ফ্রিল্যান্সিং কি?
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘ফ্রিল্যান্সিং’। ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা অর্থ হচ্ছে মুক্তভাবে কাজ করা। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, ফ্রিল্যান্সিং কি অনলাইনে করতে হয়? আরে ভাই, না। শুনুন তাহলে। মনে করুন, আপনি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। আপনি নতুন নির্মিত বিভিন্ন কোম্পানীর বিল্ডিংয়ের ওয়ারিং করেন চুক্তিতে বা মানুষের বাসায় গিয়েও ইলেক্ট্রিক কাজ করে থাকেন। এমনিভাবে, কোন ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার স্বাধীনভাবে যেকোন জায়গায় কাজ করার প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আর যারা এভাবে কাজ করেনা তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার
আউটসোর্সিং কি?
আউটসোর্সিং এর বাংলা অর্থ হচ্ছে অন্য উপায়ে কাজ করানো। নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যকার পার্থক্যটা ধরতে অসুবিধায় পড়ে যান। যেমন, কোন কন্ট্রাকটার কাজের কন্ট্রাক নিয়ে মিস্ত্রি বা শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে দেন। তেমনি মার্কেটপ্লেসে যারা আছেন সবাই তো কাজ পারেন না। অতএব তারা আউটসোর্সিং করেন। মানে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন।

অনলাইনে ইনকাম করা যায়?বর্তমানে যুগ, তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমরা আগে যে কাজ ছোট্ট একটি গ্রামে সম্পাদন করতে পারতাম। আজ তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করতে পারছি। যেমন কোন টি-শার্ট বিক্রেতা শুধু তার দোকানেই নয় অনলাইনেও এখন টি-শার্ট বিক্রি করতে পারছে। ইন্টারনেট বিশ্বটাকে বিশ্বগ্রামে পরিণত করেছে। আর দ্বার খুলেছে মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিশাল বাজারের।
বাস্তব জগতে আমরা কিছু করতে না পারলেও ভার্চুয়াল জগতে পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবি। সবার মাথায় একটাই টেনশন, কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়!
আরে ভাই থামেন! অনলাইনে ইনকাম করা যায় ব্যাপারটা এমন না। বরং অনলাইনে যেকোন একটা কাজ করে ইনকাম করতে হয়। যেমন আপনি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে ব্লগ খুলে লেখালেখি শুরু করুন। জনপ্রিয় হয়ে গেলে বিজ্ঞাপন বসিয়ে ইনকাম করুন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন পারেন, হুম আসুন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বিদেশী কোম্পানী বা ব্যক্তির সাথে কাজ করতে পারবেন।
অনলাইনে কি সব কাজ করা যায়?কখনই না। আপনি ভালো রান্না করতে পারেন, তার মানে এ নয় যে, অনলাইনে রান্না করবেন। আবার আপনি ভালো একজন টেইলর। আপনি অনেক সুন্দর করে কাপড় সেলাই করতে পারেন। তার মানে এই নয় আপনি অনলাইনে সেলাই করবেন।
তবে হ্যা, ভালো খাবার রান্না করে অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রি করতে পারবেন। আর ভালো ভালো জামা কাপড় বানিয়েও এটা করতে পারবেন। এখানেই ইন্টারনেটের স্বার্থকতা।

তাহলে অনলাইনভিত্তিক কাজ কি কি?
ভার্চুয়াল যা কিছু আছে এসবের কাজ অনলাইনে করা যায়। অনলাইন ভিত্তিক কিছু কাজ এখানে ‍উল্লেখ করা হলো-
* Web, Mobile & Software Dev   * Design & Creative * Admin Support * IT & Networking * Writing   * Sales & Marketing  * Customer Service * Data Science & Analytics  * Translation  * Engineering & Architecture * Legal   * Accounting & Consulting
ভয় পেয়ে গেলেন? এগুলো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক থেকে নেয়া। আমাদের দেশে জনপ্রিয় কয়েকটি কাজ আছে। যেগুলো শিখে অনেকেই সফলত হতে পেরেছেন। চাইলে আপনিও আপনার পছন্দ মতো এর যেকোন একটা শিখে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
১. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
৪. এন্ড্রয়েড, আইওএস এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
৫. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্রোগ্রামিং
৬. ইউটিউব মার্কেটিং
৭. সিপিএ বা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৮. ভিডিও এডিটিং
৯. ফরেক্স (জনপ্রিয় কিন্তু ৯০% লোক ব্যর্থ হয়)
এগুলো ছাড়াও প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, পেইন্টিং, স্কাল্পটিং, বিজ্ঞাপন, জনসংযোগ, ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্যাড, আর্কিটেকচার, নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার ডেভেলপ, লিগ্যাল সার্ভিস, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ, লেখা, সম্পাদনা, অনুবাদ, টেলিমার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, ভিডিওগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ব্রডকাস্টিং, মিউজিক তৈরির মতো কাজও আপনি পেতে পারেন।
এখন থেকেই ভাবা শুরু করে দিন আপনি কোন কাজ শিখবেন, কেন শিখবেন। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আরো কিছু নিয়ে আসবো। ধন্যবাদ সাথেই থাকবেন।


এমবিএ শেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেয়েও যোগদান না করে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া সেই রবিউল আলম বিপ্লব এখন দেশের একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এরই মধ্যে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি এ্যাফিলেট মার্কেটিং ও গুগল অ্যাডসেন্সে কাজ শুরু করেন ২০০৯ সালে। ১১ মাসে মাত্র ১০০ ডলার আয়ের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন তার ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার। এখন নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ তার।
রবিউল আলম বিপ্লব কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৮ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিবিএস (সম্মান) ও ২০০৯ সালে এমবিএস (স্নাতকোত্তর) করেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১০ সালে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে (এইচআরএম) এমবিএ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করে­­­ আসছেন।
এমবিএ শেষে প্রতিষ্ঠিত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি যোগদান করেননি। তার ইচ্ছা ছিল সাংবাদিকতার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়া। তিনি রংপুরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক গণআলো ও পরে দৈনিক মায়াবাজারে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগে আউটসোর্সিং বিষয়ে তার একাধিক টিউটোরিয়াল প্রকাশ হতে থাকে। মায়াবাজার পত্রিকাতেও তিনি আউটসোর্সিং নামে একটি বিভাগ চালু করেন।
এ সময় দৈনিক মায়াবাজারের তত্কালীন নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রউফ সরকার আউটসোর্সিংয়ে তার অভিজ্ঞতা দেখে তাকে আইটি ফার্ম করার পরামর্শ ও উত্সাহ দেন। সেই শুরু। রংপুরে ‘বিপিইউএস আইটি সেন্টার’ নামে একটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এতে শুরুতেই ৩০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এর কিছুদিন পরেই গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে রংপুরের পীরগাছার প্রত্যন্ত পল্লীতে পৃথক দুটি ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামাঞ্চলে আউটসোর্সিংয়ে প্রধান বাধা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। এজন্য তিনি ১২০ ফুট উচ্চতার নিজস্ব টাওয়ার দিয়ে রেডিও লিংকের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছেন।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ২টি কোচ (বাস) ক্রয় করে তিনি বিপ্লব ট্রাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছেন। পাশাপাশি সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত বিপ্লব পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজ করছেন। একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
রবিউল আলম বিপ্লব তার উদ্যোগ ও ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে বলেন, ‘শুরু থেকেই সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। আউটসোর্সিংয়ে সফল হতে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ১০০ ডলার আয় করতে ১১ মাস সময় লেগেছিল। যে কাজ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে শুরু করেছিলাম, তা এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এখন আমি নিজেই একজন উদ্যোক্তা।’

আপনাকে এখন আর হন্যে হয়ে ভর্তির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ওয়েবে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না ।
ভার্সিটি এডমিশন তথ্য সম্পর্কিত পরিপূর্ণ একটি অ্যাপ , ভার্সিটি এডমিশন প্রত্যাশীদের জন্য ।
এখানে এডমিশন প্রত্যাশীরা সকল পাবলিক , প্রাইভেট , বুয়েট , মেডিক্যাল সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবে । এই অ্যাপ এর মাধ্যমে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার তারিখ , পদ্ধতি , আবেদন প্রসেস ,রেজাল্ট সহ সকল তথ্য পাবলিশ হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন । এবং এই সকল তথ্য আপনার ফোনে নটিফিকেশনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে ।

আপনাকে এখন আর হন্যে হয়ে ভর্তির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ওয়েবে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না ।
কিছু প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক করছে …… !
১ – এই আপ টি কাদের জন্য ?
উত্তর – যে কোন ভার্সিটি ভর্তি প্রত্যাশী সকল ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক সকলের জন্য ।
২ – তারিখ বা রেজাল্ট পাবলিশ হলে নোটিফিকেশন আমি সাথে সাথে কিভাবে পাবো ?
উত্তর – যে কোন ভার্সিটির তথ্য আপডেট হলে আপনার আপ যদি অফ ও থাকে আপনাকে একটি ম্যাসেজ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তথ্যটি পাঠিয়ে দেয়া হবে ।
৩ – আমি আমার পছন্দের ভার্সিটি কিভাবে সিলেক্ট করে রাখবো ?
উত্তর – প্রত্যেক ভার্সিটির লিস্টের পাশে একটি ফেভারিট বাটন আছে । এই আইকনে প্রেস করলে সেই ভার্সিটি আপনার পছন্দের লিস্টে চলে যাবে । এবং আপনি পরবর্তীতে “ Favorite ” প্যানেলে গিয়ে শুধু আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পাবেন ও সেগুলোর তথ্য ও আপনার কাছে চলে যাবে ।
৪ – নেট না থাকলে আমি কি সকল ডাটা পাবো ?
উত্তর – হ্যাঁ , একবার নেট অন করে নিলে সেই তথ্য আপনার ডিভাইসের অফলাইনেও সেভ হয়ে থাকবে । পরবর্তীতে কোন ডাটা কানেকশন ছাড়াই আপনি সেই তথ্য পেয়ে যাবেন ।
তবে রিয়েল টাইমে নোতিফিকেশন এর জন্য নেট কানেকশন থাকা উত্তম ।
———————————————————–
ভার্সিটির এই ভর্তি যুদ্ধে আমরা আপনার সহযোগী হতে চাই ।
Download Link: https://goo.gl/kDNr6w

ফেসবুক জানিয়েছে, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, তাদের নীতিবিরোধী পোস্ট দেওয়ার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অ্যামিড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি গ্রুপ অভিযোগ করে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ চলছে। আর এই গণহত্যায় দেশটির সেনাবাহিনী জড়িত। ওই রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে একটি ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ বলে মনোনীত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ওই গ্রুপের পরিচালকদের এ ধরনের বিষয়বস্তু বা মন্তব্য মুছে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ওই গ্রুপের বিষয়ে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রুপটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর সামরিক অভিযানের বিষয়ে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামের একটি সংগঠনকেও ফেসবুক ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বলে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা যে ধরনের বিষয়বস্তু পোস্ট করছে, সেগুলো ফেসবুকের মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ জন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা, অপরাধ ও গণহত্যা সংগঠনের মতো কাজের সঙ্গে জড়িত, ফেসবুক তাদের ঘৃণা করে। তবে অন্য যেসব গ্রুপ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, তাদের অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ফেসবুক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে পুলিশের ওপর হামলায় ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পর গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সরকার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। ফেসবুক জানায়, সরকারের অনুরোধে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। গ্রুপটির হিংসাত্মক কার্যকলাপের ভিত্তিতেই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অং সান সু চির মুখপাত্র জ হাতয়। আরসার বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট ফেসবুকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন।
তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, রোহিঙ্গা শরণার্থী, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা আসার কারণে এর বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তারা।

মন এক দুনিয়ার কথা স্বপ্নেও অনুমান করা দুষ্কর —যার বৈশিষ্ট্য আমরা কল্পনাও করে দেখি না। মুখ উঠিয়ে আপনার ঘরের চারপাশের দিকে একবার নজর বুলিয়ে নিন, কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনার কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল, আপনার বিছানা? এবার নিজের আঁকার ২০ গুন ছোট মনে করুন —এখন কি দেখতে পাবেন? হয়তো এবার মেঝের এক কোনে পড়ে রয়েছেন এবং আপনার টেবিলকে দেখতে একটি দৈত্যাকার বিল্ডিং মনে হবে। কিন্তু এভাবেই আপনাকে যদি ১০০০ মিলিয়ন গুন ছোট করে দেওয়া হয় তবে কি দেখতে পাবেন? আপনার নজরে কি কোন চেয়ার বা টেবিল আসবে? বরং আপনি সেসব জিনিষ দেখতে পাবেন যা দ্বারা আপনার চেয়ার, টেবিল সহ এই বিশ্বের প্রত্যেকটি জিনিষ গঠিত; অণু, পরমাণু, প্রোটিন, কোষ ইত্যাদি। আর আপনার আঁকার যদি ন্যানো স্কেলে নিয়ে আনা হয় তবে এবার কোন অণু বা পরমাণু নয় বরং পরমাণুর চারপাশে ঘুরতে পারবেন কিংবা এর ইলেকট্রন প্রোটনের কক্ষপথ দেখতে পাবেন। এখন ধরুন আপনি এক অসাধারণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন একটি বস্তুর অ্যাটমকে (পরমাণু) বা অ্যাটমের গঠনকে অন্য কোন বস্তুর অ্যাটমের গঠনের সাথে পরিবর্তন করিয়ে দিলেন, তাহলে কি ঘটবে? —তাহলে অসাধারণ সব উপকরণের উদ্ভব ঘটবে যা এই দুনিয়াই আগে কখনোই ছিলোনা। আজকের দিনে নতুন রোগের ঔষধ থেকে শুরু করে আপনার কম্পিউটারের সুপার ফাস্ট প্রসেসর এবং অসাধারণ সব উপকরণ তৈরির পেছনে অত্যন্ত ক্ষুদ্র এক প্রযুক্তি কাজে আসছে যা “ন্যানো টেকনোলজি” (Nanotechnology) নামে পরিচিত এবং এটি বর্তমান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সবচাইতে আশ্চর্যকর নিদর্শন। তো চলুন আজ ন্যানো প্রযুক্তির সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক…

কতো বড় এই “ন্যানো”?

আপনার স্মার্টফোন বা যেকোনো ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি ফটো ক্যাপচার করুন এবং সেটাকে ফটোশপ দিয়ে ওপেন করুন। এবার ফটোটিকে জুম করতে থাকুন, দেখবেন জুম করতে করতে ফটোটি একসময় ঘোলা হয়ে যাবে এবং পরিশেষে শুধু চারকোনা ইটের দেওয়ালের মতো দেখতে পাওয়া যাবে। এই প্রত্যেকটি চারকোনা ব্লক গুলোকে এক একটি পিক্সেল বলা হয়, যা কোন ফটোর বর্ণনা ধারণ করে এবং একত্রে সকল পিক্সেল গুলো মিলে একটি সম্পূর্ণ ফটো তৈরি হয়। ঠিক একই ভাবে আপনার চারপাশের সমস্ত কিছু সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে অতি ক্ষুদ্র উপাদান “পরমাণু” দ্বারা। চেয়ার টেবিল থেকে আরম্ভ করে আপনার শরীর পর্যন্ত পরমাণু নামক অতি ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত। প্রত্যেকটি পদার্থের পরমাণুতে তার গুনের এক একটি অংশ বর্ণিত থাকে, যেমনটা কোন ফটোর প্রত্যেকটি পিক্সেলে বিভিন্ন কালার থাকে এবং একত্রে একটি ফটো তৈরি হয়। ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্তু এর উপরই নির্ভর; তাহলো পদার্থর গঠন এবং এর অণু, পরমাণুর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য—এ ব্যাপার নিয়ে আরো পরে আলোচনায় আসবো, এখন ন্যানো এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

দেখুন আমরা এমন এক পৃথিবীর সাথে পরিচিত যেখানে আমরা মিটার, কিলোমিটার ইত্যাদি পরিমাপের সাথে অভ্যস্ত। এমন কোন জিনিসের আঁকার সম্পর্কে কল্পনা করা সত্যি কষ্টের যেটা এতোটাই ছোট যে চোখে দেখা সম্ভব নয়।  তবে ন্যানো অনেক ছোট হলেও এটি কিন্তু একটি সিঙ্গেল অ্যাটমের তুলনায় বড়। একটি অ্যাটমের ব্যাসরেখা প্রায় ০.১ ন্যানো মিটার এবং একটি অ্যাটমের নিউক্লিয়াস (অ্যাটমের ঠিক মাঝখানের একটি ঘন এলাকা যেখানে প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে) আরো ছোট আকারের হয়ে থাকে, যেটা প্রায় ০.০০০০১ ন্যানো মিটার। বিজ্ঞান বিভাগের পটু আর গনিতের তুখারেরা এতক্ষণে ন্যানো মিটার এবং এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন, তবে সকলের বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি। মনে করুন আপনার হাতে একটি অ্যাপেল রয়েছে এবং ধরে নিন এটা ১ ন্যানো মিটার, তাহলে এটি কতো ছোট? ১ মিটারের সাথে ১ ন্যানো মিটারের তুলনা করতে গেলে, আপনার হাতের অ্যাপেলটি যদি এক ন্যানো মিটার হয় তবে এই সমস্ত পৃথিবী হবে এক মিটার, বুঝতে পাড়লেন?
আপনি হয়তো আপনার জীববিজ্ঞান বইয়ের অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীটবিশেষ এর ছবি দেখে আশ্চর্য হয়ে থাকেন, হয়তো ভাবেন এতো ছোট জিনিসের ছবি কীভাবে উঠানো সম্ভব হয়। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ (অতি ক্ষুদ্র বস্তু দেখার যন্ত্র) ব্যবহার করে এই ধরনের ফটোগ্রাফি করা হয়ে থাকে। এই অসাধারণ বিজ্ঞানের যন্ত্রটি এক মিটারের মিলিয়ন গুন ছোট বস্তু দেখতে পারে অর্থাৎ ১ মাইক্রোস্কোপিক মিটার সমান ১ মিটারের ১ মিলিয়ন (১০ লক্ষ) গুন ছোট ভার্সন। কিন্তু ন্যানো মানে হলো ১ মিটারের ১ বিলিয়ন (১,০০০ মিলিয়ন) গুন ছোট। তো ন্যানো মিটার কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে কল্পনা করতে পারছেন? আমার তো কল্পনার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। চলুন ন্যানো স্কেলকে আরো গভীর এবং বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য নিচের চার্টটি দেখে নেওয়া যাক।

ন্যানো স্কেল—

  • অ্যাটম; ~০.১ ন্যানোমিটার।
  • অনুতে পরমাণু; ~০.১৫ ন্যানোমিটার অংশ জুড়ে থাকে।
  • ডিএনএ ডাবল-হেলিক্স (ডিএনএ এর অণু); ২ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • আদর্শ প্রোটিন; ~১০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • কম্পিউটার ট্র্যানজিস্টর (যা দ্বারা কম্পিউটার প্রসেসর বা মেমোরি তৈরি হয়); ~১০০-২০০ ন্যানোমিটার প্রশস্ত।
  • আদর্শ ব্যাকটেরিয়া; ~২০০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • মানুষের চুল; ৫০,০০০-১০০,০০০ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • একটি কাগজ; ~১০০,০০০ ন্যানোমিটার পাতলা।
  • একটি মেয়ে ১.২ মিটার (৪ ফুট) লম্বা; ~১,২০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • একটি ছেলে ২ মিটার (৬.৫ ফুট) লম্বা; ২,০০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং; ৩৮১ মিটার (১,২৫০ ফুট) লম্বা; ~৩৮১,০০০ ন্যানোমিটার লম্বা।

    ন্যানো সায়েন্স থেকে ন্যানো টেকনোলজি

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    ন্যানো টেকনোলজির বেশিরভাগ সুবিধা হয়তো ভবিষ্যতের কয়েক দশকের মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে কিন্তু বর্তমানেও এই প্রযুক্তি নানান ভাবে আমাদের পৃথিবীকে পরিবর্তিত করতে সাহায্য করছে। আপনি হয়তো ভাবছেন ন্যানো টেকনোলজি একে বারে অসাধারণ জিনিষ এবং এটি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি—কারণ “টেকনোলজি” বলতে আমরা মানুষের তৈরি টেকনিককেই মনে করি। কিন্তু আমাদের জীবন নিজে থেকেই ন্যানো টেকনোলজির এক বিরাট উদাহরণ। আমাদের শরীরে প্রোটিন, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কোষ ইত্যাদি ন্যানো টেকনোলজির সূত্রেই কাজ করে।

    ন্যানো ম্যাটেরিয়াল

    হতে পারে বর্তমানেই আপনি অলরেডি ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করছেন। হতে পারে আপনি ন্যানোটেকনোলজি প্যান্ট পরিধান করে আছেন কিংবা আপনার শার্টটি ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি। এমনকি হতে পারে আপনার বিছানার চাদর থেকে শুরু করে ট্র্যাভেলিং বাগটিও ন্যানোটেকনোলজিতে প্রস্তুত। ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি কাপড় গুলোর তন্তু এতোটাই সূক্ষ্ম যে এতে ধুলি বালু কণা আটকে থাকতে পারে না, ফলে কাপড় অনেক কম নোংরা হয়। কিছু ব্র্যান্ডের সানস্ক্রীন ক্রিমে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, এতে ক্রিমটি আপনার স্কিনে লাগানো মাত্র এটি টাইটানিয়াম অক্সাইড অথবা জিঙ্ক অক্সাইডের আস্তরণ ফেলে দেয়, ফলে এটি সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মিকে ব্লক করে দেয়। ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি অনেক পেইন্টও এভাবেই কাজ করে, ফলে এটি অধিক দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং কম ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।
    কার্বন ন্যানো টিউব হচ্ছে সবচাইতে অসাধারণ ন্যানো ম্যাটেরিয়াল। এর অ্যাটমিক গঠনের ফলে এটিকে অত্যন্ত মজবুত একটি পদার্থতে পরিণত করেছে। একে ফাইবারের আঁকারে যেকোনো লম্বা পরিমাপে বানানো সম্ভব।

    ন্যানো চিপ

    মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স হলো ন্যানো টেকনোলজির আরেকটি রুপ। সাধারনত মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্সে “মাইক্রো” শব্দটি ব্যবহার করা হয় কারণ এর আঁকার মাইক্রোস্কোপিক স্কেলের হয়ে থাকার কারণে। কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা উদ্ভবন করেন যে, একই জায়গার মধ্যে বেশি ট্র্যানজিস্টর আটাতে পারলে কম্পিউটারের সাইজ আরো ছোট এবং বেশি পাওয়ারফুল বানানো সম্ভব। আর এর জন্যই আজকের কম্পিউটার গুলো সাইজে অনেক ছোট, অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সস্তা মুল্যের হয়ে থাকে। বর্তমানে কম্পিউটার প্রসেসর ১০০-২০০ ন্যানোমিটারের ট্র্যানজিস্টর দ্বারা প্রস্তুত হয়ে থাকে এবং দিনদিন এর সাইজ আরো কমানো হচ্ছে আর এই সবই সম্ভব হচ্ছে ন্যানো টেকনোলজির ফলে।
    শুধু কম্পিউটার প্রসেসর নয়, বরং ফ্ল্যাট স্ক্রীন এচডি টিভি, স্মার্টফোন, আইপড ইত্যাদি সব গুলোতেই ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে চিপ লাগানো থাকে।

    ন্যানো মেশিন

    ন্যানো টেকনোলজির আরেকটি মজার ব্যাপার হলো এ দ্বারা অত্যন্ত ক্ষুদ্র মেশিন বানানো সম্ভব; যেমন গিয়ার, সুইচ, পাম্প, মেশিন —এবং সম্পূর্ণ আলাদা অ্যাটম থেকে। ন্যানো মেশিন দ্বারা ন্যানো রোবট তৈরি করা সম্ভব যেগুলোকে ন্যানোবট বলা হয়। ন্যানোবটকে আমাদের শরীরের মধ্যে ইনজেক্ট করে দেওয়া সম্ভব যাতে এটি প্রতিকুল পরিবেশে বিপদের সাথে লড়তে পারে।

    শেষ কথা

    ন্যানো টেকনোলজি ভবিষ্যৎ এ আরো রাজ করবে এই বাক্যে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই প্রযুক্তির সুফলের সাথে সাথে কিছু অসুবিধারও হুমকি রয়েছে। যেমন ন্যানোবট মানব দেহে ইনজেক্ট করার মাধ্যমে ক্যান্সার ঘটাতে পারে। ন্যানো বট অত্যন্ত ছোট হওয়ার কারণে অনেক ডাক্তাররা আসঙ্খা করছেন যে এটি রক্তের সাথে ব্রেনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে ফলে কেউই জানেন না কি ঘটতে পারে এতে। ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনার আরো তথ্য জানা থাকলে নিচে টিউমেন্টে তা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। টিউনটি ভালো লাগলে এবং উপকৃত হলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।


বলেছে। স্যামসাংয়ের মোবাইল ব্যবসা বিভাগের প্রধান ডংজিন কোহ বলেছেন, গ্যালাক্সি নোট সিরিজে চমক দেবে প্রতিষ্ঠানটি। গ্যালাক্সি নোট ৯ হবে বিশ্বের প্রথম ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোহ বলেন, স্যামসাং আশা করছে আগামী বছর ফ্ল্যাগশিপ গ্যালাক্সি নোট লাইনে নমনীয় স্মার্টফোন আনা সম্ভব হবে। এ প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে এখনো বেশ কিছু বাধা পেরোতে হবে। এসব সমস্যার সমধান না হলে অবশ্য ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আসা পেছাতে পারে। তবে স্যামসাংয়ের মোবাইল বিভাগের প্রধান হিসেবে বলতে পারি, আমাদের লক্ষ্য পরের বছর। ওই বছর আসবে নমনীয় স্মার্টফোন।
এর আগেও স্যামসাংয়ের ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোনের কথা শোনা গেছে। ২০১৩ সালে ‘ইয়োম’ নামে নমনীয় ডিসপ্লের প্রটোটাইপ দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ চার বছর ধরে ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছরের জানুয়ারিতে গুঞ্জন উঠেছিল স্যামসাং গ্যালাক্সি এক্স নামের নমনীয় স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে। সাত ইঞ্চি মাপের ওএলইডি ডিসপ্লের ওই ডিভাইসটি ভাঁজ করে পকেটে রাখা যাবে। ওই সুবিধা ২০১৮ সালে বাজারে আসা নোট ৯-এ থাকবে কি না, তা জানা যায়নি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে কোহ বলেন, স্যামসাং বর্তমানে স্পিকার নির্মাতা হারমানের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমান স্পিকার তৈরিতে কাজ করছে। এ স্পিকার ব্যবহার করে ঘরের বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন নিশ্চই? সবার ভালো থাকা কামনা করি সবসময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। বন্ধুরা আজ আমি এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার অথবা ইন্টারনেটে আয় নিয়ে কোনো কিছু লিখছিনা, আজ লিখবো উইন্ডোজ সফটওয়্যার নিয়ে।
  •  কিভাবে আজীবন আপনার পিসিকে সুপার ফাস্ট রাখবেন!
  •  কিভাবে আজীবন আপনার পিসিকে ভাইরাস মুক্ত রাখবেন!
  •  কিভাবে ট্রায়াল ভার্সন সফটওয়্যার আজীবন ব্যবহার করবেন!
হ্যা, এতক্ষন যার গুনগান গাইছিলাম উনার নাম নিশ্চই জানতে ইচ্ছে করছে? উনার নামটা হচ্ছে Deep Freeze সাইজ মাত্র ২২ এম্বি। আমি এক্সপি এবং সেভেনে ব্যবহার করে দেখেছি ওকে আছে, এইটের কথা বলতে পারবোনা আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আগে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করবেন, নাকি সম্পূর্ণ টিউন পড়বেন। সেটা আপনার ব্যাপার, আমি কিন্তু ডাউনলোড লিংক এখানেই দিয়ে গেলাম।Download Deep Freeze For windows সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার আগে আপনাকে কিছু কাজ করে নিতে হবে। যেমন-
  • প্রথমে নতুন করে উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়া
  • এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কেন করে ভাইরাস ডিলেট করা
  • Ccleaner দিয়ে সি ড্রাইভ ক্লিন করা ও রেজিস্ট্রি ক্লিন করা
নতুন উইন্ডোজ সেটাপ দেবার পর যদি আপনার মনে হয় পিসির পারফরমেন্স এখনো ভালোই আছে তবে এখান থেকেই শুরু করতে পারেন। তারপর আপনি যে সফটওয়্যার গুলো সবসময় ব্যবহার করেন সেগুলো ইন্সটল করে নিন। তার কারণ ডিপ ফ্রিজ ইন্সটল করার পর আপনি নতুন করে আর কোন সফটওয়্যার পিসিতে ইন্সটল করতে চাইলে, একটু সমস্যা আছে। এর সমাধানটা আমি নিচের দিকে উল্যেখ করবো।
এবার শুরু করি কিভাবে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন। আশা করছি Deep Freeze ডাউনলোড কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। এবার ইন্সটল করার পালা! প্রথমে আমার দেয়া জিপ ফাইলটাকে আনজিপ করুন। Deep Freeze ফোল্ডারটি ওপেন করে New text Document ওপেন করুন।এখান থেকে ফুল ভার্সন করার কিগুলো আগে কপি করে নিন। নিচের ছবির মত
 এবার সেটাপ ফাইলটার উপর রাইটে ক্লিক করে ওপেন করুন নিচের ছবির মতো
 তারপর রান এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 তারপর নেক্সট এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 তারপর i Accept The Terms এ ক্লিক করে Next এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 আগের কপি করা কিগুলো এখানে পেস্ট করুন নিচের ছবির মতো
 শুধুমাত্র C ড্রাইভ এর ঠিক চিহ্ন রেখে অন্য ড্রাইভ গুলোর ঠিক চিহ্ন গুলো ক্লিক করে করে উঠিয়ে দিয়ে, Next এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো
 Install এ ক্লিক করলে ইন্সটল প্রক্রিয়া শুরু হবে নিচের ছবির মতো
 এবার কম্পিউটারটি অটো রিস্টার্ট হবে, ওপেন হবার পরে নিচের ছবির মতো একটা মেসেজে আসবে আপনি Yes এ ক্লিক করুন
 এবার নিচের ছবির মতো ২বার নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আবার Apply & Reboot  ক্লিক করুন। কম্পিউটারটি অটো রিস্টার্ট হবে, ব্যাস কাজ শেষ। এবার মজা উপভোগ করুন। মজাই মজা।

  • এবার আপনার কম্পিউটার যেমন আছে সাড়া জীবন তেমন থাকবে!
  • পারফরমেন্স একচুল ও নরচর হবেনা!
  • জীবনেও ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে ঢুকতে পারবেনা!
  • এমনকি আপনার উইন্ডোজ ও যেমন আছে তেমন থাকবে!
  • আইপি এস না থাকলেও আপনার উইন্ডোজ দূর্বল হবেনা!
  • রিস্টার্ট দিলেই আপনি পাবেন নতুন এক উইন্ডোজ!
স্ক্রীনশট দেখে যদি ইন্সটল করতে যদি সমস্যা হয় তবে এই ভিডিও দেখে দেখে সহজেই ইন্সটল করে ফেলুন
https://youtu.be/XX5iEE644XQ
এবার বলবো এই সফটওয়্যার ইন্সটল দেবার পর নতুন কোনো সফটওয়্যার কিভাবে ইন্সটল করবেন। Shift key চেপে ধরুন নিচের ছবির মতো
 কম্পিউটারের নিচের ডান দিকে টাস্কবারের ডিপ ফ্রিজ আইকনে ডাবল ক্লিক করুন। নিচের ছবির মতো
 প্রথমে কিবোর্ড ক্লোজ করুন। তারপর পাসওয়ার্ড ঘরে সেইযে ডিপ ফ্রিজ ইন্সটল করার সময় ২বার পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মনে আছে, সেই পাসওয়ার্ড এখানে দিন, নিচের ছবির মতো।
 এবার যে উইন্ডো আসবে সেখান থেকে  Boot From Thawed সিলেক্ট করে Apply & Reboot এ ক্লিক করুন নিচের ছবির মতো

এবার কম্পিউটার অটোমেটিক রিস্টার্ট হবে, ওপেন হলে নিচের দিকে দেখবেন টাস্কবারে Deep Freeze আইকনটাতে x cross চিহ্ন এসেছে, তার মানে এটা এখন ডিজাবল আছে। এখন অন্য যেকোনো সফটওয়্যার নতুন করে ইন্সটল করতে পারবেন। কোন সমস্যা হবেনা।
নতুন সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর, আবার এই Deep Freeze সফটওয়্যার টিকে ডিজাবল থেকে এনাবল করুন। এটি করতে Shitft key চেপে ধরে আগের মতো, নিচের টাস্কবারের Deep Freeze আইকনটাতে ডাবল ক্লিক করুন। তারপর পাসওয়ার্ড দিয়ে ok করে উপরের অপশন boot Frozen এ ক্লিক করে, Apply & Reboot এ ক্লিক করুন, ব্যাস কাজ শেষ।
বিঃদ্রঃ ভুলেও C ড্রাইভে কোন কিছু সেভ করে রাখবেননা! কারণ রিস্টার্ট দিলে সেভ করা ফাইল খুজে পাবেননা। C ড্রাইভ ছাড়া অন্য যেকোনো ড্রাইভে সেভ করতে পারবেন, কোনো সমস্যা হবেনা।

How to Uninstall Deep Freeze
অন্যান্য সফটওয়্যার থেকে এর আনইন্সটল পদ্ধতিটা একটু আলাদা! যদি কোনো কারণে যদি এই ডিপ Deep Freeze সফটওয়্যারটি আপনার আনইন্সটল করার প্রয়োজন পরে তবে- এই ভিডিওটা দেখে দেখেই আনইন্সটলের কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।
https://youtu.be/Y1CkJWe9LtY
দয়া করে টিউনটি কপি করবেননা একান্তই যদি করতেই হয়, তবে টিউনারের নাম এবং লিংক উল্যেখ করবেন। কিছুদিন আগে আমি অনলাইন আয়ের গোপন টিপস নামে এখানে একটা টিউন করেছিলাম টিউনটা চুরি করে ট্রিকবিডিতে এক ভাই নিজের নামে চালিয়ে দিলেন, তাও অসম্পূর্ন টিউন, আমার কোনো নাম গন্ধ নাই টিউনে! অথচ আমারি লেখা আরো দুই’টা টিউন ট্রিকবিডিতে ঝুলে আছে, পাবলিশ হচ্ছেনা, আপনারা কিছু বুঝতে পারলেন? আমি টিউন করলে পাবলিশ হয়না, কিন্তু আমার টিউন অন্যজন কপি করলে সেটা পাবলিশ হয়! দুনিয়াটা এমন কেনো খোদা?
যাক আবারো সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিলাম। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, টিউনারপেজ জিন্দাবাদ। এতোক্ষন কষ্ট করে আমার টিউনটা পড়ার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বি: দ্র: এই টিউনটি ২ ঘন্টা ২০মিনিট আগে আমার নিজের দ্বারা টেকটিউন্সে পাবলিশ হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সরাসরি শনাক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। আপেক্ষিকতা তত্ত্বে এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গেরই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। ১০০ বছর পর তা সঠিক বলে প্রমাণিত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ১৯১৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর একে একে এর পূর্বাভাস মিলতে শুরু করে। কিন্তু তাঁর ওই তত্ত্বের একটি পূর্বাভাসের সরাসরি প্রমাণ মিলছিল না কিছুতেই। তা হলো ‘গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ’ বা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। ১৪০০ কোটি বছর আগে মহাবিস্ফোরণ বা ‘বিগ ব্যাং’-এর পর যে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। পুকুরে ঢিল ফেললে যেমন ঢেউ ছড়াতে ছড়াতে সেটি পাড়ে পৌঁছে যায়, তেমনই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এখনো ওই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ছে। আর চারপাশে অসম্ভব দ্রুতগতিতে মহাবিশ্ব এখনো প্রসারিত হয়ে চলেছে। তাই সেই তরঙ্গের পরিধিও উত্তরোত্তর বাড়ছে, কিন্তু তার হদিস পাচ্ছিলেন না মহাকাশবিজ্ঞানীরা। সে কারণে ভাবনা শুরু হয়েছিল আইনস্টাইনের তত্ত্বের পরিবর্ধন-পরিমার্জনেরও। অবশেষে ১০০ বছর পর তাঁর তত্ত্বই সঠিক প্রমাণিত হলো। সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের যে গাণিতিক পূর্বাভাস তিনি দিয়েছিলেন, তা পুরোপুরি সঠিক হলো। সরাসরি শনাক্ত হলো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তের জন্য বিজ্ঞানীরা লেজার রশ্মি ভ্রমণ করতে পারে—এমন চার কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরি করেন। গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবী থেকে ১০০ কোটিরও বেশি আলোকবর্ষ দূরে দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষের ফলে স্থান-কাল কীভাবে বেঁকে যায়, তা তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল লিগো কোলাবোরেশন বলছে, প্রথমবারের মতো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানে নতুন যুগের সূচনা হবে। কয়েক দশক ধরে অনুসন্ধানের পর গবেষণাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাল। এর মাধ্যমে ‘বিগ ব্যাং’ সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ হতে পারে। তত্ত্ব অনুযায়ী বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল।
লিগো কোলাবোরেশনের গবেষণা প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স-এ প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে।
লিগো কোলাবোরেশন এ নিয়ে বিশ্বের কয়েকটি গবেষণাগারে পরীক্ষা চালায়। লিগো প্রজেক্টের নির্বাহী পরিচালক ডেভিড রিজ বলেন, ‘আমরা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করেছি। এই প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্ব আমাদের সঙ্গে কথা বলল। এর আগ পর্যন্ত আমরা ছিলাম বধির।’
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাভিটেশনাল ফিজিকস ও হ্যানোভারের লাইবনিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কার্সটেন ডানসমান ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে ওই যৌথ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘হিগস কণা আবিষ্কারের পর এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার বিষয়টিই বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কোনো সন্দেহ নেই, এটি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। …এটি আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বক্তব্য নিশ্চিত করল।’
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার এ ঘটনা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি বিশেষ মুহূর্ত মনে করেন স্টিফেন হকিং।

শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল। তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবি অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তা নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে।

ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে। তাই বলে কী এসব নামে নাম বা উপনাম রাখা ঠিক হবে?

ব্যক্তির নাম তার স্বভাব চরিত্রের উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বর্ণিত আছে। শাইখ বকর আবু যায়েদ বলেন, ঘটনাক্রমে দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল থাকে। এটাই আল্লাহর তাআলার হেকমতের দাবি। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। খারাপ নামের অধিকারী লোকের চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে। ভাল নামের অধিকারী ব্যক্তির চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।

রাসূল (সা.) কারো ভাল নাম শুনে আশাবাদী হতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় মুসলিম ও কাফের দুপক্ষের মধ্যে টানাপোড়নের এক পর্যায়ে আলোচনার জন্য কাফেরদের প্রতিনিধি হয়ে সুহাইল ইবনে আমর নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এল তখন রাসূল (সা.)সুহাইল নামে আশাবাদী হয়ে বলেন- সুহাইল তোমাদের জন্য সহজ করে দিতে এসেছেন।সুহাইল শব্দটি সাহলুন (সহজ) শব্দের ক্ষুদ্রতা নির্দেশক রূপ। যার অর্থ হচ্ছে- অতিশয় সহজকারী। বিভিন্ন কবিলার ভাল অর্থবোধক নামে রাসূল (সা.)আশাবাদী হওয়ার নজির আছে। তিনি বলেছেন: গিফার (ক্ষমা করা) কবিলা তথা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন। আসলাম (আত্মসমর্পণকারী/শান্তিময়)কবিলা বা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ শান্তি দিন।

নিম্নে আমরা নবজাতকের নাম রাখার ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য কিছু নীতিমালা তুলে ধরব:

এক: নবজাতকের নাম রাখার সময়কালের ব্যাপারে রাসূল (সা.)থেকে তিনটি বর্ণনা রয়েছে। শিশুর জন্মের পরপরই তার নাম রাখা। শিশুর জন্মের তৃতীয় দিন তার নাম রাখা। শিশুর জন্মের সপ্তম দিন তার নাম রাখা। এর থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম এ বিষয়ে মুসলিমদেরকে অবকাশ দিয়েছে। যে কোনোটির উপর আমল করা যেতে পারে। এমনকি কুরআনে আল্লাহ তাআলা কোনো কোনো নবীর নাম তাঁদের জন্মের পূর্বে রেখেছেন মর্মে উল্লেখ আছে।

দুই: আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে রাসূল (সা.)বলেছেন - إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ অর্থ-তোমাদের নামসমূহের মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে- আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) ও আব্দুর রহমান (রহমানের বান্দা)।এ নাম দুটি আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণ হল- নাম দুটিতে আল্লাহর দাসত্বের স্বীকৃতি রয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর দুটি নাম এ নামদ্বয়ের সাথে সম্বন্ধিত আছে। একই কারণে আল্লাহর অন্যান্য নামের সাথে আরবী আবদ (বান্দা বা দাস) শব্দটিকে সমন্ধিত করে নাম রাখাও উত্তম।

তিন: যে কোনো নবীর নামে নাম রাখা ভাল। যেহেতু তাঁরা আল্লাহর মনোনীত বান্দা। হাদিসে এসেছে নবী (সা.)বলেছেন- তোমরা আমার নামে নাম রাখ। আমার কুনিয়াতে (উপনামে) কুনিয়ত রেখো না। নবী (সা.)এর কুনিয়ত ছিল- আবুল কাসেম। নবী করীম (সা.)তাঁর নিজের সন্তানের নাম রেখেছিলেন ইব্রাহিম। কুরআনে কারীমে ২৫ জন নবী-রাসূলের নাম বর্ণিত আছে মর্মে আলেমগণ উল্লেখ করেছেন। এর থেকে পছন্দমত যে কোনো নাম নবজাতকের জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে।

চার: নেককার ব্যক্তিদের নামে নাম রাখাও উত্তম। এর ফলে সংশ্লিষ্ট নামের অধিকারী ব্যক্তির স্বভাবচরিত্র নবজাতকের মাঝে প্রভাব ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায়। এ ধরনের আশাবাদ ইসলামে বৈধ। এটাকে তাফাউল (تَفَاؤُلٌ) বলা হয়। নেককার ব্যক্তিদের শীর্ষস্থানে রয়েছেন রাসূল (সা.)এর সাহাবায়ে কেরাম। তারপর তাবেয়িন। তারপর তাবে-তাবেয়িন। এরপর আলেম সমাজ।

পাঁচ: আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়। দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে। খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে। এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।[সূরা আহযাব ৩৩:৫]

শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন। তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার।

ছয়: কোনো ব্যক্তির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য তাকে তার সন্তানের নাম দিয়ে গঠিত কুনিয়ত বা উপনামে ডাকা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বড় সন্তানের নামের পূর্বে আবু বা পিতা শব্দটি সম্বন্ধিত করে কুনিয়ত রাখা উত্তম। যেমন- কারো বড় ছেলের নাম যদি হয় উমর তার কুনিয়ত হবে আবু উমর (উমরের পিতা)। এক্ষেত্রে বড় সন্তানের নাম নির্বাচন করার উদাহরণ রাসূল (সা.) এর আমল থেকে পাওয়া যায়। এক সাহাবীর কুনিয়াত ছিল আবুল হাকাম। যেহেতু হাকাম আল্লাহর খাস নাম তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পরিবর্তন করে দিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: তোমার ছেলে নেই? সাহাবী বললেন, শুরাইহ, মুসলিম ও আব্দুল্লাহ। তিনি বললেন: এদের মধ্যে বড় কে? সাহাবী বললেন: শুরাইহ। তখন রাসূল (সা.)বললেন- তোমার নাম হবে: আবু শুরাইহ।

সাত: যদি কারো নাম ইসলামসম্মত না হয়; বরঞ্চ ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ এমন নাম হয় তাহলে এমন নাম পরিবর্তন করা উচিত। যেমন- ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিস হতে আমরা জানতে পেরেছি একজন সাহাবীর সাথে ‘হাকাম’ শব্দটি সংশ্লিষ্ট হয়েছিল, কিন্তু হাকাম আল্লাহর খাস নামসমূহের একটি; তাই রাসূল (সা.) তা পরিবর্তন করে দিয়ে তাঁর নাম রেখেছেন আবু শুরাইহ।

মহিলা সাহাবী যয়নব (রা.)এর নাম ছিল বার্‌রা (بَرَّةٌ -পূর্ণবতী)। তা শুনে রাসূল (সা.)তাঁকে বললেন তুমি কি আত্মস্তুতি করছ? তখন রাসূল (সা.)তাঁর নামও পরিবর্তন করে ‘যয়নব’ রাখলেন।

আট: সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশে বাংলা শব্দে নাম রাখার প্রবণতা দেখা যায়। ইসলামী নীতিমালা লঙ্ঘিত না হলে এবং এতদঅঞ্চলের মুসলিমদের ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে এমন নাম রাখাতে দোষের কিছু নেই।‘আল-মাউসুআ আলফিকহিয়া কুয়েতিয়া’ তথা কুয়েতস্থ ফিকহ বিষয়ক বিশ্বকোষ গ্রন্থে বলা হয়েছে- নাম রাখার মূলনীতি হচ্ছে- নবজাতকের যে কোনো নাম রাখা জায়েয; যদি না শরিয়তে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে। কিন্তু অনন্ত, চিরঞ্জীব, মৃত্যুঞ্জয় এ অর্থবোধক নাম কোনো ভাষাতেই রাখা কোনো অবস্থায় জায়েয নয়। কারণ নশ্বর সৃষ্টিকে অবিনশ্বর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর গুণাবলীতে ভূষিত করা জায়েয নেই।

ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম

এক: আল্লাহর নাম নয় এমন কোনো নামের সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা) শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা হারাম। যেমন- আব্দুল ওজ্জা (ওজ্জার উপাসক), আব্দুশ শামস (সূর্যের উপাসক), আব্দুল কামার (চন্দ্রের উপাসক),আব্দুল কালাম (কথার দাস), আব্দুল কাবা (কাবাগৃহের দাস), আব্দুন নবী (নবীর দাস), গোলাম নবী (নবীর দাস), আব্দুস শামছ (সূর্যের দাস), আব্দুল কামার (চন্দ্রের দাস), আব্দুল আলী (আলীর দাস), আব্দুল হুসাইন (হোসাইনের দাস), আব্দুল আমীর (গর্ভনরের দাস), গোলাম মুহাম্মদ (মুহাম্মদের দাস), গোলাম আবদুল কাদের (আবদুল কাদেরের দাস)ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় নামের মধ্যে আব্দ শব্দটা থাকলেও ডাকার সময় আব্দ শব্দটা ছাড়া ব্যক্তিকে ডাকা হয়। যেমন আব্দুর রহমানকে ডাকা হয় রহমান বলে। আব্দুর রহীমকে ডাকা হয় রহীম বলে। এটি অনুচিত। আর যদি দ্বৈত শব্দে গঠিত নাম ডাকা ভাষাভাষীদের কাছে কষ্টকর ঠেকে সেক্ষেত্রে অন্য নাম নির্বাচন করাটাই শ্রেয়। এমনকি অনেক সময় আল্লাহর নামকে বিকৃত করে ডাকার প্রবণতাও দেখা যায়। এ বিকৃতির উদ্দেশ্য যদি হয় আল্লাহকে হেয় করা তাহলে ব্যক্তির ঈমান থাকবে না। আর এই উদ্দেশ্য না থাকলেও এটি করা অনুচিত।

দুই: অনুরূপভাবে যেসব নামকে কেউ কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব নামের সাথে আব্দ বা দাস শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম। যেমন- আব্দুল মাবুদ (মাবুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি; বরং আল্লাহর বিশেষণ হিসেবে এসেছে), আব্দুল মাওজুদ (মাওজুদ শব্দটি আল্লাহর নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে আসেনি)।
তিন: মানুষ যে উপাধির উপযুক্ত নয় অথবা যে নামের মধ্যে মিথ্যাচার রয়েছে অথবা অসার দাবী রয়েছে এমন নাম রাখা হারাম। যেমন- শাহেনশাহ (জগতের বাদশাহ) বা মালিকুল মুলক (রাজাধিরাজ) নাম বা উপাধি হিসেবে নির্বাচন করা। সাইয়্যেদুন নাস (মানবজাতির নেতা) নাম রাখা। একই অর্থবোধক হওয়ার কারণে মহারাজ নাম রাখাকেও হারাম বলা হয়েছে।

চার: যে নামগুলো আল্লাহর জন্য খাস সেসব নামে কোন মাখলুকের নাম রাখা বা কুনিয়ত রাখা হারাম। যেমন- আল্লাহ, আর-রহমান, আল-হাকাম, আল-খালেক ইত্যাদি। তাই এসব নামে কোন মানুষের নাম রাখা সমীচীন নয়। পক্ষান্তরে আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে যেগুলো শুধু আল্লাহর জন্য খাস নয়; বরং সেগুলো আল্লাহর নাম হিসেবেও কুরআন হাদিসে এসেছে এবং মাখলুকের নাম হিসেবেও এসেছে সেসব নাম দিয়ে মাখলুকের নাম রাখা যেতে পারে।

কুরআনে এসেছে- قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ অর্থ- আল আযিযের স্ত্রী বলেছেন[সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫১]।

যেসব নাম রাখা মাকরুহ

এক: এমন শব্দে দিয়ে নাম রাখা যার অনুপস্থিতিকে মানুষ কুলক্ষণ মনে করে। যেমন- কারো নাম যদি হয় রাবাহ (লাভবান)। কেউ যদি রাবাহকে ডাকে, আর রাবাহ বাড়িতে না থাকে তখন বাড়ির লোকদেরকে বলতে হবে রাবাহ বাড়িতে নেই। এ ধরনের বলাকে সাধারণ মানুষ কুলক্ষণ মনে করে। অনুরূপভাবে আফলাহ (সফলকাম), নাজাহ (সফলতা) ইত্যাদির নামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নবী (সা.) এই ধরনের নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। পরবর্তীতে নিষেধ না করে চুপ থেকেছেন।

দুই: যেসব নামের মধ্যে আত্মস্তুতি আছে সেসব নাম রাখা মাকরুহ। যেমন, মুবারক (বরকতময়) যেন সে ব্যক্তি নিজে দাবি করছেন যে তিনি বরকতময়, হতে পারে প্রকৃত অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। অনুরূপভাবে রাসূল (সা.)এক মহিলা সাহাবীর নাম বার্‌রা (পূন্যবতী) থেকে পরিবর্তন করে তার নাম দেন যয়নব। এবং বলেন: তোমরা আত্মস্তুতি করো না। আল্লাহই জানেন কে পূন্যবান।

তিন: দাম্ভিক ও অহংকারী শাসকদের নামে নাম রাখা। যেমন- ফেরাউন, হামান, কারুন, ওয়ালিদ। শয়তানের নামে নাম রাখা। যেমন- ইবলিস, ওয়ালহান, আজদা, খিনজিব, হাব্বাব ইত্যাদি।

চার: যে সকল নামের অর্থ মন্দ। মানুষের স্বাভাবিক রুচিবোধ যেসব শব্দকে নাম হিসেবে ঘৃণা করে; ভদ্রতা ও শালীনতার পরিপন্থী কোন শব্দকে নাম বা কুনিয়ত হিসেবে গ্রহণ করা। যেমন, কালব (কুকুর) মুররা (তিক্ত) হারব (যুদ্ধ)।

পাঁচ: একদল আলেম কুরআন শরীফের মধ্যে আগত অস্পষ্ট শব্দগুলোর নামে নাম রাখাকে অপছন্দ করেছেন। যেমন- ত্বহা, ইয়াসীন, হামীম ইত্যাদি।

ছয়: অনুরূপভাবে আল্লাহর সাথে আব্দ (দাস) শব্দ বাদে অন্য কোন শব্দকে সম্বন্ধিত করা। যেমন- রহমত উল্ল্যাহ (আল্লাহর রহমত)। শায়খ বকর আবু যায়দের মতে রাসূল শব্দের সাথে কোন শব্দকে সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও মাকরূহ। যেমন- গোলাম রাসূল (গোলাম শব্দটিকে যদি আরবী শব্দ হিসেবে ধরা হয় এর অর্থ হবে রাসূলের চাকর বা বাছা তখন এটি মাকরূহ। আর যেসব ভাষায় গোলাম শব্দটি দাস অর্থে ব্যবহৃত হয় সেসব ভাষার শব্দ হিসেবে নাম রাখা হয় তখন এ ধরনের নাম রাখা হারাম যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।)

আল্লাহর নামের সাথে আব্দ শব্দ সম্বধিত করে কিছু নির্বাচিত নাম:

আব্দুল আযীয (عَبْدُ الْعَزِيْزِ- পরাক্রমশালীর বান্দা), আব্দুল মালিক (عَبْدُ الْمَالِكِ-মালিকের বান্দা), আব্দুল কারীম (عَبْدُ الْكَرِيْمِ-সম্মানিতের বান্দা), আব্দুর রহীম (عَبْدُ الرَّحِيْمِ-করুণাময়ের বান্দা), আব্দুল আহাদ (عَبْدُ الْأَحَدِ- একক সত্তার বান্দা), আব্দুস সামাদ (عَبْدُ الصَّمَدِ- পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্বের অধিকারীর বান্দা), আব্দুল ওয়াহেদ (عَبْدُ الْوَاحِدِ-একক সত্তার বান্দা), আব্দুল কাইয়্যুম (عَبْدُ الْقَيُّوْمِ-অবিনশ্বরের বান্দা), আব্দুস সামী (عَبْدُ السَّمِيْعِ-সর্বশ্রোতার বান্দা), আব্দুল হাইয়্য (عَبْدُ الْحَيِّ-চিরঞ্জীবের বান্দা), আব্দুল খালেক (عَبْدُ الْخَالِقِ-সৃষ্টিকর্তার বান্দা), আব্দুল বারী (عَبْدُ الْبَارِيْ-স্রষ্টার বান্দা), আব্দুল মাজীদ (عَبْدُ الْمَجِيْدِ-মহিমান্বিত সত্তার বান্দা) ইত্যাদি।

নবী ও রাসূলগণের নাম

সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হচ্ছেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (مُحَمَّدٌ); তাঁর অন্য একটি নাম হচ্ছে- আহমাদ (أَحْمَدُ)। শ্রেষ্ঠতম পাঁচজন রাসূলের নাম হচ্ছে- নূহ (نُوْحٌ), ইব্রাহীম (إبْرَاهِيْمُ), মুসা (مُوْسَى), ঈসা (عِيْسَى) ও মুহাম্মদ (مُحَمَّدٌ)। এগুলো ছাড়াও কুরআনে কারীমে আরো কিছু নবী ও রাসূলের নাম এসেছে সেগুলো হচ্ছে- হুদ (هُوْدٌ), সালেহ (صَالِحٌ), শুআইব (شُعَيْبٌ), দাউদ (دَاوُدُ), ইউনুস (يُوْنُسُ), ইয়াকুব (يَعْقُوْبٌ), ইউসুফ (يُوْسُفُ), ইসহাক (اِسْحَاقٌ), আইয়ুব (أَيُّوْبُ), যাকারিয়া (زَكَرِيَّا), লূত (لُوْطٌ), হারুন (هَارُوْنٌ), ইসমাঈল (اِسْمَاعِيْلُ), ইয়াহইয়া (يَحْيى), যুল-কিফেল (ذُو الْكِفْلِ), আল-ইসাআ (اَلْيَسَع), আদম (آدم) ও একজন নেককার বাদশাহ হিসেবে ‘যুলকারনাইন’ (ذُو الْقَرْنَيْنِ) ইত্যাদি।

নির্বাচিত কিছু পুরুষ সাহাবীর নাম

সাহাবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন- চারজন খলিফা। মর্যাদা অনুযায়ী তাঁদের সুপরিচিত নাম বা উপনাম হচ্ছে- আবু বকর (أَبُوْ بَكْر), উমর (عُمَرُ), উসমান (عُثْمَانُ), আলী (عَلِيٌّ)। এর পরের মর্যাদায় রয়েছেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত বাকী ৬ জন সাহাবী। তাঁদের নাম হচ্ছে- আব্দুর রহমান (عبد الرحمن), যুবাইর (الزبير), তালহা (طَلْحَةُ), সাদ (سَعْدٌ), আবু উবাইদা (أَبُوْ عُبَيْدَةُ), সাঈদ (سَعِيْدٌ)। এরপর মর্যদাবান হচ্ছেন- বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ। বিশিষ্ট সাহাবী যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহ তার ৯ জন ছেলের নাম রেখেছিলেন বদরের যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৯ জন সাহাবীর নামে। তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ (عَبْدُ الله), মুনযির (مُنْذِرٌ), উরওয়া (عُرْوَةُ), হামযা (حَمْزَةُ), জাফর (جَعْفَرٌ), মুস‘আব (مُصْعَبٌ), উবাইদা (عُبَيْدَةُ), খালেদ (خَالِدٌ), উমর (عُمَرُ)।

মেয়ে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম

রাসূল (সা.)এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম: খাদিজা (خَدِيْجَةُ), সাওদা (سَوْدَةُ), আয়েশা (عَائِشَةُ), হাফসা (حَفْصَةُ), যয়নব (زَيْنَبُ), উম্মে সালামা (أُمِّ سَلَمَة), উম্মে হাবিবা (أُمِّ حَبِيْبَة), জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَةُ), সাফিয়্যা (صَفِيَّةُ)।

রাসূল (সা.)এর কন্যাদের নাম: ফাতেমা (فَاطِمَةُ), রোকেয়া (رُقَيَّةُ), উম্মে কুলসুম (أُمُّ كلْثُوْم)। আরো কিছু নেককার নারীর নাম- সারা (سَارَة), হাজেরা (هَاجِر), মরিয়ম (مَرْيَم)।

মহিলা সাহাবীদের নাম- রুফাইদা (رُفَيْدَةُ -সামান্য দান), আমেনা (آمِنَةُ -প্রশান্ত আত্মা), আসমা (أَسْمَاءُ -নাম), রাকিকা (رَقِيْقَةٌ-কোমলবতী), নাফিসা (نَفِيْسَةُ-মূল্যবান), উমামা (أُمَامَةُ- তিনশত উট), লায়লা (لَيْلى -মদ), ফারিআ (فَرِيْعَةُ -লম্বাদেহী), আতিকা (عَاتِكَةُ -সুগন্ধিনী), হুযাফা (حُذَافَةُ-সামান্য বস্তু), সুমাইয়্যা (سُمَيَّةُ -আলামত), খাওলা (خَوْلَةُ-সুন্দরী), হালিমা (حَلِيْمَةُ -ধৈর্য্যশীলা), উম্মে মাবাদ (أم مَعْبَد-মাবাদের মা), উম্মে আইমান (أمَّ أَيْمَن-আইমানের মা), রাবাব ( رَبَاب-শুভ্র মেঘ), আসিয়া (آسِيَةُ-সমবেদনা প্রকাশকারিনী), আরওয়া (أرْوَى -কোমল ও হালকা), আনিসা (أنِيْسَةُ -ভাল মনের অধিকারিনী), জামিলা (جَمِيْلَةُ-সুন্দরী), দুর্‌রা (دُرَّة-বড় মতি), রাইহানা (رَيْحَانَة-সুগন্ধি তরু), সালমা (سَلْمى-নিরাপদ), সুআদ (سُعَاد-সৌভাগ্যবতী), লুবাবা (لُبَابَة-সর্বোত্তম), আলিয়া (عَلِيَّةُ-উচ্চমর্যাদা সম্পন্না), কারিমা (كَرِيْمَةُ-উচ্চবংশী)।

মেয়েদের আরো কিছু সুন্দর নাম- ছাফিয়্যা (صَفِيَّةُ), খাওলা (خَوْلَةُ), হাসনা (حَسْنَاء-সুন্দরী), সুরাইয়া (الثُّرَيا-বিশেষ একটি নক্ষত্র), হামিদা (حَمِيْدَةُ-প্রশংসিত), দারদা (دَرْدَاءُ), রামলা (رَمْلَةُ- বালিময় ভূমি), মাশকুরা (مَشْكُوْرَةٌ-কৃতজ্ঞতাপ্রাপ্ত), আফরা (عَفْرَاءُ-ফর্সা)।

ছেলে শিশুর আরো কিছু সুন্দর নাম

উসামা (أسامة-সিংহ), হামদান (প্রশংসাকারী), লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান), রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল), রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ), মামদুহ (مَمْدُوْح-প্রশংসিত), নাবহান (نَبْهَان- খ্যাতিমান), নাবীল (نَبِيْل-শ্রেষ্ঠ), নাদীম (نَدِيْم-অন্তরঙ্গ বন্ধু), ইমাদ (عِمَاد- সুদৃঢ়স্তম্ভ), মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ), মাইমূন (مَيْمُوْن- সৌভাগ্যবান), তামীম (تَمِيْم-দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ), হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি), (بَدْرٌ-পূর্ণিমার চাঁদ), হাম্মাদ (حَمَّادٌ-অধিক প্রশংসাকারী), হামদান (حَمْدَانُ-প্রশংসাকারী), সাফওয়ান (صَفْوَانُ-স্বচ্ছ শিলা), গানেম (غَانِمٌ-গাজী, বিজয়ী), খাত্তাব (خَطَّابٌ-সুবক্তা), সাবেত (ثَابِتٌ-অবিচল), জারীর (جَرِيْرٌ- রশি), খালাফ (خَلَفٌ- বংশধর), জুনাদা (جُنَادَةُ- সাহায্যকারী), ইয়াদ (إِيَادٌ-শক্তিমান), ইয়াস (إِيَاسٌ-দান), যুবাইর (زُبَيْرٌ- বুদ্ধিমান), শাকের (شَاكِرٌ-কৃতজ্ঞ), আব্দুল মুজিব (عَبْدُ الْمُجِيْبِ- উত্তরদাতার বান্দা), আব্দুল মুমিন (عَبْدُ الْمُؤْمِنِ- নিরাপত্তাদাতার বান্দা), কুদামা (قُدَامَةُ- অগ্রণী), সুহাইব (صُهَيْبٌ-যার চুল কিছুটা লালচে) ইত্যাদি।

MARI themes

Powered by Blogger.