ফ্রিল্যান্সিং কি?
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘ফ্রিল্যান্সিং’। ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা অর্থ হচ্ছে মুক্তভাবে কাজ করা। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, ফ্রিল্যান্সিং কি অনলাইনে করতে হয়? আরে ভাই, না। শুনুন তাহলে। মনে করুন, আপনি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। আপনি নতুন নির্মিত বিভিন্ন কোম্পানীর বিল্ডিংয়ের ওয়ারিং করেন চুক্তিতে বা মানুষের বাসায় গিয়েও ইলেক্ট্রিক কাজ করে থাকেন। এমনিভাবে, কোন ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার স্বাধীনভাবে যেকোন জায়গায় কাজ করার প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আর যারা এভাবে কাজ করেনা তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার
আউটসোর্সিং কি?
আউটসোর্সিং এর বাংলা অর্থ হচ্ছে অন্য উপায়ে কাজ করানো। নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যকার পার্থক্যটা ধরতে অসুবিধায় পড়ে যান। যেমন, কোন কন্ট্রাকটার কাজের কন্ট্রাক নিয়ে মিস্ত্রি বা শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে দেন। তেমনি মার্কেটপ্লেসে যারা আছেন সবাই তো কাজ পারেন না। অতএব তারা আউটসোর্সিং করেন। মানে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন।

অনলাইনে ইনকাম করা যায়?বর্তমানে যুগ, তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমরা আগে যে কাজ ছোট্ট একটি গ্রামে সম্পাদন করতে পারতাম। আজ তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করতে পারছি। যেমন কোন টি-শার্ট বিক্রেতা শুধু তার দোকানেই নয় অনলাইনেও এখন টি-শার্ট বিক্রি করতে পারছে। ইন্টারনেট বিশ্বটাকে বিশ্বগ্রামে পরিণত করেছে। আর দ্বার খুলেছে মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিশাল বাজারের।
বাস্তব জগতে আমরা কিছু করতে না পারলেও ভার্চুয়াল জগতে পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবি। সবার মাথায় একটাই টেনশন, কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়!
আরে ভাই থামেন! অনলাইনে ইনকাম করা যায় ব্যাপারটা এমন না। বরং অনলাইনে যেকোন একটা কাজ করে ইনকাম করতে হয়। যেমন আপনি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে ব্লগ খুলে লেখালেখি শুরু করুন। জনপ্রিয় হয়ে গেলে বিজ্ঞাপন বসিয়ে ইনকাম করুন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন পারেন, হুম আসুন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বিদেশী কোম্পানী বা ব্যক্তির সাথে কাজ করতে পারবেন।
অনলাইনে কি সব কাজ করা যায়?কখনই না। আপনি ভালো রান্না করতে পারেন, তার মানে এ নয় যে, অনলাইনে রান্না করবেন। আবার আপনি ভালো একজন টেইলর। আপনি অনেক সুন্দর করে কাপড় সেলাই করতে পারেন। তার মানে এই নয় আপনি অনলাইনে সেলাই করবেন।
তবে হ্যা, ভালো খাবার রান্না করে অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রি করতে পারবেন। আর ভালো ভালো জামা কাপড় বানিয়েও এটা করতে পারবেন। এখানেই ইন্টারনেটের স্বার্থকতা।

তাহলে অনলাইনভিত্তিক কাজ কি কি?
ভার্চুয়াল যা কিছু আছে এসবের কাজ অনলাইনে করা যায়। অনলাইন ভিত্তিক কিছু কাজ এখানে ‍উল্লেখ করা হলো-
* Web, Mobile & Software Dev   * Design & Creative * Admin Support * IT & Networking * Writing   * Sales & Marketing  * Customer Service * Data Science & Analytics  * Translation  * Engineering & Architecture * Legal   * Accounting & Consulting
ভয় পেয়ে গেলেন? এগুলো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক থেকে নেয়া। আমাদের দেশে জনপ্রিয় কয়েকটি কাজ আছে। যেগুলো শিখে অনেকেই সফলত হতে পেরেছেন। চাইলে আপনিও আপনার পছন্দ মতো এর যেকোন একটা শিখে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
১. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
৪. এন্ড্রয়েড, আইওএস এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
৫. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্রোগ্রামিং
৬. ইউটিউব মার্কেটিং
৭. সিপিএ বা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৮. ভিডিও এডিটিং
৯. ফরেক্স (জনপ্রিয় কিন্তু ৯০% লোক ব্যর্থ হয়)
এগুলো ছাড়াও প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, পেইন্টিং, স্কাল্পটিং, বিজ্ঞাপন, জনসংযোগ, ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্যাড, আর্কিটেকচার, নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার ডেভেলপ, লিগ্যাল সার্ভিস, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ, লেখা, সম্পাদনা, অনুবাদ, টেলিমার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, ভিডিওগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ব্রডকাস্টিং, মিউজিক তৈরির মতো কাজও আপনি পেতে পারেন।
এখন থেকেই ভাবা শুরু করে দিন আপনি কোন কাজ শিখবেন, কেন শিখবেন। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আরো কিছু নিয়ে আসবো। ধন্যবাদ সাথেই থাকবেন।


এমবিএ শেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেয়েও যোগদান না করে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া সেই রবিউল আলম বিপ্লব এখন দেশের একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এরই মধ্যে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি এ্যাফিলেট মার্কেটিং ও গুগল অ্যাডসেন্সে কাজ শুরু করেন ২০০৯ সালে। ১১ মাসে মাত্র ১০০ ডলার আয়ের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন তার ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার। এখন নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ তার।
রবিউল আলম বিপ্লব কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৮ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিবিএস (সম্মান) ও ২০০৯ সালে এমবিএস (স্নাতকোত্তর) করেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১০ সালে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে (এইচআরএম) এমবিএ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করে­­­ আসছেন।
এমবিএ শেষে প্রতিষ্ঠিত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি যোগদান করেননি। তার ইচ্ছা ছিল সাংবাদিকতার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়া। তিনি রংপুরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক গণআলো ও পরে দৈনিক মায়াবাজারে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগে আউটসোর্সিং বিষয়ে তার একাধিক টিউটোরিয়াল প্রকাশ হতে থাকে। মায়াবাজার পত্রিকাতেও তিনি আউটসোর্সিং নামে একটি বিভাগ চালু করেন।
এ সময় দৈনিক মায়াবাজারের তত্কালীন নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রউফ সরকার আউটসোর্সিংয়ে তার অভিজ্ঞতা দেখে তাকে আইটি ফার্ম করার পরামর্শ ও উত্সাহ দেন। সেই শুরু। রংপুরে ‘বিপিইউএস আইটি সেন্টার’ নামে একটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এতে শুরুতেই ৩০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এর কিছুদিন পরেই গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে রংপুরের পীরগাছার প্রত্যন্ত পল্লীতে পৃথক দুটি ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামাঞ্চলে আউটসোর্সিংয়ে প্রধান বাধা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। এজন্য তিনি ১২০ ফুট উচ্চতার নিজস্ব টাওয়ার দিয়ে রেডিও লিংকের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছেন।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ২টি কোচ (বাস) ক্রয় করে তিনি বিপ্লব ট্রাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছেন। পাশাপাশি সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত বিপ্লব পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজ করছেন। একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
রবিউল আলম বিপ্লব তার উদ্যোগ ও ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে বলেন, ‘শুরু থেকেই সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। আউটসোর্সিংয়ে সফল হতে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ১০০ ডলার আয় করতে ১১ মাস সময় লেগেছিল। যে কাজ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে শুরু করেছিলাম, তা এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এখন আমি নিজেই একজন উদ্যোক্তা।’

আপনাকে এখন আর হন্যে হয়ে ভর্তির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ওয়েবে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না ।
ভার্সিটি এডমিশন তথ্য সম্পর্কিত পরিপূর্ণ একটি অ্যাপ , ভার্সিটি এডমিশন প্রত্যাশীদের জন্য ।
এখানে এডমিশন প্রত্যাশীরা সকল পাবলিক , প্রাইভেট , বুয়েট , মেডিক্যাল সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবে । এই অ্যাপ এর মাধ্যমে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার তারিখ , পদ্ধতি , আবেদন প্রসেস ,রেজাল্ট সহ সকল তথ্য পাবলিশ হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন । এবং এই সকল তথ্য আপনার ফোনে নটিফিকেশনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে ।

আপনাকে এখন আর হন্যে হয়ে ভর্তির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ওয়েবে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না ।
কিছু প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক করছে …… !
১ – এই আপ টি কাদের জন্য ?
উত্তর – যে কোন ভার্সিটি ভর্তি প্রত্যাশী সকল ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক সকলের জন্য ।
২ – তারিখ বা রেজাল্ট পাবলিশ হলে নোটিফিকেশন আমি সাথে সাথে কিভাবে পাবো ?
উত্তর – যে কোন ভার্সিটির তথ্য আপডেট হলে আপনার আপ যদি অফ ও থাকে আপনাকে একটি ম্যাসেজ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তথ্যটি পাঠিয়ে দেয়া হবে ।
৩ – আমি আমার পছন্দের ভার্সিটি কিভাবে সিলেক্ট করে রাখবো ?
উত্তর – প্রত্যেক ভার্সিটির লিস্টের পাশে একটি ফেভারিট বাটন আছে । এই আইকনে প্রেস করলে সেই ভার্সিটি আপনার পছন্দের লিস্টে চলে যাবে । এবং আপনি পরবর্তীতে “ Favorite ” প্যানেলে গিয়ে শুধু আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পাবেন ও সেগুলোর তথ্য ও আপনার কাছে চলে যাবে ।
৪ – নেট না থাকলে আমি কি সকল ডাটা পাবো ?
উত্তর – হ্যাঁ , একবার নেট অন করে নিলে সেই তথ্য আপনার ডিভাইসের অফলাইনেও সেভ হয়ে থাকবে । পরবর্তীতে কোন ডাটা কানেকশন ছাড়াই আপনি সেই তথ্য পেয়ে যাবেন ।
তবে রিয়েল টাইমে নোতিফিকেশন এর জন্য নেট কানেকশন থাকা উত্তম ।
———————————————————–
ভার্সিটির এই ভর্তি যুদ্ধে আমরা আপনার সহযোগী হতে চাই ।
Download Link: https://goo.gl/kDNr6w

MARI themes

Powered by Blogger.