জ্যাক মা বা মা ইয়ান একজন চাইনিজ উদ্যোক্তা। জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট আলিবাবা ডট কমের ফাউন্ডার। হাজার হাজার তরুন উদ্যোক্তাদের আইডল। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ২৬ তম ধনী ব্যক্তি তিনি। তার বর্তমান সম্পদের পরিমান ২৭ বিলিয়ন ডলার এর উপর।

পরিশ্রমকারী ব্যক্তি কখনও ব্যর্থ হয়না, কোন না কোন রাস্তা তার জন্য খুলে যায় একদিন। বিল গেটস থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যক্তিরা আজকের এ অবস্থানে আসতে পেরেছেন, শুধুমাত্র নিজেদের পরিশ্রমের কারনে।জনপ্রিয় ট্রেডিং সাইট Alibaba.Com এর কর্ণধার এবং চীনা কোটিপতি জ্যাক মার গল্পটাও সেরকম। জ্যাক মাকে না চিনলেও Alibaba.Com চিনেনা, এরকম মানুষ কম পাওয়া যাবে। এ জ্যাক মা এখনকার অবস্থানে কখনও ছিলেননা। উনার আজকের এ উথ্থানটাই হয়েছে Alibaba.Com এর মাধ্যমে। যখন উনি এ ওয়েবসাইট নিয়ে ভাবেন, তখন চীনের ইন্টারনেট এত বেশি ব্যবহৃত হত না। সেই দেশে বসে এধরনের ওয়েবসাইটের কল্পনা করাটাও আসলে তখন অনেক রিস্কের ছিল।

জ্যাক মা যুব সমাজের জন্য, যারা নিজেরা কিছু একটা করে দেখাতে চায়, তাদের জন্য কয়েকটি উক্তি করেন –
১। আপনার দরিদ্র হয়ে জন্মানোটা দোষের না কিন্তু দরিদ্র হয়ে থাকাটাই দোষের।

২। আপনি যদি একটি দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়ে নিজের ৩৫ বছর বয়সেও সেই দরিদ্রই থাকেন তবে দরিদ্র হয়ে থাকাটা আপনার কপালের দোষ নয়, আপনি এটি প্রত্যাশা করেন। কারন আপনি আপনার যুবক বয়সকে কোন কাজে লাগাতে পারেন নি, আপনি সম্পূর্ণ ভাবে সময়টা নষ্ট করে দিয়েছেন।

৩।জীবনে অনেক উপরে উঠতে হলে ২৫ বছর থেকেই শুরু করুন, নিজে পরিকল্পনা করুন, তাই করুন যা আপনি উপভোগ করতে জানেন।

৪।এগিয়ে যাও তা না হলে ঘরে ফিরে যাও।

৫।গরীব কারণ আপনার দূরদর্শিতার অভাব।

৬।আপনার দারিদ্রতা কারণ আপনি আপনার ভীরুতাকে জয় করতে পারেন নি।

৭।গরীব কারণ আপনি আপনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা, ব্যবহার করতে পারেন নি।

৮।আপনি দরিদ্র তাই সবাই আফসোস করবে কেউই আপনাকে সচ্ছল বানিয়ে দিবেনা।

৯। যখন আপনার বাবা মায়ের চিকিৎসা ব্যয় আপনি মিটাতে পারবেন না কেউই আপনাকে তা দিবেন না।

১০।নিজের জন্য নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। চিন্তা করতে হবে, ভাবনার সাথে প্রয়গিক বাস্তবতার সন্নিবেসন ঘটাতে হবে। জ্যাক মা আরো বলেন, অনেকেই হতাশ হয়ে যায়।

১১।যখন আমাদের টাকা থাকে তখন আমরা ভুল করা শুরু করি।

১২।তুমি যদি হাল ছেড়ে না দাও তবে এখনো তোমার সুযোগ আছে। হাল ছেড়ে দেওয়াটাই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

১৩।কখনো কোনদিন সরকারের সাথে ব্যবসা করো না। তাদের সাথে ভালোবাসা রেখো কিন্তু বিয়ে করো না।

১৪।আমি নিজেকে সবসময় আনন্দিত রাখতে চেষ্টা করি। কারণ আমি জানি যদি আমি খুশি না থাকি তবে আমার সহকর্মী,অংশীদার ও ক্রেতারাও খুশি থাকবে না।

সংগ্রীত ঃ

http://www.kormojibon.com/মতামত/ফিচার/389/পরিশ্রমকারী-ব্যক্তি-কখনও-ব্যর্থ-হয়না-কোন-না-কোন-রাস্তা-তার-জন্য-খুলে-যায়-একদিন।-


কলেজে থাকাকালীন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা। জানিনা কেন তোমাকে আমার তখন এতটুকুও ভাল লাগত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাসে তোমাকে দেখার সাথে সাথে মনে হয়েছিল, উফ! এ মেয়েটি এখানে কেন? না চাওয়া স্বত্বেও যাওয়া আসা তোমার সাথেই করতে হত। এরপর হয়তো কোন এক প্রয়োজনে তোমার সাথে আমার প্রথম কথা বলা। ধীরে ধীরে জানতে শুরু করি তোমার মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত তোমাকে । তোমার সবকিছুতেই যেন ছিল হাসি জড়ানো। কষ্টের মাঝেও তোমার সেই ঝলক মার্কা হাসি যেন থাকবেই। তোমার সেই দুরন্তপনা, স্বচ্ছতা সবই যেন আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। তোমাকে বিরক্ত করলে তুমি যে চেহারাটা বানাতে তা যেন আজও আমার চোখে ভাসে। ভাবতেই হাসি পায়। কেমন অবুঝের মতই না প্রতিটি কথায় তুমি অভিমান করতে। তোমার প্রতিটি জিনিসই তোমার দিকে আমাকে আরো ঝুঁকিয়ে তোলে। তখন কলেজ জীবনের কথা মনে পড়লেই মনে অজান্তেই কেন জানি হেসে উঠতাম। তুমিও হাসতে।
 তোমার মনে আছে, শেষ বারের মত যখন আমরা একসাথে বাড়ি ফিরছিলাম সে রাতটির কথা? কেন জানি জোর করেই তুমি বসেছিলে জানালার পাশের সিটটাতে। তোমার এসব কারণ ছাড়া জেদের কথা মনে পড়লে আজও হেসে উঠি। তুমি কি জানো আমি তখন মনে মনে তোমাকে সেই কথাটি বলার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম যে কথাটি শোনার জন্য তুমি অধীর আগ্রহে এতদিন অপেক্ষা করছিলে ? হ্যাঁ… আজো তোমাকে বলা হয়ে উঠেনি আমার মনের সেসব কথা। সত্যি কথা কি জান? তোমাকে যখন অনেক কাছ থেকে চিনতে শুরু করি, তখন তোমাকে ভাল না বেসে যেন পারিনি। অনেক আগেই তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম এসব। কিন্তু বলব বলব করেও বলা হয়নি। ভয় পেতাম। যদি কথাগুলো শোনার পর আমার সঙ্গ, আমার বন্ধুত্বও তোমার কাছে অসহ্য মনে হয়… আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম তোমার সান্নিধ্যে। আজো আছি।

তোমাকে বলার জন্য সবে মাত্র মুখটা খুলেছিলাম আর তুমি কেন জানি “আদিত্য” বলে আর্তচিৎকার করে আমাকে সজোরে ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দিলে। অবাক হয়েছিলাম আমি অনেক তখন। কিছুটা রেগেও গিয়েছিলাম। কিন্তু তোমার চোখের সেই ভয় আজো আমাকে কাঁদায়। তুমি কি বুঝতে পেরেছিলে কি হতে যাচ্ছে? জানই তো, তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয়না। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল তুমি অনেক কেঁদেছ। কিছু একটা নিয়ে অনেক ভয় পেয়েছিলে। কি ছিল সেটা? কেন তুমি আমাকে এভাবে দূরে ঠেলে দিয়েছিলে? কিভাবে তুমি পারলে? এরপর তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ করনি। নতুন কেউ কি এসেছিল তোমার জীবনে যার কারণে তুমি আমাকে এভাবে ভুলে গেলে? না না না। তা হয়না। কিন্তু এ ছয় মাস তোমার কি একটা বারের জন্যও আমাকে মনে পড়েনি? কখন ভাবতেও পারিনি তুমি এমন করবে। অনেক রেগে আছি তোমার উপর। ক্যাম্পাসে আমরা কত মজাই না করতাম একসাথে। তোমাকে ঘিরে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম। মনে আছে তোমার?
তুমিতো কোন খবরই রাখনি, সেদিন আমাকে সরিয়ে দেয়ার পর কি হয়েছিল ? আমার অনেক কিছুই মনে নেই। পরদিন শুনলাম আমাদের বাসটি নাকি একটি খাদে পরে গিয়েছিল। বেপরোয়া চালায় বলে তুমি কখনও এধরনের বাসে উঠতে চাইতেনা। আসলে তুমিই ঠিক ছিলে। এখন বুঝতে পারি। তোমার কথা শোনা উচিত ছিল । সে রাতে সবাই মোটামুটি আহত হয়েছিল। আমার তো বলতে গেলে কিছুই হয়নি। শুধু মাথা একটু ফেটে গিয়েছিল। ফাটবেনা ? তুমি যে জোরে ধাক্কাটা না দিয়েছিলে। তোমার গায়ে তখন এত শক্তি কোথা থেকে এল ভেবে আমি এখনও অবাক হই। শুনেছিলাম ঐ রাতে নাকি একটা মেয়ে মারা গিয়েছিল। আমি দেখতে গিয়েছিলাম তাকে। সাদা কাপড়ে জড়ানো ছিল তার দেহ। কিন্তু আম্মা কেন জানি আমাকে তার কাছে যেতেই দেয়নি। মা দের এধরনের অযথা জেদ দেখলেই রাগ লাগে। শুধু চুল গুলো দেখেছিলাম। তোমার মতই লম্বা চুল ছিল মেয়েটির। অনেক চিন্তিত ছিলাম আমি তোমাকে নিয়ে। তারপর আরো কত কিছু হয়ে গেল। তুমি তো একটি বারের জন্যও খবর নাওনি। আচ্ছা, এটা নিয়ে পরে ঝগড়া করব। আগে সব কথা শেষ করি।
জানো আমাকে ওরা এ ছয়মাস কোথায় রেখেছিল? হাসপাতালের একটি বন্ধ কক্ষে। আশেপাশের সবাই ছিল অসুস্থ। সাদা কাপড় পরা ওই লোকগুলো মাঝে মাঝে নিজে নিজেরাই হাসে, কথা বলে। মায়া হচ্ছিল তাদের দেখে। এসব জিনিস সবসময় তোমাকে আবেগাপ্লুত করে তুলত। তোমার সাহচর্য আমাকে অনেকটা তোমার মতই বানিয়ে দিয়েছিল। বাসার কথা খুব মনে পড়তো। যেতে চেয়েছিলাম আমি বাসায় অনেকবার। তোমার খবরও তো নিতে হবে আমাকে। জানো, চুপি চুপি তোলা তোমার অনেক ছবি ছিল আমার কাছে। কিন্তু তোমার সব স্মৃতি, সব ছবি ওরা কোথায় জানি লুকিয়ে ফেললো। খুঁজেই পাইনা। কিন্তু ওরা জানে না, আমার সাথে এখনো তুমি আছ। লুকিয়ে রেখেছি তোমার একটি ছবি যেটা আমার পকেটে লুকানো ছিল। আর কিছুই নেই তোমার আমার কাছে এখন। শুধু ওই একটি ছবি।
আজকে আমি আবার বাসে করে বাড়ি যাচ্ছি। আমাকে দেখলে এখন তুমি অনেক খুশি হতে। তোমার পছন্দ করা সেই শার্টটি পরেছি আজ। কিন্তু আমার পাশে আর তুমি নেই আজ। অনেক মনে পরছে তোমাকে। তোমাকে যে অনেকগুলো কথা বলা হয়নি, তোমার ছবিটা এইতো পকেটেই ছিল আমার। [মনের অজান্তেই পকেট হাতড়াতে থাকে] আহহহহ! পেয়েছি! তুমি কি এখনও আগের মতই আছো? নাকি আরেকটু মুটিয়ে গিয়েছো? বেশি করে খাওয়া উচিত তোমার। আরেকটু মোটা হলে তোমাকে যেন আরো বেশি সুন্দর দেখাতো। আচ্ছা তোমার চুল কি আরো লম্বা হয়েছে? অনেক পছন্দ তোমার চুলগুলো আমার। যত্ন নিও।
জানিনা কেন বাসটি থেমে গেল? ওহ হ্যাঁ! পৌঁছে গিয়েছি মনে হয়। কিন্তু কোথায় থামাল? এইটা কি আমার বাসা? চিনতে পারছি না তো! নাহ, এইখানে নামবো না। তোমাকে বলার আমার আরও অনেক কথা আছে। আসল কথাটাই তো বলা হয়নি। এই যে ভাই। শুনেন। আমি এখানে নামবো না! আপনারা আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছেন? আশ্চর্য। আপনারা আমার কথার জবাব দিচ্ছেন না কেন? ছি! এইভাবে টানছেন কেন আমাকে? দেখেন ভাই, বেশি হচ্ছে কিন্তু! এগুলো কিন্তু অভদ্রতা।
[ টানা – হেঁচড়ার কারনে বেকায়দায় বাস থেকে পড়ে যায় সে। হাতের ছবিটি যেয়ে পড়ে তার থেকে কিছু দূরে। ছবিটির উপর দিয়ে হেঁটে যায় যাত্রীরা। ] লাবণ্য………….. আমি বুঝতে পারছিনা লোকগুলো আমার সাথে এমন কেন করছে? এই যে ভাই, কি করছেন? আমি যাবো না বললাম তো আপনাদের সাথে। সমস্যা কি আপনাদের? এই যে! আপনারা আমাকে এইভাবে আঁকড়ে ধরেছেন কেন? কারা আপনারা? আমি কি চিনি আপনাদের? [ ইনজেকশনটা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে সে। তাকিয়ে থাকে দূরে পড়ে থাকা সেই ছবিটির দিকে। অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠে ]
“ভালবাসি !”

‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’-এ তিনটি শব্দে কেউ আপনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলেও তা কি সত্যিকার ভালোবাসা ? অনেকেই অভিযোগ করেন, ‘এ পৃথিবীতে কেউ আমাকে ভালোবাসে না’। সত্যিকার অর্থেই সে আপনাকে ভালোবাসে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ? তাহলে এ লেখায় দেওয়া সাতটি পয়েন্ট মিলিয়ে নিন। বুঝে নিন, সে আপনাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে কি না।



১. অসুস্থ হলে আপনার খবর রাখে

আপনার প্রতি তার ভালোবাসা আছে, এ বিষয়টি বোঝার অন্যতম উপায় হলো আপনি অসুস্থ হলে সে আপনার খবর নেবে। এ সময় আপনার যে কোনো প্রয়োজনে তাকে ডাকলে কাছে পাবেন। আপনার দুঃসময়ে তার এগিয়ে আসা দেখেই বুঝে নেবেন, সে আপনাকে ভালোবাসে।

২. আপনাকে রক্ষা করে

যে আপনাকে ভালোবাসে সে সব সময় আপনাকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে। আপনাকে নিয়ে কেউ হাসাহাসি করলে সে তাতে অংশ নেবে না, বরং তাদের বিরুদ্ধেই থাকবে। এমনকি আপনি তার কাছ থেকে সাহায্য না চাইলেও সে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে।

৩. আপনার পরিবারকে সম্মান করে

আপনার পরিবার আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার পরিবারকেও সম্মান করবে। আপনার বাবা-মা কিংবা ভাই-বোনকে সে সম্মান করবে। তাদের সঙ্গে যদি কথা বলতে হয় তাহলে সে অতি সম্মানের সঙ্গে তা করবে।

৪. আপনাকে উৎসাহ দেয়

আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার নানা অর্জন দেখে খুশি হবে এবং আরও অর্জনে আপনাকে উৎসাহিত করবে। আপনি তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন, এ জন্য সে মোটেও দুঃখ পাবে না। তার বদলে সে আপনার অর্জনে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবে এবং সে জন্য গর্ববোধ করবে।

৫. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে

আপনার সঙ্গে জড়িয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে কেউ কি এগিয়ে এসেছে? যদি এগিয়ে আসে তাহলে বুঝে নিন, সে আপনার প্রতি দুর্বল, আপনাকে ভালোবাসে এবং আপনার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করতে চায়।

৬. আপনার মতামতের মূল্য দেয়

যে আপনাকে ভালোবাসে সে আপনার মতামতেরও মূল্য দেয়। আপনার কথা সে সময় নিয়ে শুনবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। যদি কেউ আপনার মতামতকে মূল্য না দেয় তাহলে এর বিপরীত অবস্থা হবে। কিন্তু আপনাকে যদি ভালোবাসে তাহলে সে আপনাকে একজন বুদ্ধিমান বলেই মনে করবে।

৭. মনে রাখে

যে আপনাকে ভালোবাসে সে আপনার জন্মদিনসহ নানা তারিখের কথা খেয়াল রাখবে। এ ছাড়া অন্য নানা উপলক্ষেও সে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে ভুলবে না। (ইত্যাদি)


শৈশবে এক মেঘবালিকার দেখা পেয়েছিলাম।
মেঘে মেঘে ছুটে বেড়াত মেঘবালিকা।
আমাকেও ভাসিয়ে নিয়ে যেত সেই মেঘের দেশে।
এ যেন অন্যজগত চারিদিকে ফেনা ফেনা মেঘ, যেন স্বপ্নের এক দেশ।

শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে আমি এখন যৌবনে,
মেঘবালিকাও আর আগের মত নেই,
সবাই তাকে এখন বৃষ্টি বলেই জানে।
আমার হৃদয় যখন খরতাপে উতপ্ত,
ঠিক তখন বৃষ্টি তার শীতল পরশে আমায় ভিজিয়ে দিত।
সে কি বৃষ্টি! উন্মাতাল এলোমেলো বৃষ্টি!!!
আহা!! কি যে সুখ!!!

শ্রাবণের অঝোর বৃষ্টি এবার বর্ষা রূপে দেখা দিল!
বর্ষার অবিরাম বর্ষণে সব কিছু ভিজে একাকার.........
সময় সময় ভাবতাম, আহ!!! বর্ষা! এবার শান্ত হও।
কিন্তু বর্ষা শান্ত হয়নি, থামেনি সে.........

এখন তার নাম বন্যা!!!!
বানের জলে আমায় ভাসিয়ে নিয়ে এসেছে শুনশান এক নিঃসঙ্গ দ্বীপে।
যেখানে আমার সঙ্গী শরতের নীল আকাশ, আর সাগরের নীল রঙ।
নীলে নীলে আমিও নীল হয়ে তবু জীবিত।

মেঘবালিকা-বৃষ্টি-বর্ষা-বন্যা যে নামেই ডাকি, কেউ নেই এখন।
অতঃপর সে এখন নারী!!!!
তার স্বপ্নলোকে বসৎ করে ভীন রাজ্যের রাজপুত্র,
যে তার ইচ্ছা আকাঙ্খাগুলোকে সোনায় মূরিয়ে দেবে!

জানি আমি তোমার দু’চোখ আজ
আমাকে খোঁজেনা আর পৃথিবীর’ পরে-
বলে চুপে থামলাম, কেবলি অশত্থ
পাতা পড়ে আছে ঘাসের
ভিতরে শুকনো মিয়োনো ছেঁড়া;- অঘ্রান
এসেছে আজপৃথিবীর বনে;
সে সবের ঢের আগে আমাদের দুজনের মনে হেমন্ত
এসেছে তবু; বললে সে, ‘ঘাসের ওপরে সব
বিছানো পাতার
মুখে এই নিস্তব্ধতা কেমন যে-
সন্ধ্যারআবছা অন্ধকার
ছড়িয়ে পড়েছে জলে; কিছুক্ষণ অঘ্রাণের অস্পষ্ট
জগতে হাঁটলাম, চিল উড়ে চলে গেছে-কুয়াশার প্রান্তরের
পথে
দু-একটা সজারুর আসা-যাওয়া; উচ্ছল
কলারঝড়ে উড়ে চুপে সন্ধ্যার
বাতাসে লক্ষ্মীপেঁচা হিজলের ফাঁক দিয়ে বাবলার
আঁধার গলিতে নেমে আসে;
আমাদের জীবনের অনেক অতীত
ব্যাপ্তি আজো যেন
লেগে আছে বহতা পাখায়
ঐ সব পাখিদের ঐ সব দূর দূর ধানক্ষেতে,
ছাতকুড়োমাখা ক্লান্ত জামের শাখায়;
নীলচে ঘাসের ফুলে ফড়িঙের হৃদয়ের
মতো নীরবতা ছড়িয়ে রয়েছে এই
প্রান্তরে বুকে আজ…… হেঁটে চলি…..
আজ কোনো কথা
নেই আর আমাদের; মাঠের কিনারে ঢের
ঝরা ঝাউফল
পড়ে আছে; খড়কুটো উড়ে এসে লেগে আছে শড়ির
ভিতরে,
সজনে পাতার গুঁড়ি চুলে বেঁধে গিয়ে নড়ে-চড়ে;
পতঙ্গ পালক্ জল-চারি দিকে সূর্যের
উজ্জ্বলতা নাশ;
আলোয়ার মতো ওই
ধানগুলো নড়ে শূন্যে কী রকম অবাধ আকাশ
হয়ে যায়; সময়ও অপার-তাকে প্রেম আশা চেতনার কণা
ধরে আছে বলে সে-ও সনাতন;-কিন্তু এই ব্যর্থ
ধারণা
সরিয়ে মেয়েটি তাঁর আঁচলের
চোরাকাঁটা বেছে প্রান্তর নক্ষত্র নদী আকাশের
থেকে সরে গেছে যেই স্পষ্ট নির্লিপ্তিতে-তাই-ই
ঠিক;- ওখানে সিগ্ধ হয়
সব।
অপ্রেমে বা প্রেমে নয়- নিখিলের বৃক্ষ নিজ
বিকাশে নীরব।



ছোট্ট একটা ঘর আমার
ছোট্ট একটা মন।
সেই ঘরেতে বাস করে
আমার প্রিয় জন..
ছোট্ট দুটি আখি তার
ছোট ছোট পা
তাই দেখে উরে গেল
আমার পরান টা…
– অবসর সময়ে দু
একটা কবিতা লেখে পথ..চাকরি করার পর
সময় মেলেই না..একটা প্রাইভেট
কম্পানীতে ছোট খাট একটা জব করে..সকাল
৭.৩০ সময় বাসা থেকে বের হয় পথ..বাস
স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকে বাসের জন্য..এই
সময়টা অনেক ব্যস্ত থাকে নগরী..সবাই যার
যার কাজের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য
ব্যস্ত..অনেক কষ্ট করে বাসে উঠতে হয়..তাও
আবার দাড়িয়ে থাকতে হয় অনেক সময়.
– প্রায় প্রতিদিন এমনই
হয়..স্ট্যান্ডে অনেকেই
দাড়িয়ে থাকে..কিন্তু পথের নজর
কারে একটা মেয়ে..প্রতিদিন বাসের জন্য
অপেক্ষা করে..মনে হয় স্টুডেন্ট
হবে..হাতে বই থাকে সব সময়..
– পথ প্রতিদিন লক্ষ
করে মেয়েটাকে..কিন্ত ু সময়ের
অভাবে কথা বলা হয় না..
– মেয়েটা লক্ষ করে কিনা কে জানে.?
– প্রতিদিনের মত অফিস থেকে ফিরে রেস্ট
নিচ্ছে পথ..আর মনে মনে ভাবছে মেয়েটার
কথা..
– রেহানা বেগম পথের রুমে আসলেন..পথের
মা ইনি..বাবা পথ অনেক ত বয়স হল এবার
একটা বউ নিয়ে আয় ঘরে..দেখ আমার
অবস্থাও ভাল না..কত দিন আর
বাঁচব..যাওয়ার আগে তোর সুখের
সংসারটা দেখে যেতে চাই..
– মা তুমি এভাবে বলছ
কেন..তুমি যদি এভাবে বল
তাহলে আমি কি সইতে পারি.?
– তাহলে এবার বিয়ের জন্য মত
দে..আমি একটা মেয়ে দেখেছি তোর জন্য..তুই
হ্যাঁ বললেই পাকা কথা বলব..
– মা আমাকে আর ১০ দিন সময়
দেও..আমি একটু ভেবে দেখি..
– আচ্ছা ভেবে দেখ..তবে ১০ দিনের
বেশি সময় দিতে পারব না..
– তাতেই হবে..
– ফ্রেস হয়ে টেবিলে আয়..আমি খাবার
দিচ্ছি..
– রাতের খাবার খেয়ে পথ বিছানায়
শুয়ে ভাবছে মেয়েটার কথা..কাল ত শুক্রু
বার,ছুটির দিন.মেয়েটার
সাথে দেখা হবে না..মনটা খারাপ
হয়ে গেল পথের..
– পরের দিন সকাল ১০টায় ঘুম ভাঙল
পথের..বিছানা থেকে উঠে নাস্তা করল..তারপর
বসল টিভি দেখতে..সপ্তাহে দুই দিন একটু
টিভি দেখার সময় হয়..
– পথ জুম্মার নামাজ পরে বাসায়
এসে খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট
নিচ্ছে..চিন্তা করছে বিকেলের
সময়টা কি করবে..?হটাত মনে পরল অনেক
দিন পার্কে গিয়ে সূর্য ডোবা দেখা হয় না..
– পথ পার্কে বসে আছে এক
কর্নারে..আশে পাশে অনেক মানুষ
ঘুরতে এসেছে..সবাই অনেক হাসি খুশি..পথ
দেখল একটা মেয়ে তার
দিকে আসছে..অনেকটা পরিচিত
লাগছে..খানিকটা কাছে আসতেই পথ
চিনে ফেলল মেয়েটাকে..এ যে সেই বাস
স্ট্যান্ডের মেয়েটা..
– পথ অনেক খুশি..যাক আজকেও
দেখা হয়ে গেল..আজ
কি বলে দেবে মেয়েটাকে যে,তাকে অনেক
পছন্দ আমার..
– মেয়েটা পথের
সামনে এসে দাড়াল..আচ্ছা আপনি কি আমাকে ফলো করছেন.?
– পথ কেমন জানি ফিল করছে..বুকের ভিতর
ধুক ধুক করছে..
– কি হল উত্তর দিচ্ছেন না যে..
– কই না ত..আমি ত আপনার ফেবু
আইডি জানি না আর ফলো কিভাবে করব..
– আমি ফেবুর কথা বলছি না..আমি যেখানেই
যাই সেখানেই আপনি থাকেন..ব্যাপার কি..?
– পথ
কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না..তা দাড়িয়েই
কথা বলবেন না কি বসবেন..?
বসে কথা বলতে সমস্যা নাই ত আপনার..?
– মেয়েটা বসল..তারপর জিজ্ঞেস করল
আপনি কি করেন.?
– পথ উত্তর না দিয়ে বলল,আপনার
নামটা কি জানতে পারি..?
– নাম দিয়ে কি করবেন.?আগে আমার
প্রশ্নের জবাব দিন..

আসলে আমি আপনাকে ফলো করি না..কাকতালিয়
ভাবে আমাদের দেখা হয়ে যায়..হয়ত উপর
থেকেই সব করা হচ্ছে..আর
আমি একটা প্রাইভেট কম্পানিতে জব
করি..আর আমার নাম পথ.
– হুম..সবই বুঝলাম..তবে আপনার নামটা যেন
কেমন অদ্ভুত..পথ,শুনল েই কেমন
যানি একটা ফিল হয়..যাই হোক না বলতেই
সব বলে দিয়েছেন..আমার নাম
পরী..পরাশুনা করি ৩য় বর্ষ এবার..
– দু জনের
কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে..সূর্য
অস্ত যাচ্ছে..পথ সূর্য অস্ত
যাওয়া দেখছে..সূর্যের লাল রঙ পরীর
মুখে এসে পরেছে..দেখতে এখন পরীর মতই
লাগছে..
– আচ্ছা আজ
তাহলে উঠি..সন্ধ্যা হয়ে এসেছে..
– আচ্ছা নাম্বারটা কি পেতে পারি..?
– পরী মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল
০১৯২৭ বাকি ডিজিট গুলো অন্য এক দিন
দেব..যে দিন আবার কাকতালিয়
ভাবে দেখা হবে আমাদের..
– পথ একটু অবাক
হয়ে চেয়ে রইল…পরী চলে গেল..
– ৭ দিন হয়ে গেল,পরীকে আর
দেখা যাচ্ছে না বাস স্ট্যান্ডে..পথ
পাগলের মত
হয়ে খুজে যাচ্ছে এখানে সেখানে..সারা শহরের
সব কয়টা রেস্টুরেন্ট,পার
্ক,শপিং মল..কোথাও
দেখা মেলে না পরীর..অফিসের কাজেও মন
বসে না..অফিস থেকে ৩ দিনের ছুটি নেয়
পথ..
– – বাসায়
ফিরে ভাবছে কি করবে এবার..কোথায় পাব
পরীকে..পরীর দেওয়া অর্ধেক নাম্বারটার
কথা মনে পরল…বাকি ডিজিটগুলা বসিয়ে অনেক
ট্রাই করল কিন্তু কোন নাম্বারই পরীর না..
– আজ ৮ম দিন…মার জানি কি হয়েছে..অনেক
অসুস্থ হয়ে পরেছে..হাসপাতাল
ে ভর্তি করেছে পথ..চিন্তায় কুল
কিনারা পাচ্ছে না..
– পথের একটা বন্ধু আছে..খুব কাছের বন্ধু..এই
শহরেই থাকে..একটা প্রাইভেট
কম্পানিতে জব করে..ছোট বেলা থেকেই এক
সাথে বড় হয়েছে দুই জন..পার্থ নাম..
– পথ ফোন করে সব কিছু জানায় পার্থকে..
– পার্থ সব শুনে চলে আসে হাসপাতালে..দুই
জনে মিলে অনেক
চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় মা সুস্থ
হলেই মাকে বিয়ের জন্য
হ্যাঁ বলে দেবে পথ..কিন্তু পথ
একা বিয়ে করবে না সাথে পার্থও..দুই বন্ধু
একসাথে বিয়ে করবে..
– পথ ডাক্তারের কাছে গেল..কত দিন
লাগবে সুস্থ হতে..?
– ডাক্তার বললেন প্রায় ১০-১৫ দিন ত
লাগবেই..তবে কাল বাসায়
নিয়ে যেতে পারবেন এবং পূর্ন
রেস্টে রাখবেন..
– পথ সস্থির নিশ্বাস ফেলল.
– মাকে বাসায় নিয়ে গেল পথ..
– পথ আর পার্থ
বসে আছে পার্কে..কি করবে এখন..পরীর কোন
দেখা নাই..মনের কথা ত বলতে পারলই
না অন্য
দিকে মাকে কথা দিতে হবে..চিন্তা করছে পথ..
– অন্য দিকে পার্থ চিন্তায় আছে তার
বিয়ের প্রস্তাব কি মেনে নেবে নিলুর
পরিবার..?
– নিলু হল পার্থের অর্ধাংশ..৫ বছরের
প্রেম তাদের..অনেক মধুর সম্পর্ক দু
জনের..নিলুর পরাশুনা শেষ হতে এখনো ২
বছর বাকি..সেই কলেজ লাইফ থেকে পরিচয়
দু জনের..প্রথম দিনেই ঝগরা..তারপর
আস্তে আস্তে প্রেম.
– নিলুর আজ আসার কথা পার্কে..সমস্যার
একটা সমাধান করার জন্য..
– পার্থ বসে বসে ঘাস চাবাচ্ছে আর
ভাবছে আর পথ আকাশ দেখছে..হটাত
সামনে এসে দাড়াল নিলু..
– এই ছাগল ঘাস চাবাচ্ছ কেন.?
– তুমি এসেছ এতক্ষনে..ঘাস চাবাব না ত
কি করব..আমি ত তাও কিছু করছি আর ঐ দেখ
আরেক জন চিন্তায় আকাশের
সীমানা মাপছে..
– নিলু পথকে সালাম দিয়ে বলল ভাল আছেন
ভাইয়া.?
– নাহ..ভাল আর কি করে থাকি..চিন্তায়
জীবন শেষ..
– নিলু দুই জনের সব কথা শুনল..তারপর
পার্থকে বলল আজই বাসায় প্রস্তাব
পাঠাতে..বাকি কাজ নিলু সামলে নিবে..আর
পথকে বলল ভাইয়া কি আর করবেন
যাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে ভুলে যান..মায়ের
পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন..
– হুম নিলু..আমিও তাই ভাবছি..পরী বসন্ত
বাতাসের মত এসে কাল বৈশাখি ঝরের মত
চলে গেল..যাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে যাবে না তাকে মনে রেখে লাভ
কি..আজই মাকে হ্যাঁ বলে দেব..আর পার্থ তুই
আজই কিন্তু প্রস্তাব পাঠাবি.
– পথ বাসায় এসে বসে বসে ভাবছে..তারপর
এক পর্যায়ে মার কাছে যায়.
– কি রে বাবু কিছু বলবি..?
– হ্যাঁ..মা আমি তোমার পছন্দের
মেয়েকে বিয়েতে রাজি..
– যাক
অবশেষে সুবুদ্ধি হল..তা মেয়ে দেখবি না.?
– নাহ..তুমি দেখেছ তাতেই
হবে..তুমি মেয়ে পক্ষের
সাথে কথা বল..বিয়ের দিন ঠিক
করে জানাও..পার্থকে জানাতে হবে..
– পথ মায়ের রুম
থেকে বেরিয়ে সোজা পার্থের বাসায়
চলে এল..
– কিরে পথ বলে দিলি তাহলে..আমিও
প্রস্তাব
পাঠিয়েছি..ওরা রাজি হয়েছে..নিলু সব
মেনেজ করে নিয়েছে..এখন তোর বিয়ের দিন
ঠিক হলেই হল..
– পার্থ আমার না পরীর জন্য কেমন
করছে মনটা..মনে হচ্ছে কি যেন
হারিয়ে ফেলছি..
– আরে মন খারাপ করিস না পথ.যা হবার
ছিল তাই হচ্ছে..চল শপিং এ যাই মন ভাল
হয়ে যাবে..
– চল তাই করি..মনটা ভাল
করা দরকার..তা ছারা বিয়ে ত ঠিক হয়েই
গেছে..মাকে একটা ফোন করে চল
বেরিয়ে পরি..
– দুই বন্ধু মিলে গেল শপিং করতে..খুব আনন্দ
করছে দুই জন..অনেক শপিং করল
বিয়ের..হটাৎ পিছন থেকে পরীর গলার
আওয়াজ.
– আরে পথ ভাই না..কেমন আছেন..?ওয়াও এত্ত
শপিং করছেন..ব্যাপার কি..?
– ভাল আছি না মন্দ
আছি তা জেনে তুমি কি করবে..কত
খুজেছি তোমাকে..কোথায়
হারিয়ে গিয়েছিলে..?অবশ্ য এখন এ সব
বলে আর কি লাভ..
– কেন.?লাভ নেই কেন.?আর আমি অসুস্থ
ছিলাম অনেক..
– ও..থাক ভালই আছ মনে হয়..ক দিন
পরে আমার বিয়ে..তাই আর পুরান
কথা তুললাম না..ভাল থেক..
– ওয়াও..congratul ation
অগ্রিম..আমাকে ইনভাইট করবেন না..?
– কি করে করব..তোমার ত শুধু অর্ধেক
নাম্বার জানি আর বাসার ঠিকানাও
জানি না..
– তাও ঠিক..তাহলে আপনার নাম্বার দিন
আমি বিয়ের দিন চলে আসব ফোন করে..আর
বাকি ৩টা ডিজিত নিন
৬৩৪..বাকি তিনটা বিয়ের দিন
গিফটে লিখে দেব..
– পথ অবাক..মেয়ে বলে কি..যাই হোক মনের
মানুষ ত..পথ নিজের নাম্বারটা দিয়ে দিল..
———–
– আজ পার্থ আর পথের বিয়ে..দুই বন্ধু এক
সাথে বরের সাজে সেজেছে..পার্থ অনেক
খুশি কিন্তু পথের মনটা আজও খারাপ..কেন
যে সে দিন পরীর সাথে দেখা হয়েছিল..
– সবাই এসে গেছে বিয়েও শেষ..পথের
বিয়ে হল মেঘ নামের এক
অজানা অদেখা মেয়ের সাথে..আর পার্থর হল
নিলুর সাথে..
– সবাই চলে যাচ্ছে..অনুষ্ঠা ন শেষ..পথ
এখনো অপেক্ষা করছে পরীর জন্য..শেষ
দেখাটা অন্তত দেখার জন্য..কিন্তু
পরী যে আসে না..
– বাসর রাত আজ পথের..অদেখা আর
অচেনা এক মেয়ের
সাথে যাকে সে এখনো দেখেনি..
– রুমে ঢুকতেই মেঘ একটা গিফট এগিয়ে দিল
পথকে..বড় ঘোমটা থাকার
কারনে চেহারাটা দেখতে পেল না পথ..
– গিফটা নিয়ে খুলতেই..
– সেখানে লেখা বাকি তিনটা ডিজিট
দিলাম মন চাইলে কল কর নইলে বিছানায়
আস..
– পথ অবাক হয়ে চেয়ে আছে লেখাটার
দিকে..তাহলে এই কি আমার পরী..?
– দেরি না করে ঘোমটা তুলতেই সেই চির
চেনা মুখটা দেখতে পেল পথ..এই ত আমার
পরী..
– কি অবাক হলেন.?খুজে পেলেন আপনার
পরীকে..
– তুমি কেন..?আমার ত মেঘের
সাথে বিয়ে হয়েছে..মেঘ কোথায়..?
– আমিই মেঘ..মেঘ জান্নাত পরী..এখন বলেন
পরীকে ভালবাসেন না মেঘকে.?কার
সাথে সংসার করবেন..?
– উত্তরে একটাই নাম
আসে পরী..আমি তোমাকে ভালবাসি পরী..অনেক
ভালবাসি..
– আর কিছু দিন পর বললে হয়ত আমাদের
বাচ্চারাও শুনতে পারত..তা কেমন লাগল
সারপ্রাইজ..সবই ছিল প্লান করা..আমার
শাশুরি আম্মা আর আমি দুজনে মিলেই এই
প্লান করেছি…
– ওও…আর আমি কষ্টে মরে যাচ্ছিলাম তার
দিকে খেয়াল নাই..
– খেয়াল আছে বলেই ত রোজ খোজ নিতাম
আপনার..
– তা আপনি করেই বলবে না তুমি করে..
– আমার না লজ্জা লাগছে এখন..
– ওরে আমার লজ্জাবতিরে..
এভাবেই খুনসুটি আর গল্পে কেটে যাচ্ছিল
দুই ভালবাসার পাখির দিনগুলো…
…..ছোট সে ঘরে জায়গা দিলাম
……মনের দুয়ার খুলে,
……বাসবে কি ভাল এমন করে
……সারা জীবন ধরে
=একবার যখন ধরেছি হাত
=ছারব না কভু
=তুমিও আমায় তেমনই বেস
=যেমনটা বেসেছিল এই হৃদয়..

কনকনে শীত । ঘন কুয়াশায় ঘেরা চারপাশ ,
একটু দুরেই বাঁধা পড়ে দৃষ্টি । তারপর আবার
কুয়াশা । গাঢ় , সাদা কুয়াশা ।

.
হ র র র . . হট . . হট . .
দশটি রুগ্ন পা একসাথে একই ছন্দে চলছে ।
সেই সাথে চলছে রূপালী লাঙল ,
চলছে জীবনের লাঙল . . . .
গরু দুটোর স্বাস্থ্যের অবস্থা খুব খারাপ ,
যতটা ওদের মালিকের । কেমন ঠকঠক
করে কাঁপছে ওরা , যেমনটা কাঁপছে ওদের
মালিকও । ওদের গায়ে যেমন কোন কাপড়
নেই , তেমনি ওদের মালিকের শরীরও প্রায়
পুরোটাই খালি ।
পরনে একটা ছেড়া গামছা চাড়া আর কিছুই
নেই ।
.
কলিম শেখের সম্বল বলতে এই দুটো গাই গরু ,
আর এক টুকরো আবাদি জমি । মাঝেমাঝে গরু
দুটোর জন্য তার খুব মন খারাপ হয় । গরু
দুটোর জীর্নশীর্ন শরীর দেখলে খুব
মায়া লাগে । কলিম শেখের ধারনা তার
শরীর দেখে গরু দুটোরও হয়ত মন খারাপ হয় ,
মায়া হয় । মুখে হয়ত ওরা কিছুই
বলতে পারে না , কিন্তু মাঝেমাঝে কেমন
যেন মলিন দৃষ্টিতে তার
দিকে তাকিয়ে থাকে ওরা !
.
কিরে ! গায়ে জোর নাই ! খাড়াইলি কেন ?
চল চল , টান লাগা . .
হ র র র . . হট . . হট . .
কলিম শেখ গরু দুটোর সাথে অনবরত
কথা বলে যাচ্ছে , আর গরু দুটো হাল
টেনে চলেছে বিরামহীন । লাঙলের পলায়
জমির বুক চিড়ে খন্ড বিখন্ড হয়ে যাচ্ছে ।
কলিম শেখ বড় বড় চোখ
করে তাকিয়ে আছে খন্ডিত মাটির
টুকরোগুলোর দিকে । এ যেন মাটি নয় , এক
এক টুকরো স্বপ্ন ।
ধোঁয়াতোলা ধবধবে সাদা ভাতের
স্বপ্ন . . . .
.
কলিম শেখের দুই ছেলে , দুই মেয়ে ।
ছেলে দুটো বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে ।
আর মেয়ে দুটোরও বিয়ে হয়ে গেছে সেই
কবে ।
.
অনেক , অনেকদিন আগে বাবা রজব শেখ
কলিমের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এই লাঙল-
জোয়াল । তখন কলিমের বয়স বার কি তের
হবে । দীর্ঘ এতগুলো বছর কলিম শেখ সেই
লাঙ্গল-জোয়ালের ভার বহন করে চলেছেন ।
জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় এসেও এতটুকু
বিশ্রাম নেই , এতটুকু ক্লান্তি নেই ।
ক্লান্তি হয়ত আছে , কিন্তু
সেটা মেনে নিতে তিনি একেবারেই নারাজ
। তাইতো আজও শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন
জীবনলাঙলের হাতল . . . .
.
ছেলে-মেয়েরা চেড়ে গেলে কি হবে , একজন
কিন্তু এখনো চেড়ে যায় নি কলিম শেখকে ।
যাকে তিনি পষ্ণাশ বছর আগে পেয়েছিলেন
কোন এক ঝড়ের রাতে । সেই রাতের
কথা কলিম শেখের স্মৃতিতে আজও উজ্জল ,
যেন এই সেদিনের কথা . . . .
.
কলিম শেখের বয়স তখন ষোল কি সতের ।
কি যেন এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেন রজব
শেখ । বাঁচার কোন আশা নেই আর । একদিন
রাতে তিনি সবাইকে ডেকে বললেন , আজ
রাতেই তার সময় শেষ । মৃত্যুর
আগে তিনি ছেলের বউয়ের মুখ দেখতে চান ।
তাই তাড়াহুড়ো করে সেই রাতেই কলিম
শেখের বিয়ে দেয়া হয় পাশের গ্রামের
“নছিমন বেওয়া ” এর সাথে । নছিমনের
গায়ের রং কিছুটা কালো ছিল । তাই বাসর
রাতে নছিমনকে দেখে কলিম শেখের মুখটাও
কিছুটা কালো হয়ে গেল ।
ততক্ষনে বাহিরের আকাশটাও
কালো হয়ে গিয়েছিল হয়ত । শুরু হল প্রচন্ড
ঝড় । ভোর রাতের দিকে ঝড় থেমে গেল ,
সেই সাথে থেমে গেল রজব শেখের জীবন
প্রদীপও । কি অদ্ভুত ব্যাপার !
লোকটা আগেই টের পেয়ে গিয়েছিল তার
মৃত্যুর কথা !
.
হ র র র . . হট . . হট . .
কলিমের চোখে পানি । অস্ফুট
স্বরে তিনি বলে উঠলেন , কেমন আছেন
আব্বা . .
তারপর উত্তর দিকের ঐ ঝোপঝাড় ঘেরা পুকুর
পাড়টার দিকে তাকালেন । সেখানেই
ঘুমিয়ে আছেন রজব শেখ গত পষ্ণাশ বছর
ধরে . . . .
.
দীর্ঘ এই জীবনে কলিম শেখ অনেক কিছুই
হারিয়েছেন , অনেকেই
তাকে চেড়ে চলে গেছে । কিন্তু সেই
কালো মেয়েটি আজো রয়ে গেছে তার পাশে ।
কলিম শেখ এবার হাল চেড়ে বসে পড়লেন ।
কুয়াশা তাকে চারপাশ
থেকে ঘিরে ধরেছে যেন । কলিম শেখ
জানেন নছিমন আর বেশী দিন
থাকবে না তার সাথে , যে কোন সময়
চলে যেতে পারে ওপারের ঠিকানায় । গত
পষ্ণাশ বছর ধরে এই কালো মেয়েটাই তার
জীবনকে আলোকিত করে রেখেছিল , সেই
আলো আজ নিভু নিভু ।
.
কলিম শেখ ভেবেই পায় না ,
কিভাবে নছিমন বিহীন
দিনগুলো কাটবে তার । প্রতিদিন
সকালে কে ঘুম ভাঙিয়ে দেবে ? কে পানের
খিলি বানিয়ে দেবে ? কাজ থেকে ফেরার
পর কে শাড়ির আঁচলে ঘাম মুছে দেবে ?
কে তালপাতার পাখায় ক্লান্তিহীন বাতাস
করে যাবে ? জোছনা রাতে কে চাঁদের বুড়ির
গল্প শুনাবে ? ঘুম না আসলে কে মাথায়
বিনি কেটে দেবে ? ঝড়ের রাতে যখন
বাবার কথা মনে পড়বে , তখন
কে তাকে সান্তনা দেবে ?
.
নছিমনকে চাড়া একটি মুহুর্তও
কল্পনা করতে পারেন না কলিম শেখ । সেই
নছিমন আজ ধীরে ধীরে মৃত্যুর
দিকে এগিয়ে চলেছে , অথচ তার কিছুই
করার নেই . . . .
.
কলিম শেখ
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন . .
গাই দুটো ঘাড় বাকা করে তাকিয়ে আছে তার
দিকে । কি অদ্ভুত ব্যাপার ! গাই দুটোর
চোখগুলোও কেমন ভেজা . . ! !
.
ঐতো সূর্য উঠে গেছে । কুয়াশা কাটতে শুরু
করেছে । নরম রোদে চারপাশটা উজ্জল
হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে । কলিম শেখও
উঠে দাড়ালেন সত্তর ছুঁইছুঁই জরাজীর্ন এক
শরীর নিয়ে । মাটির টুকরোয়
জমে থাকা ফোঁটায় ফোঁটায় শিশির
বিন্দুগুলো শুকাতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে ।
শুকাতে শুরু
করেছে কোঠরে লুকিয়ে থাকা কলিম শেখের
অশ্রুসিক্ত ছোট্ট ছোট্ট চোখ দুটোও ।
.
হ র র র . . হট . . হট . .
স্বপ্ন কখনো মরে না ,
কখনো থেমে থাকে না ।
গরু দুটোর কাঁধে ভর
দিয়ে এগিয়ে চলেছে জোয়াল , লাঙল । সেই
সাথে এগিয়ে চলেছে কলিম শেখের স্বপ্ন ।
নছিমনকে নিয়ে আরও অনেক দিন
বেঁচে থাকার স্বপ্ন . . . .

আমাদের সবার জীবনের চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি আসতে পারে। কেউ কেউ সেইসব বিপত্তি উতরে যান আবার কেউবা যেতে পারেন না।
একই বাণী হয়তো অনেকে অনেক ভাবে বলেন। এইবার আসুন জেনে নেই কিছু কিছু বাণী যা আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে চলার পথের পাথেয় হিসেবে।

১, সময়কে প্রাধান্য দাও। আর এ জন্য সময়ের কাজ সময়ের মধ্যেই করে নাও।
২, যতই পড়বে ততই জানবে
৩, উচ্চশিক্ষিত হয়েও শিক্ষিত মানুষ হওয়া কঠিন।
৪, তোমার নিজের ভিতরের ক্রোধ সংযত রাখাই শ্রেয়। আর সেটা প্রকৃত মানুষের বহিঃপ্রাকাশ।
৫, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও সেখান থেকে উত্তরণের পথ খুজে বের করাটাই কৃ্তিত্ব।
৬, একদিকে বাবা মায়ের খেদমত এবং অন্যদিকে বন্ধুদের সময় দেয়া; এই মধ্যে যদি প্রথমটাকে বেছে নেয়া হয় তাহলে এর থেকে সবচেয়ে বড় সওয়াব আর কিছু হতে পারে না।
৭, জীবনের কোন ক্ষেত্রেই ধৈর্য্যচ্যুতি হওয়া ভাল না।
৮, আপনি জীবনে কোন মানুষের কোনরকম ক্ষতি না করলে আপনাকেও কেউ ক্ষতি করবে না।
৯, বাবা মা তুলে কাউকে গালি দেয়া মানে সেই গালি আপনার কাছে এসেই আঘাত করা।
১০, নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করুন। এটাই হল নিজেকে প্রমাণ করার সবচেয়ে ভাল গুণ।
১১, জীবনের খুব কঠিন সময়ে নিজের উপর আস্থা হারাবেন না। বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর।
১২, আপনার জীবনটা শুধু কালো অন্ধকার পথ দিয়েই ঘেরা। সেখানে আছে শুধু হতাশা, ক্লান্তি, মুক্তি পাওয়ার অবিরাম ইচ্ছে, জীবন সংগ্রান, কষ্ট, বেদনা। এতকিছুর পরও যে এই সময়টাতে ভালমত উতরে যেতে পারে সেই বিজয়ী। সেই কালো অন্ধকার ভেদ করে একটা সময় ঠিকই সে আলোর দেখা পায়। হোক সেটা ক্ষীণ, কিন্তু তার মাহাত্য অপরিসীম।
১৩, অনেকসময় আপনার একটু সুন্দর হাসি বদলে দিতে পারে চারপাশের পরিবেশ।
১৪, জীবনে কোন ভুল করলে সেই ভুলের জন্য কাউকে ক্ষমা করতে পিছপা হবেন না।
১৫, দাম্ভিকতা নিয়ে চলার মাঝে কোন কৃ্তিত্ব নেই।
১৬, টাকা পয়সাই জীবনের সবকিছু নয়। শান্তি, সুখ, শ্রদ্ধা, ভালবাসা এগুলোর থেকে বড় আর কিছু নেই।
১৭, আপনি কাউকে ভালবাসলে সেও যে আপনাকে ভালবাসবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
১৮, নিজের স্বামীকে / স্ত্রীকে সবটুকু দিয়ে ভালবাসুন। কখনো তার প্রতি সন্দেহ পোষন করবেন না। বিশ্বাস থাকাটা জরুরি।
১৯, কখনো নিজের স্ত্রীর অধিকার এবং একইসাথে আপনার মা এর অধিকার; এই দুটোকে একসাথে দেখতে যাবেন না। দুটোই আলাদা।
২০, আত্যহত্যা কারো জীবনে কোন ফলাফল নয়।

এ কয়েকটাই মনে পরেছে। কেমন হল? জানাবেন অবশ্যই।


ফ্রিল্যান্সিং কি?
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘ফ্রিল্যান্সিং’। ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা অর্থ হচ্ছে মুক্তভাবে কাজ করা। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, ফ্রিল্যান্সিং কি অনলাইনে করতে হয়? আরে ভাই, না। শুনুন তাহলে। মনে করুন, আপনি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। আপনি নতুন নির্মিত বিভিন্ন কোম্পানীর বিল্ডিংয়ের ওয়ারিং করেন চুক্তিতে বা মানুষের বাসায় গিয়েও ইলেক্ট্রিক কাজ করে থাকেন। এমনিভাবে, কোন ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার স্বাধীনভাবে যেকোন জায়গায় কাজ করার প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আর যারা এভাবে কাজ করেনা তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার
আউটসোর্সিং কি?
আউটসোর্সিং এর বাংলা অর্থ হচ্ছে অন্য উপায়ে কাজ করানো। নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যকার পার্থক্যটা ধরতে অসুবিধায় পড়ে যান। যেমন, কোন কন্ট্রাকটার কাজের কন্ট্রাক নিয়ে মিস্ত্রি বা শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে দেন। তেমনি মার্কেটপ্লেসে যারা আছেন সবাই তো কাজ পারেন না। অতএব তারা আউটসোর্সিং করেন। মানে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন।

অনলাইনে ইনকাম করা যায়?বর্তমানে যুগ, তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমরা আগে যে কাজ ছোট্ট একটি গ্রামে সম্পাদন করতে পারতাম। আজ তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করতে পারছি। যেমন কোন টি-শার্ট বিক্রেতা শুধু তার দোকানেই নয় অনলাইনেও এখন টি-শার্ট বিক্রি করতে পারছে। ইন্টারনেট বিশ্বটাকে বিশ্বগ্রামে পরিণত করেছে। আর দ্বার খুলেছে মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিশাল বাজারের।
বাস্তব জগতে আমরা কিছু করতে না পারলেও ভার্চুয়াল জগতে পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবি। সবার মাথায় একটাই টেনশন, কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়!
আরে ভাই থামেন! অনলাইনে ইনকাম করা যায় ব্যাপারটা এমন না। বরং অনলাইনে যেকোন একটা কাজ করে ইনকাম করতে হয়। যেমন আপনি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে ব্লগ খুলে লেখালেখি শুরু করুন। জনপ্রিয় হয়ে গেলে বিজ্ঞাপন বসিয়ে ইনকাম করুন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন পারেন, হুম আসুন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি বিদেশী কোম্পানী বা ব্যক্তির সাথে কাজ করতে পারবেন।
অনলাইনে কি সব কাজ করা যায়?কখনই না। আপনি ভালো রান্না করতে পারেন, তার মানে এ নয় যে, অনলাইনে রান্না করবেন। আবার আপনি ভালো একজন টেইলর। আপনি অনেক সুন্দর করে কাপড় সেলাই করতে পারেন। তার মানে এই নয় আপনি অনলাইনে সেলাই করবেন।
তবে হ্যা, ভালো খাবার রান্না করে অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রি করতে পারবেন। আর ভালো ভালো জামা কাপড় বানিয়েও এটা করতে পারবেন। এখানেই ইন্টারনেটের স্বার্থকতা।

তাহলে অনলাইনভিত্তিক কাজ কি কি?
ভার্চুয়াল যা কিছু আছে এসবের কাজ অনলাইনে করা যায়। অনলাইন ভিত্তিক কিছু কাজ এখানে ‍উল্লেখ করা হলো-
* Web, Mobile & Software Dev   * Design & Creative * Admin Support * IT & Networking * Writing   * Sales & Marketing  * Customer Service * Data Science & Analytics  * Translation  * Engineering & Architecture * Legal   * Accounting & Consulting
ভয় পেয়ে গেলেন? এগুলো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক থেকে নেয়া। আমাদের দেশে জনপ্রিয় কয়েকটি কাজ আছে। যেগুলো শিখে অনেকেই সফলত হতে পেরেছেন। চাইলে আপনিও আপনার পছন্দ মতো এর যেকোন একটা শিখে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
১. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
৪. এন্ড্রয়েড, আইওএস এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
৫. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্রোগ্রামিং
৬. ইউটিউব মার্কেটিং
৭. সিপিএ বা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৮. ভিডিও এডিটিং
৯. ফরেক্স (জনপ্রিয় কিন্তু ৯০% লোক ব্যর্থ হয়)
এগুলো ছাড়াও প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, পেইন্টিং, স্কাল্পটিং, বিজ্ঞাপন, জনসংযোগ, ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্যাড, আর্কিটেকচার, নেটওয়ার্কিং, হার্ডওয়ার ডেভেলপ, লিগ্যাল সার্ভিস, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ, লেখা, সম্পাদনা, অনুবাদ, টেলিমার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, ভিডিওগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং, ব্রডকাস্টিং, মিউজিক তৈরির মতো কাজও আপনি পেতে পারেন।
এখন থেকেই ভাবা শুরু করে দিন আপনি কোন কাজ শিখবেন, কেন শিখবেন। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আরো কিছু নিয়ে আসবো। ধন্যবাদ সাথেই থাকবেন।


এমবিএ শেষ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেয়েও যোগদান না করে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া সেই রবিউল আলম বিপ্লব এখন দেশের একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এরই মধ্যে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি এ্যাফিলেট মার্কেটিং ও গুগল অ্যাডসেন্সে কাজ শুরু করেন ২০০৯ সালে। ১১ মাসে মাত্র ১০০ ডলার আয়ের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন তার ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার। এখন নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ তার।
রবিউল আলম বিপ্লব কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৮ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিবিএস (সম্মান) ও ২০০৯ সালে এমবিএস (স্নাতকোত্তর) করেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১০ সালে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে (এইচআরএম) এমবিএ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করে­­­ আসছেন।
এমবিএ শেষে প্রতিষ্ঠিত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি যোগদান করেননি। তার ইচ্ছা ছিল সাংবাদিকতার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়া। তিনি রংপুরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক গণআলো ও পরে দৈনিক মায়াবাজারে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগে আউটসোর্সিং বিষয়ে তার একাধিক টিউটোরিয়াল প্রকাশ হতে থাকে। মায়াবাজার পত্রিকাতেও তিনি আউটসোর্সিং নামে একটি বিভাগ চালু করেন।
এ সময় দৈনিক মায়াবাজারের তত্কালীন নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রউফ সরকার আউটসোর্সিংয়ে তার অভিজ্ঞতা দেখে তাকে আইটি ফার্ম করার পরামর্শ ও উত্সাহ দেন। সেই শুরু। রংপুরে ‘বিপিইউএস আইটি সেন্টার’ নামে একটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এতে শুরুতেই ৩০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এর কিছুদিন পরেই গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে রংপুরের পীরগাছার প্রত্যন্ত পল্লীতে পৃথক দুটি ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে একটি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামাঞ্চলে আউটসোর্সিংয়ে প্রধান বাধা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। এজন্য তিনি ১২০ ফুট উচ্চতার নিজস্ব টাওয়ার দিয়ে রেডিও লিংকের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছেন।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে ২টি কোচ (বাস) ক্রয় করে তিনি বিপ্লব ট্রাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছেন। পাশাপাশি সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত বিপ্লব পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজ করছেন। একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
রবিউল আলম বিপ্লব তার উদ্যোগ ও ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে বলেন, ‘শুরু থেকেই সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। আউটসোর্সিংয়ে সফল হতে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ১০০ ডলার আয় করতে ১১ মাস সময় লেগেছিল। যে কাজ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে শুরু করেছিলাম, তা এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এখন আমি নিজেই একজন উদ্যোক্তা।’

আপনাকে এখন আর হন্যে হয়ে ভর্তির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ওয়েবে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না ।
ভার্সিটি এডমিশন তথ্য সম্পর্কিত পরিপূর্ণ একটি অ্যাপ , ভার্সিটি এডমিশন প্রত্যাশীদের জন্য ।
এখানে এডমিশন প্রত্যাশীরা সকল পাবলিক , প্রাইভেট , বুয়েট , মেডিক্যাল সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবে । এই অ্যাপ এর মাধ্যমে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার তারিখ , পদ্ধতি , আবেদন প্রসেস ,রেজাল্ট সহ সকল তথ্য পাবলিশ হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন । এবং এই সকল তথ্য আপনার ফোনে নটিফিকেশনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে ।

আপনাকে এখন আর হন্যে হয়ে ভর্তির জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত ওয়েবে ঘুরে সময় নষ্ট করতে হবে না ।
কিছু প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘুরপাক করছে …… !
১ – এই আপ টি কাদের জন্য ?
উত্তর – যে কোন ভার্সিটি ভর্তি প্রত্যাশী সকল ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক সকলের জন্য ।
২ – তারিখ বা রেজাল্ট পাবলিশ হলে নোটিফিকেশন আমি সাথে সাথে কিভাবে পাবো ?
উত্তর – যে কোন ভার্সিটির তথ্য আপডেট হলে আপনার আপ যদি অফ ও থাকে আপনাকে একটি ম্যাসেজ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তথ্যটি পাঠিয়ে দেয়া হবে ।
৩ – আমি আমার পছন্দের ভার্সিটি কিভাবে সিলেক্ট করে রাখবো ?
উত্তর – প্রত্যেক ভার্সিটির লিস্টের পাশে একটি ফেভারিট বাটন আছে । এই আইকনে প্রেস করলে সেই ভার্সিটি আপনার পছন্দের লিস্টে চলে যাবে । এবং আপনি পরবর্তীতে “ Favorite ” প্যানেলে গিয়ে শুধু আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পাবেন ও সেগুলোর তথ্য ও আপনার কাছে চলে যাবে ।
৪ – নেট না থাকলে আমি কি সকল ডাটা পাবো ?
উত্তর – হ্যাঁ , একবার নেট অন করে নিলে সেই তথ্য আপনার ডিভাইসের অফলাইনেও সেভ হয়ে থাকবে । পরবর্তীতে কোন ডাটা কানেকশন ছাড়াই আপনি সেই তথ্য পেয়ে যাবেন ।
তবে রিয়েল টাইমে নোতিফিকেশন এর জন্য নেট কানেকশন থাকা উত্তম ।
———————————————————–
ভার্সিটির এই ভর্তি যুদ্ধে আমরা আপনার সহযোগী হতে চাই ।
Download Link: https://goo.gl/kDNr6w

ফেসবুক জানিয়েছে, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, তাদের নীতিবিরোধী পোস্ট দেওয়ার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অ্যামিড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি গ্রুপ অভিযোগ করে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ চলছে। আর এই গণহত্যায় দেশটির সেনাবাহিনী জড়িত। ওই রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে একটি ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ বলে মনোনীত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ওই গ্রুপের পরিচালকদের এ ধরনের বিষয়বস্তু বা মন্তব্য মুছে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ওই গ্রুপের বিষয়ে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রুপটি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর সামরিক অভিযানের বিষয়ে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।
সম্প্রতি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামের একটি সংগঠনকেও ফেসবুক ‘বিপজ্জনক সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বলে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা যে ধরনের বিষয়বস্তু পোস্ট করছে, সেগুলো ফেসবুকের মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ জন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা, অপরাধ ও গণহত্যা সংগঠনের মতো কাজের সঙ্গে জড়িত, ফেসবুক তাদের ঘৃণা করে। তবে অন্য যেসব গ্রুপ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে, তাদের অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে ফেসবুক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে পুলিশের ওপর হামলায় ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পর গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সরকার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। ফেসবুক জানায়, সরকারের অনুরোধে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। গ্রুপটির হিংসাত্মক কার্যকলাপের ভিত্তিতেই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অং সান সু চির মুখপাত্র জ হাতয়। আরসার বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট ফেসবুকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন।
তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, রোহিঙ্গা শরণার্থী, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা আসার কারণে এর বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তারা।

মন এক দুনিয়ার কথা স্বপ্নেও অনুমান করা দুষ্কর —যার বৈশিষ্ট্য আমরা কল্পনাও করে দেখি না। মুখ উঠিয়ে আপনার ঘরের চারপাশের দিকে একবার নজর বুলিয়ে নিন, কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনার কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল, আপনার বিছানা? এবার নিজের আঁকার ২০ গুন ছোট মনে করুন —এখন কি দেখতে পাবেন? হয়তো এবার মেঝের এক কোনে পড়ে রয়েছেন এবং আপনার টেবিলকে দেখতে একটি দৈত্যাকার বিল্ডিং মনে হবে। কিন্তু এভাবেই আপনাকে যদি ১০০০ মিলিয়ন গুন ছোট করে দেওয়া হয় তবে কি দেখতে পাবেন? আপনার নজরে কি কোন চেয়ার বা টেবিল আসবে? বরং আপনি সেসব জিনিষ দেখতে পাবেন যা দ্বারা আপনার চেয়ার, টেবিল সহ এই বিশ্বের প্রত্যেকটি জিনিষ গঠিত; অণু, পরমাণু, প্রোটিন, কোষ ইত্যাদি। আর আপনার আঁকার যদি ন্যানো স্কেলে নিয়ে আনা হয় তবে এবার কোন অণু বা পরমাণু নয় বরং পরমাণুর চারপাশে ঘুরতে পারবেন কিংবা এর ইলেকট্রন প্রোটনের কক্ষপথ দেখতে পাবেন। এখন ধরুন আপনি এক অসাধারণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন একটি বস্তুর অ্যাটমকে (পরমাণু) বা অ্যাটমের গঠনকে অন্য কোন বস্তুর অ্যাটমের গঠনের সাথে পরিবর্তন করিয়ে দিলেন, তাহলে কি ঘটবে? —তাহলে অসাধারণ সব উপকরণের উদ্ভব ঘটবে যা এই দুনিয়াই আগে কখনোই ছিলোনা। আজকের দিনে নতুন রোগের ঔষধ থেকে শুরু করে আপনার কম্পিউটারের সুপার ফাস্ট প্রসেসর এবং অসাধারণ সব উপকরণ তৈরির পেছনে অত্যন্ত ক্ষুদ্র এক প্রযুক্তি কাজে আসছে যা “ন্যানো টেকনোলজি” (Nanotechnology) নামে পরিচিত এবং এটি বর্তমান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সবচাইতে আশ্চর্যকর নিদর্শন। তো চলুন আজ ন্যানো প্রযুক্তির সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক…

কতো বড় এই “ন্যানো”?

আপনার স্মার্টফোন বা যেকোনো ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি ফটো ক্যাপচার করুন এবং সেটাকে ফটোশপ দিয়ে ওপেন করুন। এবার ফটোটিকে জুম করতে থাকুন, দেখবেন জুম করতে করতে ফটোটি একসময় ঘোলা হয়ে যাবে এবং পরিশেষে শুধু চারকোনা ইটের দেওয়ালের মতো দেখতে পাওয়া যাবে। এই প্রত্যেকটি চারকোনা ব্লক গুলোকে এক একটি পিক্সেল বলা হয়, যা কোন ফটোর বর্ণনা ধারণ করে এবং একত্রে সকল পিক্সেল গুলো মিলে একটি সম্পূর্ণ ফটো তৈরি হয়। ঠিক একই ভাবে আপনার চারপাশের সমস্ত কিছু সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে অতি ক্ষুদ্র উপাদান “পরমাণু” দ্বারা। চেয়ার টেবিল থেকে আরম্ভ করে আপনার শরীর পর্যন্ত পরমাণু নামক অতি ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত। প্রত্যেকটি পদার্থের পরমাণুতে তার গুনের এক একটি অংশ বর্ণিত থাকে, যেমনটা কোন ফটোর প্রত্যেকটি পিক্সেলে বিভিন্ন কালার থাকে এবং একত্রে একটি ফটো তৈরি হয়। ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্তু এর উপরই নির্ভর; তাহলো পদার্থর গঠন এবং এর অণু, পরমাণুর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য—এ ব্যাপার নিয়ে আরো পরে আলোচনায় আসবো, এখন ন্যানো এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

দেখুন আমরা এমন এক পৃথিবীর সাথে পরিচিত যেখানে আমরা মিটার, কিলোমিটার ইত্যাদি পরিমাপের সাথে অভ্যস্ত। এমন কোন জিনিসের আঁকার সম্পর্কে কল্পনা করা সত্যি কষ্টের যেটা এতোটাই ছোট যে চোখে দেখা সম্ভব নয়।  তবে ন্যানো অনেক ছোট হলেও এটি কিন্তু একটি সিঙ্গেল অ্যাটমের তুলনায় বড়। একটি অ্যাটমের ব্যাসরেখা প্রায় ০.১ ন্যানো মিটার এবং একটি অ্যাটমের নিউক্লিয়াস (অ্যাটমের ঠিক মাঝখানের একটি ঘন এলাকা যেখানে প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে) আরো ছোট আকারের হয়ে থাকে, যেটা প্রায় ০.০০০০১ ন্যানো মিটার। বিজ্ঞান বিভাগের পটু আর গনিতের তুখারেরা এতক্ষণে ন্যানো মিটার এবং এর আঁকার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন, তবে সকলের বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি। মনে করুন আপনার হাতে একটি অ্যাপেল রয়েছে এবং ধরে নিন এটা ১ ন্যানো মিটার, তাহলে এটি কতো ছোট? ১ মিটারের সাথে ১ ন্যানো মিটারের তুলনা করতে গেলে, আপনার হাতের অ্যাপেলটি যদি এক ন্যানো মিটার হয় তবে এই সমস্ত পৃথিবী হবে এক মিটার, বুঝতে পাড়লেন?
আপনি হয়তো আপনার জীববিজ্ঞান বইয়ের অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীটবিশেষ এর ছবি দেখে আশ্চর্য হয়ে থাকেন, হয়তো ভাবেন এতো ছোট জিনিসের ছবি কীভাবে উঠানো সম্ভব হয়। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ (অতি ক্ষুদ্র বস্তু দেখার যন্ত্র) ব্যবহার করে এই ধরনের ফটোগ্রাফি করা হয়ে থাকে। এই অসাধারণ বিজ্ঞানের যন্ত্রটি এক মিটারের মিলিয়ন গুন ছোট বস্তু দেখতে পারে অর্থাৎ ১ মাইক্রোস্কোপিক মিটার সমান ১ মিটারের ১ মিলিয়ন (১০ লক্ষ) গুন ছোট ভার্সন। কিন্তু ন্যানো মানে হলো ১ মিটারের ১ বিলিয়ন (১,০০০ মিলিয়ন) গুন ছোট। তো ন্যানো মিটার কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে কল্পনা করতে পারছেন? আমার তো কল্পনার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। চলুন ন্যানো স্কেলকে আরো গভীর এবং বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য নিচের চার্টটি দেখে নেওয়া যাক।

ন্যানো স্কেল—

  • অ্যাটম; ~০.১ ন্যানোমিটার।
  • অনুতে পরমাণু; ~০.১৫ ন্যানোমিটার অংশ জুড়ে থাকে।
  • ডিএনএ ডাবল-হেলিক্স (ডিএনএ এর অণু); ২ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • আদর্শ প্রোটিন; ~১০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • কম্পিউটার ট্র্যানজিস্টর (যা দ্বারা কম্পিউটার প্রসেসর বা মেমোরি তৈরি হয়); ~১০০-২০০ ন্যানোমিটার প্রশস্ত।
  • আদর্শ ব্যাকটেরিয়া; ~২০০ ন্যানোমিটার লম্বা।
  • মানুষের চুল; ৫০,০০০-১০০,০০০ ন্যানোমিটার ব্যাসরেখা বিশিষ্ট।
  • একটি কাগজ; ~১০০,০০০ ন্যানোমিটার পাতলা।
  • একটি মেয়ে ১.২ মিটার (৪ ফুট) লম্বা; ~১,২০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • একটি ছেলে ২ মিটার (৬.৫ ফুট) লম্বা; ২,০০০ মিলিয়ন ন্যানোমিটার লম্বা।
  • এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং; ৩৮১ মিটার (১,২৫০ ফুট) লম্বা; ~৩৮১,০০০ ন্যানোমিটার লম্বা।

    ন্যানো সায়েন্স থেকে ন্যানো টেকনোলজি

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউ এর কথা মনে আছে? যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের পৃথিবীকে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ জুড়ে সবুজ বৃক্ষ এবং সমুদ্র থাকার ফলে দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে একটি নীল সবুজের বড় গোলাকার মনে হয়। এবার ম্যাপে জুম দিতে আরম্ভ করুন, ধীরেধীরে দেখবেন অনেক দেশ নজরে আসছে তার পরে দেশের শহর গুলো নজরে আসবে তারপরে একটি নির্দিষ্ট শহর স্ক্রীনে ভেসে থাকবে। এবার শহরটির উপর জুম দিতে আরম্ভ করুন, কোন একটি এলাকা চলে আসবে এবং পরিশেষে হয়তো কোন মহল্লা বা কোন বাড়ির উপর এসে জুম শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাই কি পৃথিবীর একদম শেষ প্রান্ত, মানে পৃথিবীর সেই ক্ষুদ্রতম উপাদান যা দ্বারা এই গ্রহ তৈরি হয়েছে? অবশ্যই নয়। আমাদের সাধারন দৃষ্টির চেয়ে ছোট আকারের জিনিষ গুলোকে দেখতেই ন্যানো সায়েন্সকে কাজে লাগানো হয়। এখন আবার ফিরে যাওয়া যাক সেই গুগল ম্যাপে যা কোন মহল্লার উপরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার চলুন জুম দেওয়া যাক মহল্লার উপরে হয়তো মহল্লার একটি মাঠ দেখতে পাওয়া যাবে এবং জুম করতে করতে এক সময় একটি ঘাসে এসে থেমে যাবে। এবার ধারণা নিতে আরম্ভ করি ন্যানো সায়েন্স নিয়ে এবং ঘাসটিকে জুম দিতে আরম্ভ করি। ঘাসটিকে জুম দিলে এর মধ্যের উদ্ভিদ কোষ গুলো দেখতে পাওয়া যাবে এবং দেখতে পাওয়া যাবে এটি কীভাবে সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের জন্য খাদ্য তৈরি করছে। এভাবে আরো বিশদ জুম করতে থাকলে দেখতে পাবেন, উদ্ভিদের অণু গুলো কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এবং এক সময় সবকিছু আলাদা ভাবে বিভক্ত হয়ে যাবে। তো এই হলো ন্যানো সায়েন্স, যেটা আমাদের একদম শিকড় থেকে বুঝতে সাহায্য করে যে প্রত্যেকটি পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়েছে এবং এদের কোর টা কি।
    আর আমরা যখন ন্যানো সায়েন্স সম্পর্কে বুঝতে পারবো তখন এটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন কিছু উদ্ভব করতে পারবো আর একেই বলা হবে ন্যানো টেকনোলজি। কারণ সায়েন্স থেকে টেকনোলজি আসে এবং সায়েন্স এর রুল অনুসরন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে তোলায় হলো টেকনোলজির কাজ।
    এখন চলুন ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু সাধারন ধারণা নেওয়া যাক—আসলে এটি কি এবং কীভাবে কাজ করে। আমি কোন জটিল আলোচনার মধ্যে পড়তে যাবো না, সাধারন কিছু উদাহরণ দিয়ে সমস্ত ব্যাপারটিকে সংক্ষেপে এবং সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আচ্ছা এখন মনে করুন একটি কাপড়ের কথা এবং ধরুন আমরা ঐ কাপড়টির ন্যানো স্কেল পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম স্থানে পৌঁছে গেছি, তাহলে কি দেখতে পাওয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা সূতার একদম অণু পরমাণুতে পৌঁছে যাবো। সেখানে হয়তো কাপড়ের একটি সুতা থেকে আরেকটি সূতার দূরত্ব এক একটি পুকুরের সমান মনে হতে পারে। এখন ধরুন এমন একটি পদার্থ আছে যা যে কোন তরল পদার্থকে বর্জন করার ক্ষমতা রাখে। তাহলে আমরা যদি ঐ পদার্থের ন্যানো স্কেলে পৌঁছে গিয়ে সেই পদার্থের অ্যাটমিক গঠন জেনে নিতে পারি এবং কাপড়ের অ্যাটমিক গঠন ঠিক ঐ পদার্থটির সাথে পরিবর্তন করতে পারি, তবে কি হবে? তাহলে এমন একটি কাপড়ের তৈরি করা সম্ভব হবে যা পানি সহ যেকোনো তরলকে বর্জন করবে। ধরুন আপনার সাদা শার্টে তরকারির হলুদ ঝোল ভরে গেল! কি বিরক্তিকর ব্যাপার তাই না? কিন্তু ন্যানো টেকনোলজিতে উন্নত করার পরে আপনার শার্টটি তরকারির ঝোলকে বর্জিত করবে, মানে শার্টটি তরকারীতে চুবিয়ে রাখলেও এতে কোন দাগ লাগবে না। আশা করি ন্যানো টেকনোলজির মূল বিষয় বস্ত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার হয়ে গেছেন।

    ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

    ন্যানো টেকনোলজির বেশিরভাগ সুবিধা হয়তো ভবিষ্যতের কয়েক দশকের মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে কিন্তু বর্তমানেও এই প্রযুক্তি নানান ভাবে আমাদের পৃথিবীকে পরিবর্তিত করতে সাহায্য করছে। আপনি হয়তো ভাবছেন ন্যানো টেকনোলজি একে বারে অসাধারণ জিনিষ এবং এটি সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি—কারণ “টেকনোলজি” বলতে আমরা মানুষের তৈরি টেকনিককেই মনে করি। কিন্তু আমাদের জীবন নিজে থেকেই ন্যানো টেকনোলজির এক বিরাট উদাহরণ। আমাদের শরীরে প্রোটিন, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কোষ ইত্যাদি ন্যানো টেকনোলজির সূত্রেই কাজ করে।

    ন্যানো ম্যাটেরিয়াল

    হতে পারে বর্তমানেই আপনি অলরেডি ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করছেন। হতে পারে আপনি ন্যানোটেকনোলজি প্যান্ট পরিধান করে আছেন কিংবা আপনার শার্টটি ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি। এমনকি হতে পারে আপনার বিছানার চাদর থেকে শুরু করে ট্র্যাভেলিং বাগটিও ন্যানোটেকনোলজিতে প্রস্তুত। ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি কাপড় গুলোর তন্তু এতোটাই সূক্ষ্ম যে এতে ধুলি বালু কণা আটকে থাকতে পারে না, ফলে কাপড় অনেক কম নোংরা হয়। কিছু ব্র্যান্ডের সানস্ক্রীন ক্রিমে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, এতে ক্রিমটি আপনার স্কিনে লাগানো মাত্র এটি টাইটানিয়াম অক্সাইড অথবা জিঙ্ক অক্সাইডের আস্তরণ ফেলে দেয়, ফলে এটি সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মিকে ব্লক করে দেয়। ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি অনেক পেইন্টও এভাবেই কাজ করে, ফলে এটি অধিক দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং কম ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।
    কার্বন ন্যানো টিউব হচ্ছে সবচাইতে অসাধারণ ন্যানো ম্যাটেরিয়াল। এর অ্যাটমিক গঠনের ফলে এটিকে অত্যন্ত মজবুত একটি পদার্থতে পরিণত করেছে। একে ফাইবারের আঁকারে যেকোনো লম্বা পরিমাপে বানানো সম্ভব।

    ন্যানো চিপ

    মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স হলো ন্যানো টেকনোলজির আরেকটি রুপ। সাধারনত মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্সে “মাইক্রো” শব্দটি ব্যবহার করা হয় কারণ এর আঁকার মাইক্রোস্কোপিক স্কেলের হয়ে থাকার কারণে। কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা উদ্ভবন করেন যে, একই জায়গার মধ্যে বেশি ট্র্যানজিস্টর আটাতে পারলে কম্পিউটারের সাইজ আরো ছোট এবং বেশি পাওয়ারফুল বানানো সম্ভব। আর এর জন্যই আজকের কম্পিউটার গুলো সাইজে অনেক ছোট, অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সস্তা মুল্যের হয়ে থাকে। বর্তমানে কম্পিউটার প্রসেসর ১০০-২০০ ন্যানোমিটারের ট্র্যানজিস্টর দ্বারা প্রস্তুত হয়ে থাকে এবং দিনদিন এর সাইজ আরো কমানো হচ্ছে আর এই সবই সম্ভব হচ্ছে ন্যানো টেকনোলজির ফলে।
    শুধু কম্পিউটার প্রসেসর নয়, বরং ফ্ল্যাট স্ক্রীন এচডি টিভি, স্মার্টফোন, আইপড ইত্যাদি সব গুলোতেই ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে চিপ লাগানো থাকে।

    ন্যানো মেশিন

    ন্যানো টেকনোলজির আরেকটি মজার ব্যাপার হলো এ দ্বারা অত্যন্ত ক্ষুদ্র মেশিন বানানো সম্ভব; যেমন গিয়ার, সুইচ, পাম্প, মেশিন —এবং সম্পূর্ণ আলাদা অ্যাটম থেকে। ন্যানো মেশিন দ্বারা ন্যানো রোবট তৈরি করা সম্ভব যেগুলোকে ন্যানোবট বলা হয়। ন্যানোবটকে আমাদের শরীরের মধ্যে ইনজেক্ট করে দেওয়া সম্ভব যাতে এটি প্রতিকুল পরিবেশে বিপদের সাথে লড়তে পারে।

    শেষ কথা

    ন্যানো টেকনোলজি ভবিষ্যৎ এ আরো রাজ করবে এই বাক্যে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই প্রযুক্তির সুফলের সাথে সাথে কিছু অসুবিধারও হুমকি রয়েছে। যেমন ন্যানোবট মানব দেহে ইনজেক্ট করার মাধ্যমে ক্যান্সার ঘটাতে পারে। ন্যানো বট অত্যন্ত ছোট হওয়ার কারণে অনেক ডাক্তাররা আসঙ্খা করছেন যে এটি রক্তের সাথে ব্রেনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে ফলে কেউই জানেন না কি ঘটতে পারে এতে। ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনার আরো তথ্য জানা থাকলে নিচে টিউমেন্টে তা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। টিউনটি ভালো লাগলে এবং উপকৃত হলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

MARI themes

Powered by Blogger.