সাংবাদিকতা হল বিভিন্ন ঘটনাবলী, বিষয়, ধারণা, ও মানুষ সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশন, যা উক্ত দিনের প্রধান সংবাদ এবং তা সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। এই পেশায় শব্দটি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও সাহিত্যিক উপায় অবলম্বনকে বোঝায়। মুদ্রিত, টেলিভিশন, বেতার, ইন্টারনেট, এবং পূর্বে ব্যবহৃত নিউজরিল সংবাদ মাধ্যমের অন্তর্গত।


সাংবাদিকতার যথোপযুক্ত নিয়মের ধারণা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিছু দেশে, সংবাদ মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পুরোপুরি স্বাধীন সত্তা নয়।[১] অন্যান্য দেশে, সংবাদ মাধ্যম সরকার থেকে স্বাধীন কিন্তু লাভ-লোকসান সাংবিধানিক নিরাপত্তার আওতায় থাকে। স্বাধীন ও প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে সংগ্রহ করার মুক্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে প্রবেশাধিকার জনগণকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে সাহায্য করে।


 সাংবাদিকতার ধরন
বিভিন্ন ধরনের পাঠকের জন্য সাংবাদিকতার বিভিন্ন ধরন রয়েছে। একটি একক প্রকাশনায় (যেমন সংবাদপত্র) বিভিন্ন ধরনের সাংবাদিকতা উপাদান থাকে এবং প্রত্যেক উপাদান বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি বিভাগ ভিন্ন ভিন্ন পাঠকের জন্য সংবাদ সরবরাহ করে থাকে।[২] সাংবাদিকতার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধরন হলঃ

ওকালতি সাংবাদিকতা – কোন নির্দিষ্ট মতাদর্শ বা পাঠকের মতামতের প্রভাব সমর্থন করে লেখা হয়।
সম্প্রচার সাংবাদিকতা – বেতার বা টেলিভিশনের জন্য লিখিত সাংবাদিকতা।
নাগরিক সাংবাদিকতা – নাগরিকদের অংশগ্রহণমূলক সাংবাদিকতা।
উপাত্ত সাংবাদিকতা – ঘটনাবলী সংখ্যায় খুঁজে বের করার এবং তা সংখ্যায় প্রকাশ করার রীতি।
ড্রোন সাংবাদিকতা – ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করা।[৩]
গঞ্জো সাংবাদিকতা – হান্টার এস থম্পসন কর্তৃক উদ্ভাবিত গঞ্জো সাংবাদিকতা হল প্রতিবেদন প্রণয়নের নিজস্ব উপায়।[৪]
পারস্পারিক ক্রিয়াশীল সাংবাদিকতা – অনলাইন সাংবাদিকতার একটি ধরন যা ওয়েবে উপস্থাপন করা হয়।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা – সামাজিক সমস্যাসমূহ উদঘাটন করে এমন প্রতিবেদন।
আলোকচিত্র সাংবাদিকতা – চিত্রের সাহায্যে সত্য ঘটনাসমূহ উপস্থাপনের রীতি।
সেন্সর সাংবাদিকতা – অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সেন্সর ব্যবহার করা।
টেবলয়েড সাংবাদিকতা – বিনোদনমূলক সংবাদ প্রণয়ন, যা মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে কম বৈধ।
হলুদ সাংবাদিকতা – অতিরঞ্জিত অভিযোগ বা গুজব বিষয়ক প্রতিবেদন।
ক্রীড়া সাংবাদিকতা ক্রীড়া সাংবাদিকতা অপেশাদার এবং পেশাদার ক্রীড়া খবর এবং ঘটনা রিপোর্ট উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ক্রীড়া সাংবাদিক সকল প্রিন্ট, টেলিভিশন সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সহ মিডিয়াতে কাজ করে।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমের বিকাশের ফলে সাংবাদিকতাকে একটি প্রক্রিয়া না বলে নির্দিষ্ট সংবাদ পণ্য বলে অভিহিত করার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই বিবেচনায়, সাংবাদিকতা হল এক ধরনের অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া যেখানে একাধিক লেখক ও সাংবাদিক এবং সামাজিকভাবে মধ্যস্থতাকারী জনগণ জড়িত থাকে।[৫]

সাংবাদিকতার ইতিহাস
ইয়োহান কারোলাসের ১৬০৫ সালে স্ট্রাসবুর্গ থেকে প্রকাশিত রিলেশন অলার ফুর্নেমেন উন্ড গেডেনকভুর্ডিগেন হিস্টরিয়েনকে প্রথম সংবাদপত্র বলে অভিহিত করা হয়।[৬] প্রথম সফল ইংরেজি দৈনিক হল ১৭০২ থেকে ১৭৩৫ সালে প্রকাশিত ডেইলি ক্যুরান্ট। ১৯৫০ এর দশকে দিয়ারিও কারিওকা সংবাদপত্রের সংস্কার রূপকে ব্রাজিলে আধুনিক সাংবাদিকতার জন্ম বলে চিহ্নিত করা হয়।[৭]

ভূমিকা

১৯২০ এর দশকে যখন আধুনিক সাংবাদিকতা রূপ ধারণ করতে শুরু করে লেখক ওয়াল্টার লিপম্যান এবং মার্কিন দার্শনিক জন ডিউয়ি গণতন্ত্রে সাংবাদিকতার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। তাদের এই ভিন্ন ভিন্ন দর্শন এখনো সমাজ ও রাষ্ট্রে সাংবাদিকতার ভূমিকা বিষয়ে যুক্তি প্রদর্শনে ব্যবহৃত হয়।

পেশাদারী ও নৈতিক মানদণ্ড

বিদ্যমান নৈতিক মানদণ্ডে ভিন্নতা রয়েছে, বেশিরভাগই রীতিতে সত্যতা, সূক্ষ্মতা, বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য, পক্ষপাতহীনতা, এবং কৈফিয়ত – এই বিষয়গুলো সাধারণ উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই উপাদানসমূহ সংবাদ করার মত তথ্য সংগ্রহ করতে এবং জনগণের কাছে প্রচার করতে ব্যবহৃত হয়।[৮][৯]

কিছু সাংবাদকিতার নৈতিকতার বিধিতে, বিশেষ করে ইউরোপীয় বিধিতে, সংবাদে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বিষয়ক, এবং শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা নিয়ে বৈষম্যমূলক সূত্র বিষয়েরও অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। আবার কিছু ইউরোপীয় নৈতিকতার বিধিতে, সকল সংবাদপত্র ইনডিপেন্ডেন্ট প্রেস স্ট্যান্ডার্টস অর্গানাইজেশনের বিধি মেনে চলতে বাধ্য এবং তা যুক্তরাজ্যেও প্রচলিত। এই বিধিতে জনগণের গোপনীয়তাকে সম্মান দেওয়া এবং নিখুঁতভাবে কাজ নিশ্চিত করা অন্তর্ভুক্ত।

এই ডাটাবেস টিউটরিয়াল এমন ভাবে সাজান হয়েছে যে একটি ইউনিভার্সিটিতে যা পরান হয় তার চেয়ে কম না।আমরা জানি ইউনিভার্সিটিতে লিমিটেড সময় তাই ওখানে নিজেকে সিখে নিতে হয় যা বাকি থাকে তবে আজ থেকে আমি যে কোর্স সুরু করতে জাচ্ছি সেটি পরিপূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ্‌ ।

এই কোর্স কাদের জন্য ?
যারা ডাটাবেস সিখতে চায় । ক্লাস ৮  অথবা তার উপরের জেকেউ সিখতে পারবে।
ডাটাবেস কী?
ডাটা বেস হল যেখানে আমরা কন ডাটা রাকি।

উদাহরণ
আমারা যে ফেসবুকে ছবি আপলড করি এই ছবি গুল কিন্তু ফেসবুকের ডাটাবেস এ সেভ হ্য়।আবার আমরা যে ফেসবুক এ নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেসবুক এ লগইন করি ওগুলো ফেসবুকের ডাটাবেস এ সেভ হয়ে থাকে।বিধায় আমরা লগইন করতে পারি।

গুগল যে আমাদের তথ্য দেয় এগুল কিন্তু গুগুল এর ডাটাবেস এ সেভ করা আছে তাই গুগল আমাদের তথ্য গুল দিতে পারে নয়লে কিন্তু পারতনা।

আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন ডাটাবেস কি।তবুও কনো বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

সহায়ক ভিডিওঃ



নতুন নতুন গবেষণায় নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিস্কার হচ্ছে। আর তার সুফল আমরা প্রতিনিয়ত ভোগ করছি। অন্য সুবিধার কথা এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়। বরং, বিজ্ঞানের জন্য আমরা বাস্তবে এমন কিছু দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি, যেটা আমরা কল্পনা করেও দেখতে পারতাম না। মহাকাশ থেকে চাঁদ এবং পৃথিবীকে দেখতে কেমন লাগে, আমরা এগুলো দেখে ফেলেছি। কিন্তু মঙ্গল গ্রহ থেকে আমাদের পৃথিবী আর চাঁদকে একই ছবিতে দেখতে কেমন লাগে, সেটাই এবার দেখিয়ে দিল নাসা।

ছবিটি তোলা হয়েছে ২০১৬-এর ২০ নভেম্বর। কিন্তু ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে সদ্য। এই ছবিটি যখন তোলা হয়েছে তখন পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব ছিল ২০৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। ছবিতে পৃথিবীর যে অংশটা লালচে মতো দেখা যাচ্ছে, সেটা অস্ট্রেলিয়া। আর চাঁদের ছবিটিতে ঔজ্জ্বলতা অনেকটাই কম পৃথিবীর তুলনায়।

সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের পক্ষে সমাজে একা বসবাস করা সম্ভব নয়। নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য, বিপদে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য সামগ্রিকভবে সাহচর্য লাভের জন্য একজন বন্ধুর একান্ত প্রয়োজন।মানুষ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে একজন ভালো বন্ধুর প্রয়োজন। কারণ,একজন প্রকৃত বন্ধু জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার অংশীদার হয়।বন্ধুত্ব বলতে আমরা কী বুঝি! প্রাচীন প্রবাদে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হতো, ‘সম্পর্ক যখন জ্বরে পুড়ে তখন তার নাম হয় ভালোবাসা, আর ভালোবাসা যখন জ্বরে পুড়ে তার নাম হয় বন্ধুত্ব। প্রকৃত বন্ধুই পারে আত্মার আত্মীয় হয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দুঃখ-কষ্টকে ভুলিয়ে রাখতে। তবে মানুষ চেনা সহজ নয়। বন্ধু চেনা আরো কঠিন। বিশ্বাস রাখার মতো বন্ধু এই সময়ে খুঁজে পাওয়া নিতান্তই দুরূহ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে জন্য বন্ধু নির্বাচনে দেখতে হবে তার বুদ্ধিমত্তা, সততা, সত্যবাদীতা এবং স্বভাব-চরিত্রে ভালো কি না। জীবনে চলতে গেলে বন্ধুর সান্নিধ্য চাই সবারই। আবার চলতি পথে ব্যস্ততা কিংবা জীবন ধারার অদল-বদলের কারণে অনেক বন্ধুকে হয়তো নেহাত অনিচ্ছাতেই হারিয়ে ফেলি আমরা। একইভাবে পরিবেশ আর পারিপার্শ্বিকতার কারণে কখনো কখনো সন্ধান করতে হয় নতুন বন্ধুত্বেরও। আর নতুন বন্ধু খোঁজার এই সময়টায় কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে না পারলে তা সময়ের পালাবদলে অনেকের জন্যই বন্ধুত্ব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। একজন ভালো বন্ধু পাওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাঝে কোনো ধরনের স্বার্থ কিংবা প্রাপ্তির চিন্তা মাথায় না রাখা। মনে রাখবেন স্বার্থের প্রয়োজনে করা বন্ধুত্ব আপনাকে একটা সময়ে লাভবান করলেও চূড়ান্ত বিচারে আপনাকে করে তুলতে পারে নিঃসঙ্গ। এ কারণে কোনো ধরনের প্রাপ্তির চিন্তা থেকে নয়, বরং নিজের ভালোলাগা আর ভালোবাসাগুলোকে ভাগাভাগি করে নেয়াই হোক বন্ধুত্বের প্রথম দাবি। দ্বিতীয়ত, বন্ধুত্বের মাঝে যেন ভুল বোঝাবুঝি বা মনোমালিন্য সহজেই স্থান করে নিতে না পারে সেজন্য নতুন করে বন্ধু হওয়ার মানসিকতাটুকু বোঝাও কম-বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে শুধু যে সমমানসিকতাসম্পন্ন মানুষেরাই আপনার বন্ধু হবেন তেমনটা কিন্তু নয়, বরং নতুন বন্ধুর মানসিকতা যেমনই হোক না কেন তার প্রতি আপনার সহনশীলতা এবং আপনার মতের প্রতি তার সমর্থনই পারে একটা নির্ভেজাল বন্ধুত্ব গড়ে দিতে। নতুন কারো সাথে বন্ধুত্ব গড়বার মাধ্যমে আপনি যেমন আপনার মনের কথা কিংবা কাজের পরিবেশের অনেক কথা ভাগাভাগি করে নিতে চান, তেমনি আপনার বন্ধুটির মনেও একই রকম আকাঙ্ক্ষা থাকাটা স্বাভাবিক। কাজেই নিজের কথা বলার পাশাপাশি বন্ধুর কথা শুনতে চাইবার মানসিকতাটাও থাকা জরুরি। আর এ প্রেক্ষাপটে খুব বেশি মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক কোনো মানুষের সাথে বন্ধুত্বে জড়ানোর আগে অবশ্যই তার সাথে আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন সে বিষয়টুকু ভেবে দেখা দরকার। বন্ধুত্বের যেমন সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা হয় না, তেমনি বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ধরাবাঁধা কোনো নিয়মের কথা বলা যায় না। তবে বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়স, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থান যেন মুখ্য হয়ে না দাঁড়ায় সেটি অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে। আবার বন্ধুত্ব হয়ে যাবার পর এ ধরনের চিন্তাও মাথা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কেননা যাদের কাছে বন্ধুত্বের আবেগের চাইতে নিজের অবস্থান অনেক বেশি মুখ্য তাদের সাথে কখনও প্রাণখুলে বন্ধুত্বের আনন্দটুকু উপভোগ করা যায় না। আবার বন্ধুর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে যারা খুব বেশি কৌতূহল দেখান বা বন্ধুর কোনো বিষয়ে যারা উপযাচক হয়ে অযাচিত উপদেশ বিলাতে ভালোবাসেন তাদেরকেও নতুন বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করতে সতর্ক হতে হবে। সর্বোপরি নতুন বন্ধু হিসেবে কারো দিকে হাত বাড়াতে বা কারো বন্ধুত্বের ডাকে সাড়া দিতে তার মানসিকতা, বন্ধুর প্রতি তার মূল্যায়ন সম্পর্কেও কম-বেশি জানতে এবং বুঝতে হবে। তাই বন্ধু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনার বিচার বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।
বন্ধু চেনার কয়েকটি সহজ উপায়ঃ

০১। কারো প্রতি মন আকৃষ্ট হলেই তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে এমনটা ঠিক নয়, বরং প্রথমে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে ভালো লাগা বা তার প্রতি আকর্ষণের কারণ কিংবা উত্সটা কী এবং সে আদৌ বন্ধু হবার যোগ্য কি না ইত্যাদি।

০২। হঠাত্ করে কারো সাথে পরিচিত হবার মধ্য দিয়ে অর্থাত্ কোনো রকম বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে অনেক সময় দুঃখজনক পরিণতি ঘটতে পারে।

০৩।বন্ধু চাহিবামাত্র তাকে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা ধার দিন। এই টাকা পাওয়ার আশা আপনি ত্যাগ করুন। ধরে নিন এটা আপনার ইনভেস্ট। এরপর চুপচাপ লক্ষ করুন বন্ধু কথা অনুযায়ী আপনাকে টাকা ফেরত দেয় কি না। দিলে কীভাবে দেয়। আপনার পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে তার সদিচ্ছা বা মনোভাব কেমন সেটা লক্ষ করুন। ব্যস্ এতেই চলবে... আপনি বুঝে যাবেন যা বোঝার।

০৪।আপনি কৃত্রিম সংকট তৈরি করুন। ভাব দেখান আপনি অনেক বিপদে পড়েছেন। এবার বন্ধুর সাহায্য চান। আপনাকে সাহায্যের ব্যাপারে প্রিয় বন্ধুর সদিচ্ছা বা মনোভাব কেমন সেটা লক্ষ করুন। এবার খুব সহজেই বুঝতে পারবেন, সে আপনার কেমন বন্ধু।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সত্যিকারের বন্ধুদের খুঁজে পাই না, তাই বন্ধু নির্বাচনের এই ভুলটা অনেক সময়ই আমাদের বড় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

MARI themes

Powered by Blogger.