার (১,২৫০ ফুট) লম্বা; ~৩৮১,০০০ ন্যানোমিটার লম্বা।

    ন্যানো সায়েন্স থেকে ন্যানো টেকনোলজি

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    ন্যানো টেকনোলজির বেশিরভাগ সুবিধা হয়তো ভবিষ্যতের কয়েক দশকের মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে কিন্তু বর্তমানেও এই প্রযুক্তি নানান ভাবে আমাদের পৃথিবীকে পরিবর্তিত করতে সাহায্য করছে। আপনি হয়তো ভাবছেন ন্যানো টেকনোলজি একে বারে অসাধারণ জিনিষ এবং এটি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি—কারণ “টেকনোলজি” বলতে আমরা মানুষের তৈরি টেকনিককেই মনে করি। কিন্তু আমাদের জীবন নিজে থেকেই ন্যানো টেকনোলজির এক বিরাট উদাহরণ। আমাদের শরীরে প্রোটিন, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কোষ ইত্যাদি ন্যানো টেকনোলজির সূত্রেই কাজ করে।

    ন্যানো ম্যাটেরিয়াল

    হতে পারে বর্তমানেই আপনি অলরেডি ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করছেন। হতে পারে আপনি ন্যানোটেকনোলজি প্যান্ট পরিধান করে আছেন কিংবা আপনার শার্টটি ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি। এমনকি হতে পারে আপনার বিছানার চাদর থেকে শুরু করে ট্র্যাভেলিং বাগটিও ন্যানোটেকনোলজিতে প্রস্তুত। ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি কাপড় গুলোর তন্তু এতোটাই সূক্ষ্ম যে এতে ধুলি বালু কণা আটকে থাকতে পারে না, ফলে কাপড় অনেক কম নোংরা হয়। কিছু ব্র্যান্ডের সানস্ক্রীন ক্রিমে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, এতে ক্রিমটি আপনার স্কিনে লাগানো মাত্র এটি টাইটানিয়াম অক্সাইড অথবা জিঙ্ক অক্সাইডের আস্তরণ ফেলে দেয়, ফলে এটি সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মিকে ব্লক করে দেয়। ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি অনেক পেইন্টও এভাবেই কাজ করে, ফলে এটি অধিক দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং কম ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।
    কার্বন ন্যানো টিউব হচ্ছে সবচাইতে অসাধারণ ন্যানো ম্যাটেরিয়াল। এর অ্যাটমিক গঠনের ফলে এটিকে অত্যন্ত মজবুত একটি পদার্থতে পরিণত করেছে। একে ফাইবারের আঁকারে যেকোনো লম্বা পরিমাপে বানানো সম্ভব।

    ন্যানো চিপ

    মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স হলো ন্যানো টেকনোলজির আরেকটি রুপ। সাধারনত মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্সে “মাইক্রো” শব্দটি ব্যবহার করা হয় কারণ এর আঁকার মাইক্রোস্কোপিক স্কেলের হয়ে থাকার কারণে। কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা উদ্ভবন করেন যে, একই জায়গার মধ্যে বেশি ট্র্যানজিস্টর আটাতে পারলে কম্পিউটারের সাইজ আরো ছোট এবং বেশি পাওয়ারফুল বানানো সম্ভব। আর এর জন্যই আজকের কম্পিউটার গুলো সাইজে অনেক ছোট, অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সস্তা মুল্যের হয়ে থাকে। বর্তমানে কম্পিউটার প্রসেসর ১০০-২০০ ন্যানোমিটারের ট্র্যানজিস্টর দ্বারা প্রস্তুত হয়ে থাকে এবং দিনদিন এর সাইজ আরো কমানো হচ্ছে আর এই সবই সম্ভব হচ্ছে ন্যানো টেকনোলজির ফলে।
    শুধু কম্পিউটার প্রসেসর নয়, বরং ফ্ল্যাট স্ক্রীন এচডি টিভি, স্মার্টফোন, আইপড ইত্যাদি সব গুলোতেই ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে চিপ লাগানো থাকে।

    ন্যানো মেশিন

    ন্যানো টেকনোলজির আরেকটি মজার ব্যাপার হলো এ দ্বারা অত্যন্ত ক্ষুদ্র মেশিন বানানো সম্ভব; যেমন গিয়ার, সুইচ, পাম্প, মেশিন —এবং সম্পূর্ণ আলাদা অ্যাটম থেকে। ন্যানো মেশিন দ্বারা ন্যানো রোবট তৈরি করা সম্ভব যেগুলোকে ন্যানোবট বলা হয়। ন্যানোবটকে আমাদের শরীরের মধ্যে ইনজেক্ট করে দেওয়া সম্ভব যাতে এটি প্রতিকুল পরিবেশে বিপদের সাথে লড়তে পারে।

    শেষ কথা

    ন্যানো টেকনোলজি ভবিষ্যৎ এ আরো রাজ করবে এই বাক্যে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই প্রযুক্তির সুফলের সাথে সাথে কিছু অসুবিধারও হুমকি রয়েছে। যেমন ন্যানোবট মানব দেহে ইনজেক্ট করার মাধ্যমে ক্যান্সার ঘটাতে পারে। ন্যানো বট অত্যন্ত ছোট হওয়ার কারণে অনেক ডাক্তাররা আসঙ্খা করছেন যে এটি রক্তের সাথে ব্রেনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে ফলে কেউই জানেন না কি ঘটতে পারে এতে। ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনার আরো তথ্য জানা থাকলে নিচে টিউমেন্টে তা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। টিউনটি ভালো লাগলে এবং উপকৃত হলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।


বলেছে। স্যামসাংয়ের মোবাইল ব্যবসা বিভাগের প্রধান ডংজিন কোহ বলেছেন, গ্যালাক্সি নোট সিরিজে চমক দেবে প্রতিষ্ঠানটি। গ্যালাক্সি নোট ৯ হবে বিশ্বের প্রথম ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোহ বলেন, স্যামসাং আশা করছে আগামী বছর ফ্ল্যাগশিপ গ্যালাক্সি নোট লাইনে নমনীয় স্মার্টফোন আনা সম্ভব হবে। এ প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে এখনো বেশ কিছু বাধা পেরোতে হবে। এসব সমস্যার সমধান না হলে অবশ্য ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আসা পেছাতে পারে। তবে স্যামসাংয়ের মোবাইল বিভাগের প্রধান হিসেবে বলতে পারি, আমাদের লক্ষ্য পরের বছর। ওই বছর আসবে নমনীয় স্মার্টফোন।
এর আগেও স্যামসাংয়ের ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনের কথা শোনা গেছে। ২০১৩ সালে ‘ইয়োম’ নামে নমনীয় ডিসপ্লের প্রটোটাইপ দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ চার বছর ধরে ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছরের জানুয়ারিতে গুঞ্জন উঠেছিল স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স নামের নমনীয় স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে। সাত ইঞ্চি মাপের ওএলইডি ডিসপ্লের ওই ডিভাইসটি ভাঁজ করে পকেটে রাখা যাবে। ওই সুবিধা ২০১৮ সালে বাজারে আসা নোট ৯-এ থাকবে কি না, তা জানা যায়নি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে কোহ বলেন, স্যামসাং বর্তমানে স্পিকার নির্মাতা হারমানের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমান স্পিকার তৈরিতে কাজ করছে। এ স্পিকার ব্যবহার করে ঘরের বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন নিশ্চই? সবার ভালো থাকা কামনা করি সবসময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। বন্ধুরা আজ আমি এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার অথবা ইন্টারনেটে আয় নিয়ে কোনো কিছু লিখছিনা, আজ লিখবো উইন্ডোজ সফটওয়্যার নিয়ে।
  •  কিভাবে আজীবন আপনার পিসিকে সুপার ফাস্ট রাখবেন!
  •  কিভাবে আজীবন আপনার পিসিকে ভাইরাস মুক্ত রাখবেন!
  •  কিভাবে ট্রায়াল ভার্সন সফটওয়্যার আজীবন ব্যবহার করবেন!
হ্যা, এতক্ষন যার গুনগান গাইছিলাম উনার নাম নিশ্চই জানতে ইচ্ছে করছে? উনার নামটা হচ্ছে Deep Freeze সাইজ মাত্র ২২ এম্বি। আমি এক্সপি এবং সেভেনে ব্যবহার করে দেখেছি ওকে আছে, এইটের কথা বলতে পারবোনা আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আগে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করবেন, নাকি সম্পূর্ণ টিউন পড়বেন। সেটা আপনার ব্যাপার, আমি কিন্তু ডাউনলোড লিংক এখানেই দিয়ে গেলাম।Download Deep Freeze For windows সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার আগে আপনাকে কিছু কাজ করে নিতে হবে। যেমন-
  • প্রথমে নতুন করে উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়া
  • এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কেন করে ভাইরাস ডিলেট করা
  • Ccleaner দিয়ে সি ড্রাইভ ক্লিন করা ও রেজিস্ট্রি ক্লিন করা
নতুন উইন্ডোজ সেটাপ দেবার পর যদি আপনার মনে হয় পিসির পারফরমেন্স এখনো ভালোই আছে তবে এখান থেকেই শুরু করতে পারেন। তারপর আপনি যে সফটওয়্যার গুলো সবসময় ব্যবহার করেন সেগুলো ইন্সটল করে নিন। তার কারণ ডিপ ফ্রিজ ইন্সটল করার পর আপনি নতুন করে আর কোন সফটওয়্যার পিসিতে ইন্সটল করতে চাইলে, একটু সমস্যা আছে। এর সমাধানটা আমি নিচের দিকে উল্যেখ করবো।
এবার শুরু করি কিভাবে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন। আশা করছি Deep Freeze ডাউনলোড কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। এবার ইন্সটল করার পালা! প্রথমে আমার দেয়া জিপ ফাইলটাকে আনজিপ করুন। Deep Freeze ফোল্ডারটি ওপেন করে New text Document ওপেন করুন।এখান থেকে ফুল ভার্সন করার কিগুলো আগে কপি করে নিন। নিচের ছবির মত
 এবার সেটাপ ফাইলটার উপর রাইটে ক্লিক করে ওপেন করুন নিচের ছবির মতো
 তারপর রান এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 তারপর নেক্সট এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 তারপর i Accept The Terms এ ক্লিক করে Next এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 আগের কপি করা কিগুলো এখানে পেস্ট করুন নিচের ছবির মতো
 শুধুমাত্র C ড্রাইভ এর ঠিক চিহ্ন রেখে অন্য ড্রাইভ গুলোর ঠিক চিহ্ন গুলো ক্লিক করে করে উঠিয়ে দিয়ে, Next এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 Install এ ক্লিক করলে ইন্সটল প্রক্রিয়া শুরু হবে নিচের ছবির মতো
 এবার কম্পিউটারটি অটো রিস্টার্ট হবে, ওপেন হবার পরে নিচের ছবির মতো একটা মেসেজে আসবে আপনি Yes এ ক্লিক করুন
 এবার নিচের ছবির মতো ২বার নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আবার Apply & Reboot  ক্লিক করুন। কম্পিউটারটি অটো রিস্টার্ট হবে, ব্যাস কাজ শেষ। এবার মজা উপভোগ করুন। মজাই মজা।

  • এবার আপনার কম্পিউটার যেমন আছে সাড়া জীবন তেমন থাকবে!
  • পারফরমেন্স একচুল ও নরচর হবেনা!
  • জীবনেও ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে ঢুকতে পারবেনা!
  • এমনকি আপনার উইন্ডোজ ও যেমন আছে তেমন থাকবে!
  • আইপি এস না থাকলেও আপনার উইন্ডোজ দূর্বল হবেনা!
  • রিস্টার্ট দিলেই আপনি পাবেন নতুন এক উইন্ডোজ!
স্ক্রীনশট দেখে যদি ইন্সটল করতে যদি সমস্যা হয় তবে এই ভিডিও দেখে দেখে সহজেই ইন্সটল করে ফেলুন
https://youtu.be/XX5iEE644XQ
এবার বলবো এই সফটওয়্যার ইন্সটল দেবার পর নতুন কোনো সফটওয়্যার কিভাবে ইন্সটল করবেন। Shift key চেপে ধরুন নিচের ছবির মতো
 কম্পিউটারের নিচের ডান দিকে টাস্কবারের ডিপ ফ্রিজ আইকনে ডাবল ক্লিক করুন। নিচের ছবির মতো
 প্রথমে কিবোর্ড ক্লোজ করুন। তারপর পাসওয়ার্ড ঘরে সেইযে ডিপ ফ্রিজ ইন্সটল করার সময় ২বার পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মনে আছে, সেই পাসওয়ার্ড এখানে দিন, নিচের ছবির মতো।
 এবার যে উইন্ডো আসবে সেখান থেকে  Boot From Thawed সিলেক্ট করে Apply & Reboot এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো

এবার কম্পিউটার অটোমেটিক রিস্টার্ট হবে, ওপেন হলে নিচের দিকে দেখবেন টাস্কবারে Deep Freeze আইকনটাতে x cross চিহ্ন এসেছে, তার মানে এটা এখন ডিজাবল আছে। এখন অন্য যেকোনো সফটওয়্যার নতুন করে ইন্সটল করতে পারবেন। কোন সমস্যা হবেনা।
নতুন সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর, আবার এই Deep Freeze সফটওয়্যার টিকে ডিজাবল থেকে এনাবল করুন। এটি করতে Shitft key চেপে ধরে আগের মতো, নিচের টাস্কবারের Deep Freeze আইকনটাতে ডাবল ক্লিক করুন। তারপর পাসওয়ার্ড দিয়ে ok করে উপরের অপশন boot Frozen এ ক্লিক করে, Apply & Reboot এ ক্লিক করুন, ব্যাস কাজ শেষ।
বিঃদ্রঃ ভুলেও C ড্রাইভে কোন কিছু সেভ করে রাখবেননা! কারণ রিস্টার্ট দিলে সেভ করা ফাইল খুজে পাবেননা। C ড্রাইভ ছাড়া অন্য যেকোনো ড্রাইভে সেভ করতে পারবেন, কোনো সমস্যা হবেনা।

How to Uninstall Deep Freeze
অন্যান্য সফটওয়্যার থেকে এর আনইন্সটল পদ্ধতিটা একটু আলাদা! যদি কোনো কারণে যদি এই ডিপ Deep Freeze সফটওয়্যারটি আপনার আনইন্সটল করার প্রয়োজন পরে তবে- এই ভিডিওটা দেখে দেখেই আনইন্সটলের কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।
https://youtu.be/Y1CkJWe9LtY
দয়া করে টিউনটি কপি করবেননা একান্তই যদি করতেই হয়, তবে টিউনারের নাম এবং লিংক উল্যেখ করবেন। কিছুদিন আগে আমি অনলাইন আয়ের গোপন টিপস নামে এখানে একটা টিউন করেছিলাম টিউনটা চুরি করে ট্রিকবিডিতে এক ভাই নিজের নামে চালিয়ে দিলেন, তাও অসম্পূর্ন টিউন, আমার কোনো নাম গন্ধ নাই টিউনে! অথচ আমারি লেখা আরো দুই’টা টিউন ট্রিকবিডিতে ঝুলে আছে, পাবলিশ হচ্ছেনা, আপনারা কিছু বুঝতে পারলেন? আমি টিউন করলে পাবলিশ হয়না, কিন্তু আমার টিউন অন্যজন কপি করলে সেটা পাবলিশ হয়! দুনিয়াটা এমন কেনো খোদা?
যাক আবারো সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিলাম। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, টিউনারপেজ জিন্দাবাদ। এতোক্ষন কষ্ট করে আমার টিউনটা পড়ার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বি: দ্র: এই টিউনটি ২ ঘন্টা ২০মিনিট আগে আমার নিজের দ্বারা টেকটিউন্সে পাবলিশ হয়েছে।

MARI themes

Powered by Blogger.