শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল। তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবি অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তা নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে।


ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে। তাই বলে কী এসব নামে নাম বা উপনাম রাখা ঠিক হবে?

ব্যক্তির নাম তার স্বভাব চরিত্রের উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বর্ণিত আছে। শাইখ বকর আবু যায়েদ বলেন, ঘটনাক্রমে দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এটাই আল্লাহর তাআলার হেকমতের দাবি। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। খারাপ নামের অধিকারী লোকের চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে। ভাল নামের অধিকারী ব্যক্তির চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।

রাসূল (সা.) কারো ভাল নাম শুনে আশাবাদী হতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় মুসলিম ও কাফের দুপক্ষের মধ্যে টানাপোড়নের এক পর্যায়ে আলোচনার জন্য কাফেরদের প্রতিনিধি হয়ে সুহাইল ইবনে আমর নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এল তখন রাসূল (সা.)সুহাইল নামে আশাবাদী হয়ে বলেন- সুহাইল তোমাদের জন্য সহজ করে দিতে এসেছেন।সুহাইল শব্দটি সাহলুন (সহজ) শব্দের ক্ষুদ্রতা নির্দেশক রূপ। যার অর্থ হচ্ছে- অতিশয় সহজকারী। বিভিন্ন কবিলার ভাল অর্থবোধক নামে রাসূল (সা.)আশাবাদী হওয়ার নজির আছে। তিনি বলেছেন: গিফার (ক্ষমা করা) কবিলা তথা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন। আসলাম (আত্মসমর্পণকারী/শান্তিময়)কবিলা বা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ শান্তি দিন।

নিম্নে আমরা নবজাতকের নাম রাখার ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য কিছু নীতিমালা তুলে ধরব:

এক: নবজাতকের নাম রাখার সময়কালের ব্যাপারে রাসূল (সা.)থেকে তিনটি বর্ণনা রয়েছে। শিশুর জন্মের পরপরই তার নাম রাখা। শিশুর জন্মের তৃতীয় দিন তার নাম রাখা। শিশুর জন্মের সপ্তম দিন তার নাম রাখা। এর থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম এ বিষয়ে মুসলিমদেরকে অবকাশ দিয়েছে। যে কোনোটির উপর আমল করা যেতে পারে। এমনকি কুরআনে আল্লাহ তাআলা কোনো কোনো নবীর নাম তাঁদের জন্মের পূর্বে রেখেছেন মর্মে উল্লেখ আছে।

দুই: আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে রাসূল (সা.)বলেছেন - إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ অর্থ-তোমাদের নামসমূহের মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে- আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) ও আব্দুর রহমান (রহমানের বান্দা)।এ নাম দুটি আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণ হল- নাম দুটিতে আল্লাহর দাসত্বের স্বীকৃতি রয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর দুটি নাম এ নামদ্বয়ের সাথে সম্বন্ধিত আছে। একই কারণে আল্লাহর অন্যান্য নামের সাথে আরবী আবদ (বান্দা বা দাস) শব্দটিকে সমন্ধিত করে নাম রাখাও উত্তম।

তিন: যে কোনো নবীর নামে নাম রাখা ভাল। যেহেতু তাঁরা আল্লাহর মনোনীত বান্দা। হাদিসে এসেছে নবী (সা.)বলেছেন- তোমরা আমার নামে নাম রাখ। আমার কুনিয়াতে (উপনামে) কুনিয়ত রেখো না। নবী (সা.)এর কুনিয়ত ছিল- আবুল কাসেম। নবী করীম (সা.)তাঁর নিজের সন্তানের নাম রেখেছিলেন ইব্রাহিম। কুরআনে কারীমে ২৫ জন নবী-রাসূলের নাম বর্ণিত আছে মর্মে আলেমগণ উল্লেখ করেছেন। এর থেকে পছন্দমত যে কোনো নাম নবজাতকের জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে।

চার: নেককার ব্যক্তিদের নামে নাম রাখাও উত্তম। এর ফলে সংশ্লিষ্ট নামের অধিকারী ব্যক্তির স্বভাবচরিত্র নবজাতকের মাঝে প্রভাব ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায়। এ ধরনের আশাবাদ ইসলামে বৈধ। এটাকে তাফাউল (تَفَاؤُلٌ) বলা হয়। নেককার ব্যক্তিদের শীর্ষস্থানে রয়েছেন রাসূল (সা.)এর সাহাবায়ে কেরাম। তারপর তাবেয়িন। তারপর তাবে-তাবেয়িন। এরপর আলেম সমাজ।

পাঁচ: আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়। দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে। খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে। এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।[সূরা আহযাব ৩৩:৫]

শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন। তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার।

ছয়: কোনো ব্যক্তির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য তাকে তার সন্তানের নাম দিয়ে গঠিত কুনিয়ত বা উপনামে ডাকা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বড় সন্তানের নামের পূর্বে আবু বা পিতা শব্দটি সম্বন্ধিত করে কুনিয়ত রাখা উত্তম। যেমন- কারো বড় ছেলের নাম যদি হয় উমর তার কুনিয়ত হবে আবু উমর (উমরের পিতা)। এক্ষেত্রে বড় সন্তানের নাম নির্বাচন করার উদাহরণ রাসূল (সা.) এর আমল থেকে পাওয়া যায়। এক সাহাবীর কুনিয়াত ছিল আবুল হাকাম। যেহেতু হাকাম আল্লাহর খাস নাম তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পরিবর্তন করে দিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: তোমার ছেলে নেই? সাহাবী বললেন, শুরাইহ, মুসলিম ও আব্দুল্লাহ। তিনি বললেন: এদের মধ্যে বড় কে? সাহাবী বললেন: শুরাইহ। তখন রাসূল (সা.)বললেন- তোমার নাম হবে: আবু শুরাইহ।

সাত: যদি কারো নাম ইসলামসম্মত না হয়; বরঞ্চ ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ এমন নাম হয় তাহলে এমন নাম পরিবর্তন করা উচিত। যেমন- ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিস হতে আমরা জানতে পেরেছি একজন সাহাবীর সাথে ‘হাকাম’ শব্দটি সংশ্লিষ্ট হয়েছিল, কিন্তু হাকাম আল্লাহর খাস নামসমূহের একটি; তাই রাসূল (সা.) তা পরিবর্তন করে দিয়ে তাঁর নাম রেখেছেন আবু শুরাইহ।

মহিলা সাহাবী যয়নব (রা.)এর নাম ছিল বার্‌রা (بَرَّةٌ -পূর্ণবতী)। তা শুনে রাসূল (সা.)তাঁকে বললেন তুমি কি আত্মস্তুতি করছ? তখন রাসূল (সা.)তাঁর নামও পরিবর্তন করে ‘যয়নব’ রাখলেন।

আট: সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশে বাংলা শব্দে নাম রাখার প্রবণতা দেখা যায়। ইসলামী নীতিমালা লঙ্ঘিত না হলে এবং এতদঅঞ্চলের মুসলিমদের ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে এমন নাম রাখাতে দোষের কিছু নেই।‘আল-মাউসুআ আলফিকহিয়া কুয়েতিয়া’ তথা কুয়েতস্থ ফিকহ বিষয়ক বিশ্বকোষ গ্রন্থে বলা হয়েছে- নাম রাখার মূলনীতি হচ্ছে- নবজাতকের যে কোনো নাম রাখা জায়েয; যদি না শরিয়তে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে। কিন্তু অনন্ত, চিরঞ্জীব, মৃত্যুঞ্জয় এ অর্থবোধক নাম কোনো ভাষাতেই রাখা কোনো অবস্থায় জায়েয নয়। কারণ নশ্বর সৃষ্টিকে অবিনশ্বর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর গুণাবলীতে ভূষিত করা জায়েয নেই।

ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম

এক: আল্লাহর নাম নয় এমন কোনো নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন- আব্দুল ওজ্জা (ওজ্জার উপাসক), আব্দুশ শামস (সূর্যের উপাসক), আব্দুল কামার (চন্দ্রের উপাসক),আব্দুল কালাম (কথার দাস), আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের দাস), আব্দুন নবী (নবীর দাস), গোলাম নবী (নবীর দাস), আব্দুস শামছ (সূর্যের দাস), আব্দুল কামার (চন্দ্রের দাস), আব্দুল আলী (আলীর দাস), আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের দাস), আব্দুল আমীর (গর্ভনরের দাস), গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস), গোলাম আবদুল কাদের (আবদুল কাদেরের দাস)ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় নামের মধ্যে আব্দ শব্দটা থাকলেও ডাকার সময় আব্দ শব্দটা ছাড়া ব্যক্তিকে ডাকা হয়। যেমন আব্দুর রহমানকে ডাকা হয় রহমান বলে। আব্দুর রহীমকে ডাকা হয় রহীম বলে। এটি অনুচিত। আর যদি দ্বৈত শব্দে গঠিত নাম ডাকা ভাষাভাষীদের কাছে কষ্টকর ঠেকে সেক্ষেত্রে অন্য নাম নির্বাচন করাটাই শ্রেয়। এমনকি অনেক সময় আল্লাহর নামকে বিকৃত করে ডাকার প্রবণতাও দেখা যায়। এ বিকৃতির উদ্দেশ্য যদি হয় আল্লাহকে হেয় করা তাহলে ব্যক্তির ঈমান থাকবে না। আর এই উদ্দেশ্য না থাকলেও এটি করা অনুচিত।

দুই: অনুরূপভাবে যেসব নামকে কেউ কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব নামের সাথে আব্দ বা দাস শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম। যেমন- আব্দুল মাবুদ (মাবুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি; বরং আল্লাহর বিশেষণ হিসেবে এসেছে), আব্দুল মাওজুদ (মাওজুদ শব্দটি আল্লাহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি)।
তিন: মানুষ যে উপাধির উপযুক্ত নয় অথবা যে নামের মধ্যে মিথ্যাচার রয়েছে অথবা অসার দাবী রয়েছে এমন নাম রাখা হারাম। যেমন- শাহেনশাহ (জগতের বাদশাহ) বা মালিকুল মুলক (রাজাধিরাজ) নাম বা উপাধি হিসেবে নির্বাচন করা। সাইয়্যেদুন নাস (মানবজাতির নেতা) নাম রাখা। একই অর্থবোধক হওয়ার কারণে মহারাজ নাম রাখাকেও হারাম বলা হয়েছে।

চার: যে নামগুলো আল্লাহর জন্য খাস সেসব নামে কোন মাখলুকের নাম রাখা বা কুনিয়ত রাখা হারাম। যেমন- আল্লাহ, আর-রহমান, আল-হাকাম, আল-খালেক ইত্যাদি। তাই এসব নামে কোন মানুষের নাম রাখা সমীচীন নয়। পক্ষান্তরে আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে যেগুলো শুধু আল্লাহর জন্য খাস নয়; বরং সেগুলো আল্লাহর নাম হিসেবেও কুরআন হাদিসে এসেছে এবং মাখলুকের নাম হিসেবেও এসেছে সেসব নাম দিয়ে মাখলুকের নাম রাখা যেতে পারে।

কুরআনে এসেছে- قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ অর্থ- আল আযিযের স্ত্রী বলেছেন[সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫১]।

যেসব নাম রাখা মাকরুহ

এক: এমন শব্দে দিয়ে নাম রাখা যার অনুপস্থিতিকে মানুষ কুলক্ষণ মনে করে। যেমন- কারো নাম যদি হয় রাবাহ (লাভবান)। কেউ যদি রাবাহকে ডাকে, আর রাবাহ বাড়িতে না থাকে তখন বাড়ির লোকদেরকে বলতে হবে রাবাহ বাড়িতে নেই। এ ধরনের বলাকে সাধারণ মানুষ কুলক্ষণ মনে করে। অনুরূপভাবে আফলাহ (সফলকাম), নাজাহ (সফলতা) ইত্যাদির নামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নবী (সা.) এই ধরনের নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। পরবর্তীতে নিষেধ না করে চুপ থেকেছেন।

দুই: যেসব নামের মধ্যে আত্মস্তুতি আছে সেসব নাম রাখা মাকরুহ। যেমন, মুবারক (বরকতময়) যেন সে ব্যক্তি নিজে দাবি করছেন যে তিনি বরকতময়, হতে পারে প্রকৃত অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। অনুরূপভাবে রাসূল (সা.)এক মহিলা সাহাবীর নাম বার্‌রা (পূন্যবতী) থেকে পরিবর্তন করে তার নাম দেন যয়নব। এবং বলেন: তোমরা আত্মস্তুতি করো না। আল্লাহই জানেন কে পূন্যবান।

তিন: দাম্ভিক ও অহংকারী শাসকদের নামে নাম রাখা। যেমন- ফেরাউন, হামান, কারুন, ওয়ালিদ। শয়তানের নামে নাম রাখা। যেমন- ইবলিস, ওয়ালহান, আজদা, খিনজিব, হাব্বাব ইত্যাদি।

চার: যে সকল নামের অর্থ মন্দ। মানুষের স্বাভাবিক রুচিবোধ যেসব শব্দকে নাম হিসেবে ঘৃণা করে; ভদ্রতা ও শালীনতার পরিপন্থী কোন শব্দকে নাম বা কুনিয়ত হিসেবে গ্রহণ করা। যেমন, কালব (কুকুর) মুররা (তিক্ত) হারব (যুদ্ধ)।

পাঁচ: একদল আলেম কুরআন শরীফের মধ্যে আগত অস্পষ্ট শব্দগুলোর নামে নাম রাখাকে অপছন্দ করেছেন। যেমন- ত্বহা, ইয়াসীন, হামীম ইত্যাদি।

ছয়: অনুরূপভাবে আল্লাহর সাথে আব্দ (দাস) শব্দ বাদে অন্য কোন শব্দকে সম্বন্ধিত করা। যেমন- রহমত উল্ল্যাহ (আল্লাহর রহমত)। শায়খ বকর আবু যায়দের মতে রাসূল শব্দের সাথে কোন শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও মাকরূহ। যেমন- গোলাম রাসূল (গোলাম শব্দটিকে যদি আরবী শব্দ হিসেবে ধরা হয় এর অর্থ হবে রাসূলের চাকর বা বাছা তখন এটি মাকরূহ। আর যেসব ভাষায় গোলাম শব্দটি দাস অর্থে ব্যবহৃত হয় সেসব ভাষার শব্দ হিসেবে নাম রাখা হয় তখন এ ধরনের নাম রাখা হারাম যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।)

আল্লাহর নামের সাথে আব্দ শব্দ সম্বধিত করে কিছু নির্বাচিত নাম:

আব্দুল আযীয (عَبْدُ الْعَزِيْزِ- পরাক্রমশালীর বান্দা), আব্দুল মালিক (عَبْدُ الْمَالِكِ-মালিকের বান্দা), আব্দুল কারীম (عَبْدُ الْكَرِيْمِ-সম্মানিতের বান্দা), আব্দুর রহীম (عَبْدُ الرَّحِيْمِ-করুণাময়ের বান্দা), আব্দুল আহাদ (عَبْدُ الْأَحَدِ- একক সত্তার বান্দা), আব্দুস সামাদ (عَبْدُ الصَّمَدِ- পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্বের অধিকারীর বান্দা), আব্দুল ওয়াহেদ (عَبْدُ الْوَاحِدِ-একক সত্তার বান্দা), আব্দুল কাইয়্যুম (عَبْدُ الْقَيُّوْمِ-অবিনশ্বরের বান্দা), আব্দুস সামী (عَبْدُ السَّمِيْعِ-সর্বশ্রোতার বান্দা), আব্দুল হাইয়্য (عَبْدُ الْحَيِّ-চিরঞ্জীবের বান্দা), আব্দুল খালেক (عَبْدُ الْخَالِقِ-সৃষ্টিকর্তার বান্দা), আব্দুল বারী (عَبْدُ الْبَارِيْ-স্রষ্টার বান্দা), আব্দুল মাজীদ (عَبْدُ الْمَجِيْدِ-মহিমান্বিত সত্তার বান্দা) ইত্যাদি।

নবী ও রাসূলগণের নাম

সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হচ্ছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (مُحَمَّدٌ); তাঁর অন্য একটি নাম হচ্ছে- আহমাদ (أَحْمَدُ)। শ্রেষ্ঠতম পাঁচজন রাসূলের নাম হচ্ছে- নূহ (نُوْحٌ), ইব্রাহীম (إبْرَاهِيْمُ), মুসা (مُوْسَى), ঈসা (عِيْسَى) ও মুহাম্মদ (مُحَمَّدٌ)। এগুলো ছাড়াও কুরআনে কারীমে আরো কিছু নবী ও রাসূলের নাম এসেছে সেগুলো হচ্ছে- হুদ (هُوْدٌ), সালেহ (صَالِحٌ), শুআইব (شُعَيْبٌ), দাউদ (دَاوُدُ), ইউনুস (يُوْنُسُ), ইয়াকুব (يَعْقُوْبٌ), ইউসুফ (يُوْسُفُ), ইসহাক (اِسْحَاقٌ), আইয়ুব (أَيُّوْبُ), যাকারিয়া (زَكَرِيَّا), লূত (لُوْطٌ), হারুন (هَارُوْنٌ), ইসমাঈল (اِسْمَاعِيْلُ), ইয়াহইয়া (يَحْيى), যুল-কিফেল (ذُو الْكِفْلِ), আল-ইসাআ (اَلْيَسَع), আদম (آدم) ও একজন নেককার বাদশাহ হিসেবে ‘যুলকারনাইন’ (ذُو الْقَرْنَيْنِ) ইত্যাদি।

নির্বাচিত কিছু পুরুষ সাহাবীর নাম

সাহাবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন- চারজন খলিফা। মর্যাদা অনুযায়ী তাঁদের সুপরিচিত নাম বা উপনাম হচ্ছে- আবু বকর (أَبُوْ بَكْر), উমর (عُمَرُ), উসমান (عُثْمَانُ), আলী (عَلِيٌّ)। এর পরের মর্যাদায় রয়েছেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত বাকী ৬ জন সাহাবী। তাঁদের নাম হচ্ছে- আব্দুর রহমান (عبد الرحمن), যুবাইর (الزبير), তালহা (طَلْحَةُ), সাদ (سَعْدٌ), আবু উবাইদা (أَبُوْ عُبَيْدَةُ), সাঈদ (سَعِيْدٌ)। এরপর মর্যদাবান হচ্ছেন- বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ। বিশিষ্ট সাহাবী যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহ তার ৯ জন ছেলের নাম রেখেছিলেন বদরের যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৯ জন সাহাবীর নামে। তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ (عَبْدُ الله), মুনযির (مُنْذِرٌ), উরওয়া (عُرْوَةُ), হামযা (حَمْزَةُ), জাফর (جَعْفَرٌ), মুস‘আব (مُصْعَبٌ), উবাইদা (عُبَيْدَةُ), খালেদ (خَالِدٌ), উমর (عُمَرُ)।

মেয়ে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম

রাসূল (সা.)এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম: খাদিজা (خَدِيْجَةُ), সাওদা (سَوْدَةُ), আয়েশা (عَائِشَةُ), হাফসা (حَفْصَةُ), যয়নব (زَيْنَبُ), উম্মে সালামা (أُمِّ سَلَمَة), উম্মে হাবিবা (أُمِّ حَبِيْبَة), জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَةُ), সাফিয়্যা (صَفِيَّةُ)।

রাসূল (সা.)এর কন্যাদের নাম: ফাতেমা (فَاطِمَةُ), রোকেয়া (رُقَيَّةُ), উম্মে কুলসুম (أُمُّ كلْثُوْم)। আরো কিছু নেককার নারীর নাম- সারা (سَارَة), হাজেরা (هَاجِر), মরিয়ম (مَرْيَم)।

মহিলা সাহাবীদের নাম- রুফাইদা (رُفَيْدَةُ -সামান্য দান), আমেনা (آمِنَةُ -প্রশান্ত আত্মা), আসমা (أَسْمَاءُ -নাম), রাকিকা (رَقِيْقَةٌ-কোমলবতী), নাফিসা (نَفِيْسَةُ-মূল্যবান), উমামা (أُمَامَةُ- তিনশত উট), লায়লা (لَيْلى -মদ), ফারিআ (فَرِيْعَةُ -লম্বাদেহী), আতিকা (عَاتِكَةُ -সুগন্ধিনী), হুযাফা (حُذَافَةُ-সামান্য বস্তু), সুমাইয়্যা (سُمَيَّةُ -আলামত), খাওলা (خَوْلَةُ-সুন্দরী), হালিমা (حَلِيْمَةُ -ধৈর্য্যশীলা), উম্মে মাবাদ (أم مَعْبَد-মাবাদের মা), উম্মে আইমান (أمَّ أَيْمَن-আইমানের মা), রাবাব ( رَبَاب-শুভ্র মেঘ), আসিয়া (آسِيَةُ-সমবেদনা প্রকাশকারিনী), আরওয়া (أرْوَى -কোমল ও হালকা), আনিসা (أنِيْسَةُ -ভাল মনের অধিকারিনী), জামিলা (جَمِيْلَةُ-সুন্দরী), দুর্‌রা (دُرَّة-বড় মতি), রাইহানা (رَيْحَانَة-সুগন্ধি তরু), সালমা (سَلْمى-নিরাপদ), সুআদ (سُعَاد-সৌভাগ্যবতী), লুবাবা (لُبَابَة-সর্বোত্তম), আলিয়া (عَلِيَّةُ-উচ্চমর্যাদা সম্পন্না), কারিমা (كَرِيْمَةُ-উচ্চবংশী)।

মেয়েদের আরো কিছু সুন্দর নাম- ছাফিয়্যা (صَفِيَّةُ), খাওলা (خَوْلَةُ), হাসনা (حَسْنَاء-সুন্দরী), সুরাইয়া (الثُّرَيا-বিশেষ একটি নক্ষত্র), হামিদা (حَمِيْدَةُ-প্রশংসিত), দারদা (دَرْدَاءُ), রামলা (رَمْلَةُ- বালিময় ভূমি), মাশকুরা (مَشْكُوْرَةٌ-কৃতজ্ঞতাপ্রাপ্ত), আফরা (عَفْرَاءُ-ফর্সা)।

ছেলে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম

উসামা (أسامة-সিংহ), হামদান (প্রশংসাকারী), লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান), রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল), রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ), মামদুহ (مَمْدُوْح-প্রশংসিত), নাবহান (نَبْهَان- খ্যাতিমান), নাবীল (نَبِيْل-শ্রেষ্ঠ), নাদীম (نَدِيْم-অন্তরঙ্গ বন্ধু), ইমাদ (عِمَاد- সুদৃঢ়স্তম্ভ), মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ), মাইমূন (مَيْمُوْن- সৌভাগ্যবান), তামীম (تَمِيْم-দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ), হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি), (بَدْرٌ-পূর্ণিমার চাঁদ), হাম্মাদ (حَمَّادٌ-অধিক প্রশংসাকারী), হামদান (حَمْدَانُ-প্রশংসাকারী), সাফওয়ান (صَفْوَانُ-স্বচ্ছ শিলা), গানেম (غَانِمٌ-গাজী, বিজয়ী), খাত্তাব (خَطَّابٌ-সুবক্তা), সাবেত (ثَابِتٌ-অবিচল), জারীর (جَرِيْرٌ- রশি), খালাফ (خَلَفٌ- বংশধর), জুনাদা (جُنَادَةُ- সাহায্যকারী), ইয়াদ (إِيَادٌ-শক্তিমান), ইয়াস (إِيَاسٌ-দান), যুবাইর (زُبَيْرٌ- বুদ্ধিমান), শাকের (شَاكِرٌ-কৃতজ্ঞ), আব্দুল মুজিব (عَبْدُ الْمُجِيْبِ- উত্তরদাতার বান্দা), আব্দুল মুমিন (عَبْدُ الْمُؤْمِنِ- নিরাপত্তাদাতার বান্দা), কুদামা (قُدَامَةُ- অগ্রণী), সুহাইব (صُهَيْبٌ-যার চুল কিছুটা লালচে) ইত্যাদি।



কালো করে একটা মেয়ে ছোট একটা জবের জন্য বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব রেস্টুরেন্টের মালিক সোজা বলে দিচ্ছে, দেখো, আমাদের এখানে কোনো লোক লাগবে না। অন্য কোথাও যাও। কালো মেয়েটা হতাশ হয়ে অন্য রেস্টুেরেন্টে যায়।

এভাবে একদিন জব পেয়ে গেলো এক রেস্টুরেন্টে। মালিক প্রথম দিনই তাকে বলে দিলো, কখনও দেরি করে আসা চলবে না। তাহলে চাকরি বাতিল। সবকিছু মাথায় রেখেই মেয়েটা কাজ করে যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে। খাবারের অর্ডার নিচ্ছে, তারপর খাবার পৌঁছে দিচ্ছে টেবিলে টেবিলে। খাওয়া শেষ হওয়ার পর টেবিল পরিস্কার করছে। কাজের কিছু অদক্ষতায় বকাও খাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।
কখনও হয়তো কোনো কাস্টমারের সামনে থেকে কফির মগ নিতে গিয়ে গায়ে একটু কফি ফেলে দিয়েছে। কাস্টমার প্রচণ্ড রেগে নালিশ করেছে মালিকের কাছে। মেয়েটি হয়তো কাঁদো কাঁদো গলায় মালিককে সরি বলে কোনোভাবে পার পেয়ে গেছে।

গায়ের রঙ কালো বলে সম্ভবত রেস্টুরেন্টের অন্য ছেলেরা তাকে খুব একটা পাত্তাও দেয়নি কিংবা কোনোদিন তার সহকর্মীর জন্মদিনে তার বাসায় গেলো। কেক কাটার পর যে খাবার দেয়া হলো, সহকর্মী লক্ষ্য করে দেখলো কালো মেয়েটি সেটি একদমই খেতে পারছে না। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, খাবারে সমস্যা কিনা। কালো মেয়েটি বললো, -না, পেট ভরা, তাই খেতে পারছে না।

কোনোদিন হয়তো রেস্টুরেন্টের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কম দামি গাড়িতে করে কোথাও ঘুরতেও গিয়েছিলো কালো মেয়েটি। কম দামি গাড়িতে বেশ কষ্টও হয়েছে তার। মুখ খুলে কিছু বলেনি কাউকে। সবকিছু চেপে গেছে আর ভেবে নিয়েছে, আমি অন্য দশটি মানুষের মতোই মানুষ। তারা পারলে আমি পারবো না কেনো।

দিন হয়তো এভাবেই যাচ্ছিলো। একদিন তার সহকর্মীর কেউ একজন দেখলো যে, কালো মেয়েটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার পর আড়াল থেকে ছয়জন বিশালদেহি মানুষ তাকে ঘিরে রাখে। রেস্টুরেন্টে শুরু হলো গুঞ্জন, কানাকানি। এভাবে ঘটনা চলে যায় সাংবাদিকদের কাছে। বেরিয়ে আসে কালো মেয়েটির পরিচয়। সবাই জানতে পারে, কালো মেয়েটি প্রেসিডেন্টের মেয়ে। তারপর দেশে দেশে আলোচনা উঠে, নিউজ হয়।
বিশ্ব জেনে যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছোট মেয়ে সাশা ওবামা নিজের পরিচয় লুকিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন । গ্রীষ্মকালীন ছুটির ফাঁকে ম্যাসাচুসেটসের মার্থাস ভিনিয়ার্ড নামের একটি দ্বীপের ওই রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছেন তিনি। অনেকদিন পর্যন্ত সাশার সহকর্মীরাও তাকে চিনতে পারেনি। পরে রেস্টুরেন্ট ঘিরে সার্বক্ষণিক ছয়জন গোয়েন্দার অবস্থান বিষয়টিকে স্পষ্ট করে তোলে।

এদিকে বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা বলেন, -"সন্তানদেরকে একটা বয়সের পরে রাজকীয় বিলাসিতা ছাড়তে বাধ্য করেছি। কারণ তাদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে। অন্য দশটা মানুষের মতোই বাঁচতে শিখতে হবে তাদের।"


জীবনে চলার গতিপথে হাজার মনের সাথে
হয়েছে আমার মনের শত যোগাযোগ,
এখনো পাইনি আমি আপনার মত করে
খুব সাধারণ একটি মনের খোঁজ ।
ব্যস্ততার ঘেড়াকলে ভালবাসা কারে বলে
সেসব কিছু ভুলে, সবার ভিতরেই শুধু অর্থের লোভ ।
আমি দেখেছি উৎ পেতে নেত্র মেলে
অর্থ গাম্ভীর্যের মত্ত ধ্যানে সবার মাঝেই
ক্রোধে ভরা অহংকারবোধ ।
সত্য সুপথ ভুলে হিংসা বিদ্বেষ ভরা সুযোগ পেলেই
অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয় সবাই নিজের সব দোষ,
আহা ! এটাই আমার মহা ক্ষোভ আপছোস ।
এই মহা ভূবন জুড়ে হাজার কোটি মানুষের বসবাস
কত ছলা-কলা কৌশলে, নিত্য সুখের লাগি
ছলনার ছলে অর্থ বিত্ত গড়ে জীবনের মানে ভুলে
সবাই নিজ সত্ত্বা সফে দেয় অসৎ পথেঅসন্তোষ !
মনের শত দুঃখ বক্ষে জমে আছে, আজও পাইনি
আমি আপনার মত করে
খুব সাধারণ একটি মনের খোঁজ ।
আজও পাইনি আমি আপনার মত করে
আমার সারাবেলা সঙ্গে চলা দোসরের খোঁজ ।
আমি কত কী দেখেছি এই জীবনে
শৈশব ছেড়ে কিশোর, কিশোর ছেড়ে যৌবনে
যৌবন ছেড়ে বার্ধকের পথে
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভব
ঘুরে সন্ন্যাসী হয়ে
কত কী দেখেছি আলো আর আঁধারের মাঝে
আমি দেখেছি সবার ভিতরেই অসৎ অর্থের লোভ।
তব আজও পাইনি আমি আপনার মত করে
খুব সাধারণ একটি মনের খোঁজ ।



→→ নিচের গল্পটি বাবা ও ছেলে কে নিয়ে →→

[অনেকেই হয়তোবা পড়েছেন, তবুও শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে]

প্রতিদিনের মত আজও বাবা সারাদিন কাজ করে রাতে বাড়িতে ফিরলেন। বাবা ছিলেন অনেক ক্লান্ত... বাড়িতে ফিরেই দেখলেন তার ৫ বছরের ছেলে তার জন্য বাড়ির গেটের সামনেই অপেক্ষা করছে।
...
বাবাকে দেখেই ছেলে বলল, "বাবা, একটা প্রশ্ন করি?"

বাবাঃ জি বাবা...কর।

ছেলেঃ বাবা, এক ঘণ্টা কাজ করে তুমি কত টাকা পাও?

বাবাঃ এসব চিন্তা তোমার করার দরকার নেই।

ছেলেঃ Please tell me...

বাবাঃ ৫০০ টাকা।

ছেলেঃ আমাকে ২৫০ টাকা ধার দেবে?

বাবাঃ সারাদিন পর বাবার এসব শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল... এবং ছেলে কে ঝাড়ি দিয়ে বললেন... যাও এখান থেকে...ঘুমাও এখনি। মেজাজ খারাপ করো না।

কিছুক্ষণ পর বাবার মন শান্ত হল।। ছেলের রুম এ গেলেন... ছেলে কে আদর করলেন এবং ২৫০ টাকা দিলেন।।

ছেলে অনেক খুশি হল...বলার বাহিরে...আর বলল , " Thank You So Much daddy ! "

এরপর ছেলে বালিশের নিচ থেকে আরও কিছু টাকা বের করল। সব টাকা একসাথে গুনল এবং বলল... বাবা, আমার কাছে এখন ৫০০ টাকা আছে... আমি কি তোমার এক ঘণ্টা পেতে পারি? Please কাল তাড়াতাড়ি বাড়িতে এসো... রাতে একসাথে খাব !!

~~ আমি নিশ্চিত আপনি এখন আপনার বাবাকে নিয়ে ভাবছেন। আমাদের বাবারা আমাদের জন্য কতই না কষ্ট করেন, কিন্তু আমরা কখনই তাঁকে মূল্যায়ন করিনা। বাবা আর সন্তানের মাঝে সম্পর্ক পৃথিবীর অন্যতম সেরা সম্পর্ক। আব্বু, তোমাকে অনেক ভালোবাসি !!



আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে একদা একটি দ্বীপ ছিল যেখানে বাস করত সকল ধরণের অনুভূতি। প্রাচুর্য, সুখ, দুঃখ, দেমাগ, জ্ঞান এবং ভালোবাসাসহ সকল অনুভূতির বাস ছিল দ্বীপটিতে।

একদিন অনুভূতিদেরকে জানিয়ে দেয়া হলো- দ্বীপটি খুব শীঘ্রই ডুবে যাবে। এ সংবাদ পাওয়া মাত্রই সবাই জাহাজ তৈরি করা শুরু করল এবং একে একে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকল। কিন্তু ভালোবাসা দ্ব...ীপটি ছেড়ে যেতে চাইছিল না। ভালোবাসা ঠিক করল সে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। আর এ কারণে ভালোবাসা কোন নৌকা বা জাহাজও তৈরি করল না।
একদিন সত্যি সত্যি যখন সেই ক্ষণ এসে উপস্থিত হলো তখন ভালোবাসা ঠিক করল সে অন্য কারও জাহাজে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাইবে।

ভালোবাসা দেখল একটি বড় জাহাজ নিয়ে যাচ্ছে-প্রাচুর্য,।
ভালোবাসা প্রাচুর্যকে বলল, 'তুমি কি আমাকে একটু তোমার জাহাজে নেবে?'
জবাবে প্রাচুর্য বলল, 'আমার জাহাজে অনেক সোনা-রুপা রয়েছে। এখানে তোমকে নেয়ার মত কোন জায়গা নেই।'
কিছুক্ষণ পরে ভালোবাসার পাশ দিয়ে নৌকায় করে যাচ্ছিল দুঃখ। ভালোবাসা তাকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানাল।
দুঃখ উত্তর দিল, ' আমি খুবই দুঃখিত। আমার এখন একা থাকা প্রয়োজন, আমি তোমাকে নিতে পারব না।'

এরপর ভালোবাসা দেখল, খুব চমৎকার একটি জাহাজে করে অহমিকা/দেমাগ যাচ্ছে। ভালোবাসা দেমাগের কাছেও তাকে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাল।
দেমাগ বলল, 'তুমি সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছ। আমার এই সুন্দর জাহাজটিতে তোমাকে নিলে তুমি একে নোংরা করে ফেলবে।'

দেমাগের পরপরই ভালোবাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সুখ। ভালোবাসা কয়েকবার সুখ-কে ডাক দেয়ার চেষ্টা করল কিন্তু, সুখ সুখ এতই সুখে ছিল যে সে কারও কথাই শুনতে পাচ্ছিল না। সুখ কোন ভ্রূক্ষেপ না করেই চেল গেল।

এভাবে একে একে সবাই যখন চলে যাচ্ছে তখন হঠাৎ ভালোবসা একটি কন্ঠ শুনতে পেল। একজন প্রবীণ তাকে বলল, 'ভালোবাসা, তুমি আমার সাথে এসো। আমি তোমকে সাহায্য করছি।'

ভালোবাসা এতই খুশি হলো যে সে জানতেও চাইল না এই প্রবীণ আসলে কে।
একটি শুকনো ভূখণ্ডে ভালোবাসাকে নামিয়ে দিয়ে প্রবীণ চলে গেল। এমন সময় ভালোবাসার জানতে ইচ্ছে করল কে তাকে এই বিপদে সাহায্য করল।

ভালোবাসা তার পাশে থাকা আর এক প্রবীণ- জ্ঞানকে প্রশ্ন করল, 'জ্ঞান, যে মহাৎ হৃদয় প্রবীণ আমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে গেল তিনি কে?'
জ্ঞান বলল, ' সময়। সময় তোমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছে।'
'সময়! কিন্তু সময় কেন আমাকে সাহায্য করল, যখন সবাই আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছিল?' ভালোবাসা আবারও জ্ঞানের নিকট জানতে চাইল।

এবার জ্ঞান গভীর প্রজ্ঞার হাসি হেসে উত্তর দিল, 'কারণ একমাত্র সময়ই জানে ভালোবাসা কত মূল্যবান।'


একটি সম্পর্ক যখন গড়ে ওঠে তখন তা অনেক ভালবাসা আর প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হয়। তারপর তা সময়ের ধারায় চলতে থাকে। কিন্তু সব সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় খুব কমই। কোন না কোন কারণে সেখানে দেখা দেয় ফাটল এর পরিণতি গড়ায় ব্রেকআপে গিয়ে। আমাদের আগের একটি বিষয় ছিল ব্রেকআপের পর ছেলেদের নিয়ে। সেখানে আমরা বলেছিলাম মেয়েরা অনেক বেশি ভেঙে পড়লেও তা সামলে ওঠে তাড়াতাড়ি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক মেয়েই সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেননা মেয়েরা অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকেন। ফলে তারা সহজেই তাদের কষ্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করতে চাননা একেবারেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া। ফলে তাদেরকে অনেক পর্যায় পার করতে হয়। দেখে নেয়া যাক মেয়েদের ব্রেকআপের পরের পর্যায়গুলো কেমন হয়।

ব্রেকআপের ঠিক পরবর্তী পর্যায়:

এই সময়টা একটা মেয়ের জীবনের সব চাইতে খারাপ সময়। ব্রেকআপটা তার নিজের ইচ্ছায় হোক বা না হোক। সে অনেক ইমোশনাল থাকে। অনেকেই এ ক্ষেত্রে তীব্র ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিয়ে নেন ভুল সিদ্ধান্ত। সম্পর্ক ভেঙে চলে আসার পর হয়ত বাড়িতে জানিয়ে দেন তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত। তারপর ধীরে ধীরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে বেশ। আবার অনেকেই এমন সিদ্ধান্ত না নিলেও ভেঙে পড়েন একেবারেই। নিজের জীবনের মূল্যই নেই এমনটিও ভাবেন অনেকে। চেষ্টা করেন আত্মহননেরও। নিজেকে গুটিয়ে নেন নিজের মধ্যে। ঘরের চার দেয়ালকেই বেছে নেন আশ্রয়ের জন্য। রাগে-দুঃখে সারাক্ষণ চলে কান্নাকাটি, নাওয়া-খাওয়া ভুলে অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে পড়ে থাকতে ভালবাসেন। আর অন্য কোন মেয়ের কারণে রেলেশন ভেঙে গেলে সেই মেয়ের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন। মেয়েটি দেখতে কেমন বা তার আর সব আচরণ কেমন যার কারণে তিনি এতটা নিচে নেমে এলেন তাকে দেখার ও জানার ইচ্ছা অনুভব করেন। এক্ষেত্রে কাজে লাগান তাদের বন্ধু-বান্ধবদের। যাতে তারা সেই মেয়ে সম্পর্কে সব খবরাখবর এনে দিতে পারেন।

এ তো গেল লক্ষণগুলো। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে ভাবেন তার সাথে একটু যদি ফোনে কথা বলতে পারতেন। আবার অনেকে হয়ত বার বার ফোনে মিস কল দেন বা একটু খানি কন্ঠ শুনতে চান। পুরনো প্রেমিকের দেয়া উপহারগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে চান। ফেসবুকে একাউন্ট থাকলে প্রতিদিন একবার করে সেই প্রোফাইলে ঢু মারেন, ছবি দেখেন। প্রোফাইলে ঢু মারার প্রধান উদ্দেশ্য অন্য কোন মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক হলো কিনা তা খুঁজে দেখা বা রিলেশনশিপ স্টেটাস দেখা।

অনেকেই শান্তনা খুঁজে নেন সম্পর্ক ভাঙার পেছনের কারণ খুঁজে। খুজে খুজে বের করেন দোষ তো তার নিজের ছিলনা। পজেটিভ দিকগুলো না দেখে নেগেটিভ গুলো চিন্তা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার অভিনয় করেন অনেকেই।

এ সময়ের ডায়ালগ-

১. “যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে, ”এ সম্পর্ক এমনিতেই আমার বাসা থেকে মেনে নিতনা”।

২. সব ছেলেরাই এমন, তাদের ভালবাসা এ্ক সময় কমে যায়, ভালোই হয়েছে একে বিয়ে করিনি”।

৩. “ও আমার সাথে সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে? তাতে কি? আমিও দেখবো ও আমার চাইতে কোন ভালো মেয়ে পাই কিনা”।

৪. “আমি বিয়ে করে আমার জামাই নিয়ে ওর চোখের সামনে ঘুরবো”।

বন্ধুদের স্বান্তনা:

এসময় বন্ধুরা যারা রেলিশনের ব্যাপারে জানতো তারা আসে স্বান্তনা দিতে। স্বান্তনা দেয়ার বদলে অনেকেই আরো জ্বালিয়ে যান তুষের আগুন। তাদের ডায়ালগগুলো হয় এমন-

১. “এইটা একটা কথা হলো? ও তোর সাথে এমন করবে কেন”?

২. “তুই চিন্তা করিসনা, আমি ওর সাথে একবার কথা বলে দেখবো”।

৩. “আরে বাদ দে, সব ছেলেরাই এমন”।

৪. “ এইজন্যই তো ওরে কদিন থেকে ঐ মেয়েটার সাথে ঘুরতে দেখছিলাম”।

৫. “যা হয় ভালোর জন্যই হইছে”।

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা:

ব্রেকআপের ইমোশনাল পর্যায় পার করার পর মেয়েরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। 
তারা চায় সব সময় ব্যস্ত সময় কাটাতে যাতে পুরনো স্মৃতিগুলো সহজে ভুলে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হয় শপিং। অযথা শপিং করে টাকা-পয়সা খরচ করতে তারা পিছপা হয়না। তারপর বিউটি পার্লারে ছোটেন নিজের রুপ চর্চায় ব্যস্ত থাকতে। অনেকেই নানা রকম কোর্স করে নিজেকে ব্যস্ততায় রাখতে চান।

বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:

অনেকেই হয়তো সম্পর্ক চলাকালীন বন্ধুদের সময় দিতে পারতেন না। এই সুযোগে আবারো বন্ধুদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ঘুরাঘুরিতে মেতে ওঠেন।

অন্যরকম অনুভূতি:

ব্রেকআপের পর বন্ধু মহলে এমন অনেক বন্ধু থাকেন বিপরীত লিঙ্গের। যাদের তখন খুব বেশি আপন মনে হয়। মেয়েরা সব সময় চায় তাদের সঙ্গ। কেননা একটা পুরুষ আরেক পুরুষের স্বভাব বুঝতে পারবে ভেবে সে তাকে তার প্রেমিকের সব চাওয়া পাওয়া বা তার নিজস্ব চাওয়া পাওয়া খুলে বলে। সেই একজন বিশেষ বন্ধুর সান্নিধ্যে অনেকেই পুরনো প্রেমিককে অনেক সহজেই ভুলতে পারেন। তবে সেই বন্ধুটির প্রতি হঠাৎ করেই দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। তারপর সেই ভালো লাগা থেকে …..


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিউজ ফিড নিজের মতো করে সাজানোর কিছু নতুন উপায় এনেছে ফেসবুক। এ ক্ষেত্রে নিউজ ফিডে অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য দূর করে সহজেই নিউজ ফিড মনের মতো সাজানোর কয়েকটি উপায় জানিয়েছে দ্য হিন্দু।

প্রতিবার লগইন করার পর আপনি বন্ধুতালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ও বিভিন্ন পেজের মধ্যে কাকে নিউজ ফিডের ওপরে দেখতে চান, তা ঠিক করে নিতে পারবেন। নতুন টুলে ফেসবুকের বিরক্তিকর কোনো পোস্ট বারবার যেমন দেখতে হবে না তেমন অপ্রয়োজনীয় তথ্যও দূর করা যাবে।

এ জন্য প্রতিবার লগইন করার পর ”following” বা ‘’see first”-এ ক্লিক করতে হবে। এতে আপনি যাকে প্রথমে দেখতে চান ‘’see first”-এ ক্লিক করে রাখলে তাকেই আগে নিউজফিডে পাবেন।

ফেসবুকের সফটওয়্যার নিউজ ফিডে আপনাকে কোন বিষয়টি উপস্থাপন করবে তা জানবে বহু বিষয় বিবেচনা করে। এ ক্ষেত্রে কোন কোন বন্ধুর সঙ্গে আপনার ভালো আদান-প্রদান রয়েছে (যেমন আপনি তার ছবি বা পোস্টে লাইক বা কমেন্ট করেন কি না) ইত্যাদি বিবেচনা করে। আর এ ধারায় নতুন করে যোগ হলো কয়েকটি টুল।

বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় ফেসবুক নতুন টুলের কথা জানায়।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তির নেশায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে থাকি এবং বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট/তথ্য আদান-প্রদান করি। আমাদের ফেসবুকে থাকে হাজার হাজার বন্ধু। আমরা যা স্টাট্যাস দেই তা আমাদের সকল বন্ধু দেখেন। কিন্তু আপনি নিজে কোনো স্টাট্যাসে পর্নো ভিডিও শেয়ার করছেন না, অথচ আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক পর্নো ভিডিও শেয়ার হচ্ছে। এতে নিশ্চয়ই আপনার মান সম্মানে আঘাত লাগছে।

এটা এক ধরনের ম্যালওয়ার যা প্রন-ট্রোজান নামে পরিচিত। কারও দেয়া লিংক খারাপ ফেসবুক অ্যাপস ক্লিকে আক্রান্ত হতে পারে আপনার আইডিটি। আক্রান্ত আইডি থেকে সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ২০ এর অধিক পর্নো বন্ধুদের টাইমলাইনে ট্যাগ হতে থাকে এবং সমস্ত পিসিতে ম্যালোওয়ার ছড়িয়ে পড়ে।

টাইমলাইনে পর্নো এলে যা করবেন:

১. তাড়াতাড়ি আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

২. যে সব পর্নো ভিডিও আপনার টাইমলাইনে ইতোমধ্যে শেয়ার হয়েছে সেইগুলি ডিলিট ও রির্পোট করুন।

৩. ভাল এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনার পিসিটি স্ক্যান করুন। কিছু কিছু ভাইরাস স্ক্যান করতে ব্যর্থ হয় এবং তা F-Secure scan, Trend Micro scan, ESET scan, Microsoft security software এর যে কোন একটি দিয়ে অনলাইনে সরাসরি স্ক্যান করুন। যদি আপনার ব্রাউজার গুগলক্রোম হয় তবে browser-specific scan স্ক্যান করুন।

৪. আপনার ব্রাউজারের ভার্সন আপডেট করুন।

৫. আপনার একাউন্টের সিকিউরিটি স্ট্রং করে ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline?>>>Enable করুন।

৬. Suspicious ব্রাউজারের আড-অন রিমুভ করুন।

৭. এর পরেও আবারও পর্ণে শেয়ার হলে ,৭-৮ ঘন্টার জন্য আপনার একাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভ করুন।

৮. আপনার একাউন্টে পর্নো শেয়ারের পরিণতির জন্য (দুঃখিত) একটি স্ট্যাটাস দিন। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও খারাপ পোস্ট চোখে পড়ে বা কোনও লিঙ্ক চোখে পড়ে তা যেন ক্লিক না করেন।

টাইমলাইনে যেন পর্নো না আসে তার জন্য করণীয়:

১. কারও দেয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।

২. ফেসবুকে ছড়ানো খারাপ ভিডিওতে ক্লিক বা শেয়ার করবেন না ।

৩. ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline? >>>Enable করুন।

৪. খারাপ ফেসবুক অ্যাপ বা গেইমস এ ক্লিক করবেন না। সন্দেহজনক অ্যাপ ডিলিট করুন।

আপনি কি লাল গ্রহ মঙ্গলে যেতে চান? ভয় নেই আপনাকে নভোচারী হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হতে হবে না। লাগবে না কাড়িকাড়ি টাকাও। শুধুমাত্র ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। ব্যস! মঙ্গল আপনার ডেস্কটপে। এবার যখন খুশি তখনই ঢুঁ মেরে আসুন মঙ্গল থেকে। লাল গ্রহ মঙ্গল নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য দুইটি সিমুলেটর তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই সিমুলেটর দুইটি দিয়ে ঘরে বসেই মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালানো যাবে।


নাসা জানিয়েছে, এই সিমুলেটর দুইটিতে আছে কিউরিসিটি রোবট। যেটাতে চড়ে আপনি মঙ্গলের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সিমুলেটর দুইটি আদতে ইন্টার‌অ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এগুলোতে গুগল আর্থ অ্যাপ্রোচ ব্যবহার করা হয়েছে। সিমুলেটরের জন্য বিগত ৫০ বছর ধরে নাসার সংগৃহীত ছবি জোড়াতালি দিয়ে থ্রিডি গ্লোব তৈরি করা হয়েছে।

সিমুলেটরের সাহায্যে মঙ্গল পৃষ্ঠের থ্রিডি এব ‍টুডি ভিউ পাওয়া যাবে। অনেকটা গেম খেলার মতই। যেটার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে। মন চাইলে কিউরিসিটি রোবটিকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলের যেথায় খুশি সেথায় হারিয়ে যেতে পারবেন। ভয় নেই হারিয়ে গেলেও পাবেন বেজ ক্যাম্পে ফিরে আসার দিক নির্দেশনা।

এই সিমুলেটর দুইটি ডাউনলোড করতে হলে নাসার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে যেতে হবে।

নাসার ওয়েব সাইটের ঠিকানা: http://www.nasa.gov/

নাসা

একটি সত্যি ভালোবাসার গল্প (যা সিনেমার কাহিনীকেও হার মানায়)


সপ্না আর নিলয় ছোট বেলা থেকেই একসাথে বড় হয়। সপ্নার বাবা ট্যাক্সি চালায়, আর নিলয়ের বাবা একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। দুই ফ্যামিলির মধ্যে সম্পর্কটা মন্দ নয়।

সপ্না নিলয়কে মনে মনে ভালোবাসতো। কিন্তু কখনো বলতে পারে নি। তারা একত্রে অনার্স পাশ করে। নিলয়ের সরকারী চাকরি হয়। বাসা থেকে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়ে দেয়। সপ্না বেচারি ঘরে বসে একা কাঁদে। কিছু করার থাকে না তার।

সপ্নার অবস্থা দেখে তার মা সপ্নাকে চেপে ধরে। জিজ্ঞেস করে সমস্যা কি। কান্নাবিজরিত গলায় সপ্না জানায় তার লুকানো প্রেমের কথা। তার একপেশে ভালোবাসার কথা।

সপ্নার পরিবারে দুঃখ নেমে আসে। সপ্নার বাবা জানতে পেরে মেয়েকে জলদি বিয়ে দেয়ার বেবস্থা করতে চান। কিন্তু সপ্নার এক কথা, তার মনের কোঠায় গভীরে সে নিলয়কেই বসিয়েছে। এখন কোনও অবস্থাতেই তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। সে এমনকি এই বলে হুমকি দেয় যে বাড়াবাড়ি করলে সে আত্মহত্যা করবে। সপ্নার পরিবারের সবাই ভয় পেয়ে যায়। সাথে সাথে কষ্টও পায়। কিন্তু কিছু করার থাকে না। একমাত্র মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া।

বছর পাঁচেক পরের ঘটনা। সপ্না এখন ঢাকাতে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষিকা। গ্রামে ইধানিং যায় না সে। বাবা মার সাথে ফোনে কথা হয়। এক পুজার ছুটিতে ৫ দিনের জন্য গ্রামে গেলো সে। সে কি তখনো জ্যান্ত এইবারের গ্রামে ফেরা তার জীবনটা আমূল পাল্টে দিবে?

সপ্না বাসায় ফিরে দেখে বাসার সবার মাঝেই একটা কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। সপ্না মাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? সপ্নার মা প্রথমে সপ্নাকে কিছুই বলে না। মেয়ের চাপাচাপিতে তিনি সব খুলে বলেন।

নিলয় গ্রামে এসেছে। তার একটা ফুটফুটে বাবু হয়েছে। বাবুটার বয়স মাত্র ২ বছর। বাবুটাকে জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা যায়। নিলয় গ্রামে এসে সপ্নার মা বাবার সাথে দেখা করতে আসে। ছেলেটার মনে এক অদ্ভুত ক্ষোভ দেখতে পান তারা। এক চাপা কষ্ট। 

সপ্না ঘটনা শুনে থ হয়ে যায়। জীবনটা কোনও সিনেমা নয় যে সে নিলয়ের বাচ্চাকে বড় করবে। তাকে নিজের মেয়ের মতো করে পালবে। কিন্তু সপ্নার খুব ইচ্ছে করে। আরও একবার সপ্না নিজের কাছে হেরে যায়। মুখ ফুটে বলতে পারে না তার গোপন ইচ্ছের কথা।

পুজার ছুটি শেষ। আজ বিকেলে সপ্না ঢাকায় ফিরে যাবে। ব্যাগ গুছুচ্ছে এসময় সপ্নার মা দৌড়ে এসে খবর দিলেন নিলয় এসেছে।

সপ্না চমকে যায়। সে চাচ্ছিল যেনও নিলয়ের সাথে তার দেখা না হয়। কি লাভ কষ্টের বুঝা বাড়িয়ে?

মায়ের কথায় অবশেষে নিলয়ের সাথে দেখা হয় তার। দুজনেই চুপচাপ। হটাত নিলয় বলে উঠে, “ঢাকায় থাকো শুনলাম? আমিও ঢাকায় থাকি। পরিবাগে। তুমি?”

“ধানমণ্ডিতে। আমরা ২জন ফ্রেন্ড একত্রে থাকি। ও আমার সাথে একই স্কুলে পড়ায়। আমাদের পাশের গ্রামেরই মেয়ে।”

আরও কিছু কথা বলে তারা একে অপরকে বিদায় জানায়। “ভালো থেকো” বলে ঘুরে নিজের রুমের দিকে হাঁটতে থাকে সপ্না। অজানা কষ্টে বুকটা ধুমরে মুচড়ে যাচ্ছে। নিজের মনের উপর অসম্ভব জোর খাটিয়ে ফিরে চলে সে রুমের পথে। 

ঘাড় ঘুরিয়ে শেষবারের মতো ফিরে তাকায় সে। দেখল নিলর দাঁড়িয়ে আছে তার কুলে একটা ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে। নিলয়ের চোখটা ভেজা। দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে অশ্রুকণাগুলো। কেন যেনও বাচ্চাটাকে দেখার পর নিজেকে আটকে রাখতে পারে না সপ্না।

নিলয় এবং সপ্নার বিয়ে হয় তাদের উভয় পরিবারের অনুমতি নিয়ে। ঢাকার পরিবাগেই এখন আছি আমরা। আমিই সেই মেয়ে। আর আমার বাবা মা আমার নাম কি রেখেছেন জানেন? “আলো”। বাবা-মার কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শুনি আমি তাদের ১৪তম বিবাহবার্ষিকীতে। এরপরেই লিখে ফেলি। আর আজ জানিয়ে দিলাম পৃথিবীকে।

সবাই দোয়া করবেন আমার পরিবারের জন্য। আমি ক্লাস টেনে পড়ি এখন। আমি আমার মাকে হারিয়েছি, কিন্তু পেয়েছি তার চেয়েও একজন শ্রেষ্ঠ মমতাময়ী নারীকে। তোমাদের দুজনকেই অনেক অনেক ভালোবাসি মা-বাবা।

MARI themes

Powered by Blogger.